খ্রিস্টান ধর্মে নারীর অবস্থা সংক্ষেপে লিখ
খ্রিস্টান ধর্মে নারীর অবস্থা সংক্ষেপে লিখ - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো খ্রিস্টান ধর্মে নারীর অবস্থা সংক্ষেপে লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের খ্রিস্টান ধর্মে নারীর অবস্থা সংক্ষেপে লিখ । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
খ্রিস্টান ধর্মে নারীর অবস্থা সংক্ষেপে লিখ |
খ্রিস্টান ধর্মে নারীর অবস্থা সংক্ষেপে লিখ
অথবা, খ্রিস্টান ধর্ম অনুসারে নারীর মর্যাদা বর্ণনা কর
উত্তর : সূচনা : পৃথিবীতে অনেক ধরনের ধর্ম বিদ্যমান। সেগুলোর মধ্যে খ্রিস্টান ধর্ম অন্যতম। প্রতিটি ধর্মে নারীকে দেয়া হয়েছে বিশেষ মর্যাদা ও অধিকার। খ্রিস্টান ধর্ম এর ব্যতিক্রম নয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের মর্যাদা দেয়া হয়নি।
১. খ্রিস্টান ধর্মে নারী : বাইবেল হলো খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থ। নারীর শিক্ষা, বিয়ে, স্বাস্থ্য ও সম্পত্তির বিষয়ে যাবতীয় বিধান ও ধারণা দেয়া হয়েছে।
২. মানুষ হিসেবে নারী : একজন বিশেষ মানুষ হিসেবে খ্রিস্টান ধর্মে নারীকে মর্যাদা দেয়া হয়েছে। তবে পুরুষকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। নারী বা স্ত্রীকে পুরুষের অধীনস্থ করা হয়েছে।
প্রত্যেক পুরুষের অধিকর্তা হলো যিশু, নারীর অধিকর্তা হলো তার স্বামী। বাইবেল ১ করিন্থিয় - ১১ : ৩.
৩. বিবাহ ক্ষেত্রে নারী : কুমারী মেয়েদের বিবাহ দেয়ার কথা বলা হয়েছে বাইবেলে । এতে বিধবা বিবাহ, পুনঃবিবাহ ও বিবাহ বিচ্ছেদ স্বীকৃত । এবং আরো বলা হয়েছে পরিচালকের মাত্র একজন স্ত্রী থাকবে। -(তীযখীয় ৩ : ১২ : ১)
৪. শিক্ষার ক্ষেত্রে নারী : শিক্ষা অর্জন করার ক্ষেত্রে খ্রিস্টান ধর্মে নারীকে মর্যাদা দেয়া হয়নি। শিক্ষা লাভের সামান্য ও নগণ্য পরিমাণ সুযোগ দেয়া হয়েছে, তবে পূর্ণ আনুগত্যের সাথে নারীকে শিক্ষা লাভ করতে হবে।
“নারী সম্পূর্ণ বশ্যতা পূর্বক মৌনভাবে শিক্ষা করুক। আমি উপদেশ দিবার কিংবা পুরুষের উপর কর্তৃত্ব করার অনুমতি নারীকে দেইনি । তবে মৌনভাবে থাকতে বলি ।” তীযখীয় – ২ : ২১ - ১২১.
৫. সম্পত্তিতে নারী : খ্রিস্টান ধর্মে নারীকে অল্প ও সীমিত আকারে সম্পত্তি দেয়া হয়েছে।
“বল, কেউ যদি অপুত্রক হয়ে মরে তবে তোমরা তার অধিকার (সম্পদ) তার কল্যাণে দিবে। মৃতের যদি কন্যাও না থাকে তাহলে সম্পত্তির উত্তরাধিকার পুরুষরা হবে” । গণনা পুস্তক ২৭ : ৮
উপসংহার : কিছু ক্ষেত্রে খ্রিস্টান ধর্ম নারীকে পুরুষের তুলনায় বৈষম্য করলেও সার্বিক দিক বিবেচনায় নারীকে যে অধিকার দিয়েছে তা অত্যন্ত কম ও স্বল্প, তবে সেটা ইতিবাচক। তাই নারীর মর্যাদা পূর্ণভাবে তুলে ধরা ও বাস্তবায়ন করা হলে নারীরা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হবে এবং নারী মর্যাদাবান হবে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ খ্রিস্টান ধর্মে নারীর অবস্থা সংক্ষেপে লিখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম খ্রিস্টান ধর্মে নারীর অবস্থা সংক্ষেপে লিখ । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।