নারী নেতৃত্ব ইসলাম কি বলে | ইসলাম ধর্মে নারী নেতৃত্ব সম্পর্কে কি কি বলা হয়েছে
নারী নেতৃত্ব ইসলাম কি বলে | ইসলাম ধর্মে নারী নেতৃত্ব সম্পর্কে কি কি বলা হয়েছে - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো নারী নেতৃত্ব ইসলাম কি বলে | ইসলাম ধর্মে নারী নেতৃত্ব সম্পর্কে কি কি বলা হয়েছে জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের নারী নেতৃত্ব ইসলাম কি বলে | ইসলাম ধর্মে নারী নেতৃত্ব সম্পর্কে কি কি বলা হয়েছে । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
নারী নেতৃত্ব ইসলাম কি বলে ইসলাম ধর্মে নারী নেতৃত্ব সম্পর্কে কি কি বলা হয়েছে |
নারী নেতৃত্ব ইসলাম কি বলে | ইসলাম ধর্মে নারী নেতৃত্ব সম্পর্কে কি কি বলা হয়েছে
উত্তর : সূচনা : ইসলাম ধর্মে নেতৃত্বের যোগ্যতা নির্ভর করে দক্ষতা ও সদগুণাবলির উপর। নারী ও পুরুষ স্বীয় যোগ্যতায় নেতৃত্বের আসন লাভ করতে পারবে। এ ব্যাপারে ইসলাম ধর্মে বাধা নেই।
বিশেষ কোন কারণ ছাড়া পুরুষের কাজও নারীর জন্য বৈধ। তবে ইসলামি রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে জাতীয় সর্বোচ্চ পদে নারী অধিষ্ঠিত হতে পারে কি না এ বিষয়ে মতামত দেখা যায় ।
→ বিপক্ষে মতামত : অধিকাংশ ইসলামি পণ্ডিতগণের মতে কোনো রাষ্ট্রের খলিফা বা প্রধান কোন নারী থাকতে পারবে না। তাদের মতানুসারে জাতীয় সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কিছু স্পর্শকাতর বিষয়ে অবশ্যই পুরুষ থাকা প্রয়োজন ।
→ দলিল ও যুক্তি : বিপক্ষের ইসলামি পণ্ডিতগণ বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দলিল উপস্থাপন করেছেন ।
কুরআনে বলা হয়েছে - পুরুষেরা নারীর উপর কর্তৃত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সূরা নিসা- ৩৪
এই আয়াতের উপর ভিত্তি করে মুফাসসিরগণ বলেছেন-
১. নারীগণ শাসক হতে পারবে না;
২. নারীগণ রাসুল হতে পারবে না;
৩. নারীগণ ইমামতি করতে পারবে না;
৪. নারীগণের উপর জিহাদ ফরজ নয় ও
৫. তালাক শুধু নারীদের উপর নির্ভর করে না। (তাদসীরে ইবনে কাসীর ও রাহলমানী)
রাসুল (সা.) হাদিস শরিফে বলেছেন- যে জাতির নেতৃত্ব কোন নারী দিবে সে জাতি কখনও কল্যাণ বয়ে আনবে না। (বুখারী) হাদিস শরিফে আরো এসেছে পুরুষরা তখন ধ্বংস হয়ে যাবে যখন তারা নারী নেতৃত্ব মেনে নেবে। (তিরমিযি) এছাড়াও ইবনে হাজম মারাফিতুল ইজমা পৃ: ১২৩ উল্লেখ করেছেন নারী নেতৃত্ব বৈধ নয় ।
ইমাম তাইনিয়া বলেছেন নারী নেতৃত্ব বৈধ নয় । ইমাম মাওয়ার্দী ও ইমাম কুরতুবী একই মত পোষণ করেছেন। আরো যারা নারী নেতৃত্ব বৈধ নয় বলেছেন তাদের নাম হলো- ইমাম বায়বাবী, বদরুদ্দীন আইনি, আল্লামা যানবী প্রমুখ।
→ নারী নেতৃত্বের পক্ষে মতামত : নারী নেতৃত্বকে যারা বৈধ মনে করেছে তাদের মতামতের পক্ষে দলিলসমূহ আলোচনা করা হলো। ‘হে মানব আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিত হও। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সেই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত যে সর্বাধিক পরহেযগার। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সব কিছুর খবর রাখেন।' সূরা - হুজরাত ১৩.
এই আয়াতকে লক্ষ্য করে এই মতের পক্ষের মুফাসসিরগণ মতামত দেন যে –
১. পরহেযগারীরাই নেতৃত্ব দিবে।
২. হযরত মরিয়ম (আ) এর জন্মের সময় তার মা দোয়া কবুল হাদিস শরীফ থেকে জানা যায় (সা.) স্ত্রী উম্মে সালমার পরামর্শে কুরবানী করেন। এতে প্রমাণিত যে নারী নেতৃত্ব বৈধ।
হুদায়বিয়ার সময় রাসুল ইবনে জারীর তাবারী মনে করেন – - নারী রাষ্ট্র প্রধানও হতে পারবে। তাঁরা কুরআন হাদিস বিশ্লেষণ করে বলেছেন নারী পুরুষভেদে অধিকারের ক্ষেত্রে কোন পার্থক্য নেই।
এই পর্যায়ের আলেমগণ কয়টি উদাহরণ পেশ করেন তা হলো
১. বাংলাদেশ অন্যতম এক দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র হওয়ার পরও এই দেশের প্রধান হচ্ছেন নারী
২. পাকিস্তান মুসলিম রাষ্ট্র হয়েও সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন একজন নারী যার নাম বেনজির ভুট্টো ।
৩. ইরানেও একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
উপসংহার : ইসলামের সামগ্রিক দিক বিবেচনা করলে নারীদের ক্ষেত্রে নারী নেতৃত্ব বৈধ ও বাঞ্ছনীয় হলেও ইসলামি রাষ্ট্র নারীর জন্য সর্বোচ্চ নেতৃত্ব প্রদান বৈধ নয়। কারণ, ইসলামি রাষ্ট্রের প্রধানের অন্যতম দায়িত্ব হলো কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমামতি। সুতরাং, ইসলামি রাষ্ট্রে রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করা নারীর জন্য বৈধ নয় ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ নারী নেতৃত্ব ইসলাম কি বলে | ইসলাম ধর্মে নারী নেতৃত্ব সম্পর্কে কি কি বলা হয়েছে
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম নারী নেতৃত্ব ইসলাম কি বলে | ইসলাম ধর্মে নারী নেতৃত্ব সম্পর্কে কি কি বলা হয়েছে । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।