বৌদ্ধ ধর্মে নারীর মর্যাদা সংক্ষেপে আলোচনা কর
বৌদ্ধ ধর্মে নারীর মর্যাদা সংক্ষেপে আলোচনা কর - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বৌদ্ধ ধর্মে নারীর মর্যাদা সংক্ষেপে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বৌদ্ধ ধর্মে নারীর মর্যাদা সংক্ষেপে আলোচনা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
বৌদ্ধ ধর্মে নারীর মর্যাদা সংক্ষেপে আলোচনা কর |
বৌদ্ধ ধর্মে নারীর মর্যাদা সংক্ষেপে আলোচনা কর
উত্তর : সূচনা : পৃথিবীতে অনেক ধরনের ধর্ম বিদ্যমান। সেগুলোর মধ্যে বৌদ্ধ ধর্ম অন্যতম একটি ধর্ম। পৃথিবীর সকল ধর্মে নারীর অধিকার ও মর্যাদা দিয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মও তাদের ব্যতিক্রম নয় । বৌদ্ধ ধর্মে নারীর অবস্থান সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
→ বৌদ্ধ ধর্মে নারীর অবস্থান : পৃথিবীর অন্যান্য ধর্মের ন্যায় বৌদ্ধ ধর্মেও নারীকে শিক্ষা, বিবাহ, সম্পত্তির ক্ষেত্রে বিশেষ অধিকার ও মর্যাদা দিয়েছে। বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থের নাম হলো ত্রিপিটক। নিম্নে বৌদ্ধ ধর্মে নারীর অবস্থান তুলে ধরা হলো –
১. মানুষ হিসেবে : বৌদ্ধ ধর্মে নারীকে মানুষ হিসেবে গণ্য করলেও নারীদের প্রতি বৈষম্য এড়াতে পারেনি। কেননা, খ্রিস্টান ও হিন্দু ধর্মের মতো বৌদ্ধ ধর্মেও নারীর তুলনায় পুরুষকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
ছোট বয়স থেকে বৌদ্ধ নারীদের স্বামীর প্রতি অনুগত থাকার কথা শেখানো হয় । আর স্ত্রীদের কাজ সম্পাদন করা হলো তাদের দায়িত্ব। ঘরের মধ্যেই নারীরা আবদ্ধ থাকে ।
২. বিবাহের ক্ষেত্রে নারী : বৌদ্ধ ধর্মে নারীর বিয়ের সম্পর্কে তেমন কোন নির্দেশনা নেই । তবে বিয়ের আনুষঙ্গিক যাবতীয় কার্য- কলাপ বৌদ্ধ ধর্মের চরম লক্ষ্যের পরিপন্থী বলে মনে করা হয় ।
বৌদ্ধ ধর্মের অন্যতম একটি লক্ষ্য হলো সকল কামনা-বাসনার বিলোপ সাধন। তাই ধর্মের লক্ষ্য পূরণ করার জন্য চিরকুমার থাকা আবশ্যক ।
৩. সম্পত্তির ক্ষেত্রে নারী : বৌদ্ধ ধর্মে বৌদ্ধদের সার্বিক বিষয়ে বিভিন্ন নির্দেশনা থাকলেও সম্পত্তির অধিকার সম্পর্কে তেমন কোন দিক নির্দেশন নেই ।
৪. শিক্ষা ক্ষেত্রে নারী : বৌদ্ধ ধর্মে নারীর শিক্ষার ক্ষেত্রে জোর দেয়া হয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মে নারীরা ভিক্ষুণী সংঘে ভর্তি হয় এবং সেখান থেকে ধর্ম বিষয়ক শিক্ষা লাভ করে। বুদ্ধ বলেন, “ক্ষেমা, উৎপল বর্না ধম্ম, দিন্না, ভাদ্দ কাপিলানীর ন্যায় ভিক্ষুণীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে আমাদের ধর্মের মঙ্গল ব্যতীত অমঙ্গল হবে না।” উক্ত এই কথাগুলো বুদ্ধ নারীদের বিশুদ্ধভাবে ব্রহ্মাচার্য পালন করতে দেখে বলেছিলেন ।
উপসংহার : বৌদ্ধ ধর্মে নারীর কোন অধিকার ও মর্যাদার কথা উল্লেখ করা হয়নি, তবে সামান্য যেগুলো আছে তা যদি বাস্তবায়ন করা হতো তাহলে নারীরা মর্যাদাবান হতো।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বৌদ্ধ ধর্মে নারীর মর্যাদা সংক্ষেপে আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বৌদ্ধ ধর্মে নারীর মর্যাদা সংক্ষেপে আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।