বিদেশে নারী কর্মসংস্থান সম্পর্কে আলোচনা কর
বিদেশে নারী কর্মসংস্থান সম্পর্কে আলোচনা কর - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বিদেশে নারী কর্মসংস্থান সম্পর্কে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বিদেশে নারী কর্মসংস্থান সম্পর্কে আলোচনা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
বিদেশে নারী কর্মসংস্থান সম্পর্কে আলোচনা কর |
বিদেশে নারী কর্মসংস্থান সম্পর্কে আলোচনা কর
বিদেশে নারী কর্মসংস্থান সম্পর্কে ধারণা দাও
উত্তর : ভূমিকা : বাংলাদেশের পিতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় লিঙ্গভিত্তিক বিভাজনে নারীদের গৃহস্থালির কাজ করতে ও পুরুষদের পাবলিক গণ্ডিতে কাজ করতে দেখা যায়। গৃহস্থালির কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও নারীরা অন্যান্য উপার্জনমূলক কাজও করতে থাকে।
নারীরা কৃষি শিল্প ছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রে নীরবে অবদান রেখে চলেছে। নারীদের এরূপ নীরব অবদানের একটি ক্ষেত্র হলো বিদেশে নারী কর্মসংস্থান । বর্তমানে দেশের সবচেয় বড় খাত তথা রেমিটেন্স প্রবাহে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে ।
বিদেশে নারী কর্মসংস্থান : বাংলাদেশ থেকে পুরুষ কর্মীদের বিদেশে কর্মসংস্থান কমলেও বিদেশে নারী কর্মীদের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে সাড়ে তিন লাখেরও বেশি নারী ১৮টি দেশে কর্মরত রয়েছে।
যার দুই লাখের বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে বিগত পাঁচ বছরে এবং যারা আয়ের সিংহভাগই দেশে পাঠিয়ে জাতীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে চলেছে। ২০১২ সালের পূর্বে বিদেশে কর্মসংস্থানের মাত্র ৫ শতাংশ নারী হলেও ২০১৪ সালে এসে তা ১৮ শতাংশে এবং চলতি বছরের প্রথম দুই মাসেই তা বেড়ে ২২ শতাংশে উন্নীত হয় ।
তথ্যসূত্র : প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (BMIT)। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, গত কয়েক বছরে আমাদের নারী কর্মীদের বিদেশ যাওয়া অনেক বেড়েছে।
কেবল গৃহকর্মী নয়, ভবিষ্যতে চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে দক্ষ নারী কর্মীদেরও বিদেশে পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে ভাবছে সরকার । তিনি আরও বলেন, নারীদের অধিকার ও মর্যাদার বিষয়েও আমরা এখন খুব সচেতন। আইএলও আইওএম সবাই এ বিষয়ে সোচ্চার।
সরকার ও অভিবাসী নারীদের নিয়ে কাজ করে এরূপ সংস্থাগুলো বিদেশে নারী কর্মীদের এই সংখ্যাকে ইতিবাচক হিসেবে মন্তব্য করে বলেছে, এটি নারী ক্ষমতায়নের একটি বড় পদক্ষেপ। তবে নারী শ্রমিকেরা যেন বিদেশে নির্যাতন, নিপীড়ন ও হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে শ্রমিকদের সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ জরুরি।
বাংলাদেশ মহিলা অভিবাসী শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশন (বমসা)-এর পরিচালক বলেন “একজন পুরুষ প্রবাসী কর্মী হয়তো কিছু টাকা বিদেশে খরচ করেন কিন্তু একজন নারী শ্রমিক তার আয়ের পুরোটাই দেশে পাঠান। যার ফলে বর্তমানে সাড়ে তিন লাখ নারী কর্মীর প্রবাসী আয়ের পুরাটাই দেশে আসছে।”
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে বিশ্বে কর্মসংস্থান নারীদের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। এই খাতে নারীদের আগ্রহী ও উদ্যোগী করে তুলতে যেমন সরকারের প্রচার ও প্রসার প্রয়োজন তেমনি বিদেশে কর্মরত নারীদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে উদীয়মান এই খাতে যেমন নারীদের আগ্রহ বাড়বে তেমনি দেশ মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সক্ষম হবে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বিদেশে নারী কর্মসংস্থান সম্পর্কে আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বিদেশে নারী কর্মসংস্থান সম্পর্কে আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।