ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থায় নারীর মর্যাদা সংক্ষেপে আলোচনা কর
ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থায় নারীর মর্যাদা সংক্ষেপে আলোচনা কর - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থায় নারীর মর্যাদা সংক্ষেপে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থায় নারীর মর্যাদা সংক্ষেপে আলোচনা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থায় নারীর মর্যাদা সংক্ষেপে আলোচনা কর |
ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থায় নারীর মর্যাদা সংক্ষেপে আলোচনা কর
ইসলামি শিক্ষা ব্যবস্থায় নারীর মর্যাদা সম্পর্কে যা জান উল্লেখ কর।
উত্তর : সূচনা : ইসলাম পূর্ববর্তী যত সভ্যতার বিকাশ লাভ করেছে, সকল সভ্যতাই নারীকে তুচ্ছ ও ছোট্ট পরিসরে দেখেছে। ইসলামই এ অবস্থা থেকে বের হয়ে নারীকে সর্বক্ষেত্রে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। ইসলাম নারীকে শিক্ষাসহ সর্বক্ষেত্রে দিয়েছে বিশেষ মর্যাদা। যাতে সমাজে ও দেশে নারী সম্মানের সাথে চলতে পারে ।
→ শিক্ষাক্ষেত্রে নারীর মর্যাদা : ইসলাম নারীকে জ্ঞান অর্জন করার জন্যে বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করেছে। কারণ মানবজাতির একটি বিশেষ অংশ নারী। নারীকে পুরুষের পাশাপাশি সহযোগী হিসেবে কাজ করতে হয়। আর সে জন্য প্রয়োজন শিক্ষা।
শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতি লাভ করতে পারে না। সেই জাতিই উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে যায়, যে জাতির শিক্ষার মান যত উন্নত। উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সম্ভব দেশকে উন্নতির চরম লক্ষ্য পৌঁছাতে ।
এ জন্য রাসুল (সা.) বিদ্যা অর্জনের প্রতি লক্ষ্য করে বলেছিলেন- বিদ্যা অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর উপর ফরজ বা আবশ্যক । রাসুল (সা.) বিদ্যার্জন করার জন্য সুদূর চীন দেশে পর্যন্ত যাওয়ার প্রতি উৎসাহ প্রদান করেছিলেন ।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আরো বলেছেন- দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞান অর্জন কর। বিদ্যা অর্জন সম্পর্কে পরিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন- পাঠ কর তোমার প্রভুর নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন, পাঠ কর তোমার প্রতিপালকের নামে, আর তোমার প্রতিপালক মহিমান্বিত যিনি কলমের দ্বারা শিক্ষা দিয়েছেন। (সূরা আলাক - ১৩৪ আয়াত)
শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করে ও বিদ্যা অর্জনের প্রতি গুরুত্ব দিয় যুগে যুগে নারী পুরুষের চাইতে অধিক সাফল্য অর্জন করেছে। অনেক সাহাবী ও তাবেয়ী হযরত আয়েশা (রা.) এর নিকট হাদিস ও তাফসীর এবং ফিকহের বিভিন্ন মাসয়ালা মাসায়েল সম্পর্কে শিক্ষা গ্রহণ করতেন।
সেই থেকে আজ পর্যন্ত নারীরা সমাজ ও দেশের প্রত্যেক ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে। ইসলামে শুধু নারী শিক্ষার কথা বলেননি; বরং ইসলামে দাসদাসীর শিক্ষার কথাও বলা হয়েছে ।
উপসংহার : একটি জাতির জন্যে শিক্ষা হচ্ছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সে জাতি ততো বেশি উন্নত। তাই ইসলাম জ্ঞান অর্জনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে।
জ্ঞান অর্জনকে ইসলামে প্রত্যেক নর-নারীর জন্য ফরজ করা হয়েছে। ইসলাম যে নারী শিক্ষার কথা বলা হয়েছে তার মূল্যায়ন করতে পারলে সমাজ ও রাষ্ট্র উন্নতির চরম শীর্ষে পৌঁছাতে সময় বেশি দিন লাগবে না ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থায় নারীর মর্যাদা সংক্ষেপে আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থায় নারীর মর্যাদা সংক্ষেপে আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।