বিবাহ বিচ্ছেদ পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা কর
বিবাহ বিচ্ছেদ পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা কর - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বিবাহ বিচ্ছেদ পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বিবাহ বিচ্ছেদ পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
বিবাহ বিচ্ছেদ পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা কর |
বিবাহ বিচ্ছেদ পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা কর
উত্তর : ভূমিকা : বিয়ের মাধ্যমে সৃষ্ট সম্পর্ক আইনসম্মত উপায়ে ভেঙে দেওয়াকেই বিবাহ বিচ্ছেদ বা তালাক বলা হয়। বিবাহ বিচ্ছেদ বিভিন্নভাবেই হতে পারে; যেমন :
(i) স্বামীর পক্ষ থেকে;
(ii) স্ত্রীর পক্ষ থেকে;
স্ত্রীর পক্ষ থেকে বিবাহ বিচ্ছেদ বিভিন্ন উপায়েই হয়ে থাকে; যেমন :
(ক) আদালতের মাধ্যমে;
(খ) তালাক-ই-তৌফিজের মাধ্যমে; (
গ) খুলার মাধ্যমে,
(iii) স্বামী-স্ত্রী উভয়ের পক্ষ থেকে মুবারতের মাধ্যমে ।
বিবাহ বিচ্ছেদ পদ্ধতি : বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী একজন মুসলিম পুরুষ যে কোনো সময় তার স্ত্রীকে তালাক দিকে পারে। তবে তালাক মৌখিক বা লিখিত যে ভাবেই হোক না কেন তা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয় না।
১৯৬১ সালের পারিবারিক আইন অনুযায়ী যদি কোনো ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তালাক দেবার ইচ্ছা পোষণ করে তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে তালাক সংক্রান্ত নোটিশ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পাঠাতে ' হবে। একই সাথে নোটিশের আরও একটি কপি স্ত্রীর নিকট পাঠাতে হবে। এই ধারা না মানলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
নোটিশ পাওয়ার ত্রিশ দিনেও মধ্যে চেয়ারম্যান স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পুনঃমিলন ঘটানো উদ্দেশ্যে সালিশি পরিষদ গঠন করবেন এবং তাদের উভয়ের মধ্যে সমঝোতা আনয়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন । আর সমঝোতা না হলে নব্বই দিনের পরে তালাক কার্যকর হবে।
আবার তালাকের সময় স্ত্রী যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তবে সন্তান না হওয়া পর্যন্ত বা নব্বই দিন পর্যন্ত যা পরে ঘটবে ততদিন পর্যন্ত তালাক কার্যকর হবে না।
এই নব্বই দিনের মধ্যে স্বামী নোটিশ প্রত্যাহার করলে তালাক কার্যকর হবে না। নব্বই দিন অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত তারা স্বামী-স্ত্রী রূপে বিবেচিত হবে এবং এ সময় পর্যন্ত স্ত্রী স্বামীর নিকট হতে ভরণপোষণ পাবে।
তবে স্বামী যদি শর্তপূরণ নাও করেন সে ক্ষেত্রেও তালাক কার্যকর হবে। বিয়ের সময় স্বামী স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দিতে বা স্ত্রীর তালাকের অধিকার খর্ব করতে পারেন । নিকাহনামার ১১ নম্বর ঘরে স্বামীকে এই অধিকার লিপিবদ্ধ করতে হয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত পারিবারিক আইন রাষ্ট্রীয় আইনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও খুব কম সংখ্যা ক্ষেত্রে এগুলোর প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়। কারণ আইনগুলোর বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রই অনেক ক্ষেত্রে নায়বিচার পাবার সম্ভাবনাকে ক্ষীণ করে তোলে।
আবার অনেক সময় স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপে সমঝোতার আসতে হয় বা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নারীদের ক্ষতি মেনে নিতে বাধ্য হতে হয় ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বিবাহ বিচ্ছেদ পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বিবাহ বিচ্ছেদ পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।