ইসলামে স্ত্রীর মর্যাদা সম্পর্কে কি বলা হয়েছে
ইসলামে স্ত্রীর মর্যাদা সম্পর্কে কি বলা হয়েছে - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ইসলামে স্ত্রীর মর্যাদা সম্পর্কে কি বলা হয়েছে জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ইসলামে স্ত্রীর মর্যাদা সম্পর্কে কি বলা হয়েছে । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
ইসলামে স্ত্রীর মর্যাদা সম্পর্কে কি বলা হয়েছে |
ইসলামে স্ত্রীর মর্যাদা সম্পর্কে কি বলা হয়েছে
ইসলামে স্ত্রীর মর্যাদা সংক্ষেপে লিখ
উত্তর : সূচনা : ইসলাম নারীকে স্ত্রী হিসেবে যথাযথ মর্যাদা প্রদান করেছে। সংসার জীবনে নারী পুরুষ পরস্পর সম্পূরক। ইসলাম ধর্ম নারীকে কন্যা, স্ত্রী, মাতা হিসেবে বিশেষ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে।
→ স্ত্রী হিসেবে নারীর মর্যাদা : প্রশ্নের আলোকে স্ত্রীর মর্যাদা সম্পর্কে আলোচনা উপস্থাপন করা হলো :
১. বিবাহের মাধ্যমে : ইসলাম নারীকে যেসব মর্যাদার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে স্ত্রী হিসেবে নারীকে পুরুষের পরিপূরক করা হয়েছে। সংসার জীবনে নারী পুরুষ পরস্পর সম্পূরক করা হয়েছে। আল্লাহ তা'য়ালা বলেছেন- তোমরা তাদের ভূষণ এবং তারা তোমাদের স্বরূপ । (সূরা বাকারাহ –১৮৭)
২. মোহর প্রদান : স্ত্রীকে ইসলাম যে মর্যাদা দিয়েছে তার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ হলো মোহর। প্রত্যেক স্ত্রী স্বামীর নিকট থেকে এই মোহর পেয়ে থাকে। নারী-পুরুষের মধ্যে বিবাহ বন্ধনকে একটা সম্মানজনক মযার্দা দান ও নারীর আত্মমযার্দার স্বীকৃতি স্বরূপ ইসলাম স্ত্রীর মোহর ধার্য করা হয়েছে।
আল্লাহতা'য়ালা বলেছেন- আর তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহর দিয়ে দাও খুশিমনে। তারা যদি খুশি হয়ে তা থেকে অংশ ছেড়ে দেয়, তবে তা তোমরা ভোগ কর। (সূরা নিসা – 8 )
৩. সদাচরণ : ইসলাম স্ত্রীদের প্রতি সদাচরণের প্রতি নির্দেশ প্রদান করেছে। এ মর্মে আল্লাহতায়ালা বলেন, “আর তোমরা তাদের সাথে সুন্দর ব্যবহার কর। যদি তোমরা তাদেরকে অপছন্দ কর তবে এমন হতে পারে যে আল্লাহ যাতে প্রভূত কল্যাণ রেখেছেন, তোমরা তাকেই পছন্দ করছ। (সূরা-নিসা-১৯)
৪. উত্তরাধিকার : ইসলাম নারীকে সম্পদের অধিকার দানের মাধ্যমে মর্যাদা দান করেছেন। একজন্য নারী বিভিন্ন দিক থেকে সম্পদ লাভ করে। স্বামীর পক্ষ থেকে স্ত্রী সম্পত্তির অধিকার লাভ করে। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন- আর তোমাদের হতে অর্ধেক সম্পত্তি, যা ছেড়ে যায় তোমাদের স্ত্রীরা যদি তাদের সন্তান না থাকে, তবে তোমাদের এক চতুর্থাংশ ঐ সম্পত্তির, যা তারা ছেড়ে যায়। ওছিয়্যতের পর, যা তারা করে এর ঋণ পরিশোধের পর। স্ত্রীর জন্য এক চতুর্থাংশ হবে ঐ সম্পত্তির, যদি তোমাদের সন্তান না থাকে । (সূরা নিসা – ১২)
৫. সহবাসের অধিকার : ইসলাম পূর্ব যুগে নারীকে ভোগের পণ্য মনে করে ভোগ করা হতো। ইসলাম নারীকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ ও সহবাসের মর্যাদা দান করেছে। এটি নারী মর্যাদার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। এবং ঋতুমতী স্ত্রীর সাথে জোরপূর্বক মেলামেশা না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
আল্লাহ বলেছেন আর তোমার কাছে প্রশ্ন করা হয় হায়েজ সম্পর্কে। বলে দাও এটা অশুচি । কাজেই তোমরা হায়েজ অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক । (সূরা বাকারাহ- ২২২)
স্ত্রীর মর্যাদা সম্পর্কে কোরআন হাদিস : নারী ও পুরুষকে পরস্পরের বন্ধু ও সহযোগী, এমনকি স্বামী স্ত্রীকে পরস্পরের ভূষণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ বলেছেন . তারা তোমাদের ভূষণ এবং তোমরাও তাদের ভূষণ। (সূরা বাকারাহ- ১৮৭) রাসুল (সা.) বলেছেন – স্ত্রীদের কাছে যারা উত্তম, তারাই তোমাদের মধ্যে উত্তম। রাসুল (সা.) আরো বলেছেন তোমাদের যেরূপ অধিকার রয়েছে, তোমাদের উপরও তাদের অনুরূপ অধিকার রয়েছে।
রাসুল (সা.) আরো বলেছেন- - যে স্ত্রী তার স্বামীকে সন্তুষ্ট রেখেছে সে জান্নাতবাসী হবে।
উপসংহার : ইসলামই একমাত্র ধর্ম যা নারীকে সর্ববিষয়ে পূর্ণাঙ্গ অধিকার ও মর্যাদা দিয়েছে। ইসলামে নারীকে জন্ম থেকে কন্যা, স্ত্রী, মাতা হিসেবে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে। একজন সৎ স্ত্রী পারে তার সংসার জীবনকে সুখী ও সমৃদ্ধির পথে পরিচালিত করতে। সুতরাং, স্ত্রীর অধিকারের প্রতি প্রত্যেক স্বামীর সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ইসলামে স্ত্রীর মর্যাদা সম্পর্কে কি বলা হয়েছে
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ইসলামে স্ত্রীর মর্যাদা সম্পর্কে কি বলা হয়েছে । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।