হাজিব আল মনসুরের সামরিক সংস্কার সম্পর্কে লিখ
হাজিব আল মনসুরের সামরিক সংস্কার সম্পর্কে লিখ - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো হাজিব আল মনসুরের সামরিক সংস্কার সম্পর্কে লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের হাজিব আল মনসুরের সামরিক সংস্কার সম্পর্কে লিখ । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
হাজিব আল মনসুরের সামরিক সংস্কার সম্পর্কে লিখ |
হাজিব আল মনসুরের সামরিক সংস্কার সম্পর্কে লিখ
অথবা, হাজিব আল মনসুরের সেনা পুনর্গঠন সম্পর্কে লিখ
উত্তর : ভূমিকা : হাজিব আল মনসুর একজন দক্ষ শাসক ছিলেন। তিনি রাজ্যের শাসনভার গ্রহণ করে প্রথমে সেনাবাহিনীর সংস্কারে মনোনিবেশ করেন। কারণ তিনি জানতেন একটি রাজ্যের - আত্মনিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বজায় রাখতে প্রথমেই জরুরি তার সেনাবাহিনীর পুনর্গঠন।
তিনি পূর্ববর্তী শাসকদের সেনা সংগঠনের পদ্ধতি বাতিল করে নিজস্ব পন্থায় সৈন্যবাহিনী গঠন করেন। তার সেনাবাহিনীতে খ্রিস্টান, ইহুদি, বার্বারগণ যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে স্থানলাভ করতো। তিনি সেনাবাহিনীতে আরব আভিজাত্য প্রথা রহিত করে একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীতে পরিণত করেন।
→ সেনাবাহিনী পুনর্গঠন : বেসামরিক প্রশাসনের মত সামরিক ক্ষেত্রেও আবু আমির মুহাম্মদ কৃতিত্বের পরিচয় দান করেন। খ্রিস্টান নৃপতিদের সামরিক হুমকি মুসলিম স্পেনের শান্তিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাকে বিঘ্নিতই করেনি, বরং এর অস্তি ত্বকেই বিপন্ন করে।
ইবনে খালদুনের মতে, হাজিব আল মনসুর মোট বায়ান্নটি সমরাভিযান করেন এবং প্রত্যেকটিতে বিজয় লাভ করেন। তার এ সাফল্যের পশ্চাতে রয়েছে তার সুশৃঙ্খল ও সুনিয়ন্ত্রিত সেনাবাহিনী।
গালিবের পক্ষপাতিত্ব ও অবহেলার দরুন সেনাবাহিনী পূর্বের শৃঙ্খলাবোধ হারিয়ে ফেলে। উত্তর আফ্রিকায় অবস্থানকালে আবু আমির মাগরিবি সেনাদের দক্ষতায় মুগ্ধ হন এবং তাদের সেনাবাহিনীতে ভর্তি করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সিউটার গভর্নরের হস্তক্ষেপে এসব বার্বার বাহিনী তার সেনাবাহিনীতে যোগদান করে। আল মনসুর তাদের কর্ডোভায় সাদরে গ্রহণ করেন এবং উন্নতমানের যুদ্ধাস্ত্র ও অশ্ব দ্বারা সুসজ্জিত করেন।
এ খবর শুনে বহু বার্বার ও সুদানী স্বেচ্ছাসেবক নতুন হাজিবের সেনাদলে যোগ দিতে শুরু করে। বার্বার সৈন্যগণ দুই শ্রেণির ছিল । প্রথম শ্রেণি বেতনভোগী নিয়মিত সেনা এবং দ্বিতীয় শ্রেণি ছিল স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী।
দেশের উত্তরাঞ্চলের খ্রিস্টানগণ বার্বারদের ন্যায় অধিক সংখ্যায় কর্ডোভার সেনাবাহিনীতে যোগদান করে। গোত্রীয় কলহ দূর করার জন্য আল মনসুর আরব সৈন্যদিগকে বার্বার ও খ্রিস্টান বেতনভোগী সৈন্যদের মধ্যে ভাগাভাগি করে দেন।
এভাবে সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলাবোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং দক্ষ ও অনুগত সেনাপতি নিয়োগ করা হয়। বিদেশি বেতনভুক সৈনিকদের আনুগত্য সম্পর্কে তার পূর্ণ আস্থা ছিল ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, হাজিব আল মনসুর তার সামরিক সংগঠনকে শক্ত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করে যে সাফল্য অর্জন করেন তাতে উমাইয়া খিলাফতের অসামন্য প্রভাব ও প্রতিপত্তি সুদৃঢ়রূপে প্রতিষ্ঠিত হয়। তৃতীয় আব্দুর রহমান ব্যতীত অন্য কোনো রাজত্বে স্পেনিশ ইসলামের সূর্য এরূপ প্রতিভাত হয়নি এবং এতো সামরিক সাফল্য অর্জিত হয়নি।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ হাজিব আল মনসুরের সামরিক সংস্কার সম্পর্কে লিখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম হাজিব আল মনসুরের সামরিক সংস্কার সম্পর্কে লিখ । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।