হিন্দু আইনে স্ত্রীধন বলতে কী বুঝায়
হিন্দু আইনে স্ত্রীধন বলতে কী বুঝায় - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো হিন্দু আইনে স্ত্রীধন বলতে কী বুঝায় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের হিন্দু আইনে স্ত্রীধন বলতে কী বুঝায় । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
হিন্দু আইনে স্ত্রীধন বলতে কী বুঝায় |
হিন্দু আইনে স্ত্রীধন বলতে কী বুঝায়
- হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী স্ত্রীধন কী
- হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী স্ত্রীধন বলতে কী বুঝায়?
- হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী স্ত্রীধন বলতে কী বুঝায় আলোচনা কর
উত্তর : ভূমিকা : হিন্দু আইন অনুযায়ী জীবনস্বত্বে স্ত্রী, কন্যা, মাতা, পিতামহী, প্রপিতামহী এই পাঁচ শ্রেণির নারী উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তি পেয়ে থাকে। হিন্দু আইন অনুযায়ী একজন পিতা এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে মারা গেলে ছেলে মৃত পিতার সম্পূর্ণ সম্পত্তিই পেয়ে থাকে ।
মৃত পিতার সম্পত্তিতে মেয়ে কোনো অংশ পায় না। স্ত্রী বিধবা হলে তিনি জীবনসত্ত্বে মৃত স্বামীর সম্পত্তি ভোগ করতে পারেন।
তবে সম্পত্তি দান, বিক্রয় বা উইল করে যেতে পারেন না। হিন্দু আইন অনুযায়ী ‘জীবনস্বত্ব’ হলো যদি কোনো নারী উত্তরাধিকার সূত্রে কোনো সম্পত্তি পান তবে তিনি তার জীবিতকাল পর্যন্ত ঐ সম্পত্তি ভোগ করতে পারবেন।
স্ত্রীধন : হিন্দু আইন অনুযায়ী স্ত্রীধন হিন্দু নারীর এক প্রকার বিশেষ অধিকার। যে সমস্ত সম্পত্তিতে নারী সম্পূর্ণ স্বত্বের অধিকারী তাই স্ত্রীধন। এরূপ সম্পত্তি নারী তার ইচ্ছানুযায়ী ভোগ, দখল, দান, বিক্রয় এবং উইল করতে পারে এবং এক্ষেত্রে কোন আইনি সীমাবদ্ধতা নেই।
একটি মেয়ে কুমারী অবস্থায় কিংবা বিধবা অবস্থায় উত্তরাধিকার সূত্র ব্যতীত অন্য কোনোভাবে কোনো সম্পত্তি অর্জন করলে তা স্ত্রীধন রূপে পরিগণিত হবে।
যেমন : বিবাহ উপলক্ষে স্ত্রী যেসব উপহার পায় অথবা বিবাহিত অবস্থায় নারী তার নিকট আত্মীয়দের কাছ থেকে কোনো সম্পত্তি পেলে তাও স্ত্রীধন রূপে বিবেচিত হয়ে থাকে। হিন্দু আইন অনুযায়ী এরূপ যৌতুক স্ত্রীধন এবং এতে হিন্দু নারীর পূর্ণ অধিকার রয়েছে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, হিন্দু আইন অনুযায়ী সম্পত্তিতে জীবনসত্তের বিধান আরোপিত হওয়ার ফলে হিন্দু নারীরা প্রকৃত বিচারে অধিকারবিহীনভাবেই অধিকার ভোগ করে আসছে। এমনকি নারীরা এর দরুন স্ত্রীধনেরও সদ্ব্যবহার করতে পারছে না ।
ভারতে ১৯৫৬ সালে হিন্দু আইনের সংস্কারের মধ্য দিয়ে নতুন করে সম্পত্তি আইন পাস হবার ফলে সেখানে মৃত পিতার সম্পত্তিতে পুত্র ও কন্যার সম অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা হলেও বাংলাদেশের হিন্দু আইনের সৎস্কার বা সংযোজন না হওয়ার এদেশের নারীরা স্বামীর সম্পত্তি এখনও অধিকারবিহীনভাবেই ভোগ করে আসছে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ হিন্দু আইনে স্ত্রীধন বলতে কী বুঝায়
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম হিন্দু আইনে স্ত্রীধন বলতে কী বুঝায় । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।