সরিষাতে কোন ধরনের পরাগায়ন ঘটে

সরিষাতে কোন ধরনের পরাগায়ন ঘটে - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সরিষাতে কোন ধরনের পরাগায়ন ঘটে জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সরিষাতে কোন ধরনের পরাগায়ন ঘটে

সরিষাতে কোন ধরনের পরাগায়ন ঘটে
                                                                                                                                                               Q
ক. প্রজনন কী?

খ. সরিষাতে কোন ধরনের পরাগায়ন ঘটে? ব্যাখ্যা করো।

গ. 'Q' (i) এ গ্যামেটোফাইটের উৎপত্তি বর্ণনা করো।

ঘ. “P” এবং ‘Q' তে সংঘটিত পরাগায়নের মধ্যে কোনটির সুবিধা বেশি— মতামত দাও ৷

আরো পড়ুনঃ জৈব বিবর্তন কী

৭ নং প্রশ্নের উত্তর

. কোনো জীবের তার বংশধর সৃষ্টি করার প্রক্রিয়াই হলো প্রজনন ।

. সরিষাতে সাধারণত পর-পরাগায়ন ঘটে। সরিষা ফুল বড়, রঙিন এ মধুগ্রন্থিযুক্ত হয়। এর পরাগরেণু ও গর্ভমুণ্ড আঁঠালো ও সুগন্ধযুক্ত হয়। 

ফলে বিভিন্ন পতঙ্গ যেমন- মৌমাছি সরিষা ফুলের প্রতি আকৃষ্ট হয় ও পর-পরাগায়নে সহায়তা করে। তবে সরিষা উভলিঙ্গ হওয়ায় এতে স্ব- পরাগায়নও ঘটে।

. উদ্দীপকের Q (i) হলো শিমুল এর পুং ফুল। পুং-গ্যামেটোফাইটের উৎপত্তি নিচে বর্ণনা করা হলো-

প্রাথমিক পরাগরেণু মাতৃকোষ (2n) মিয়োসিস বিভাজনের ফলশ্রুতিতে পরাগরেণু তৈরি হয় যা হ্যাপ্লয়েড (n) নিউক্লিয়াস বহন করে। পরাগরেণু পরাগথলিতে থাকা অবস্থায় নিউক্লিয়াসটি মাইটোসিস পদ্ধতিতে বিভাজিত হয়। 

এ বিভাজনে একটি বড় নিউক্লিয়াস (n) ও একটি ক্ষুদ্র নিউক্লিয়াস (n) সৃষ্টি হয়। বড়টি নালিকা নিউক্লিয়াস ও ক্ষুদ্রটি জেনারেটিভ বা জনন নিউক্লিয়াস নামে পরিচিত। 

নালিকা নিউক্লিয়াসটি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে পরাগনালি এবং জেনারেটিভ নিউক্লিয়াসটি মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে দু'টি হ্যাপ্লয়েড (n) পুং জননকোষ তথা পুংগ্যামেট সৃষ্টি করে।

. উদ্দীপকের P উভলিঙ্গ ফুল হওয়ায় এতে স্ব-পরাগায়ন ঘটে। অপরদিকে, Q-তে পর-পরাগায়ন ঘটে। স্ব-পরাগায়নের ফলে পরাগরেণুর অপচয় কম হয় এবং পরাগায়নের জন্য বাহকের উপর নির্ভর করতে হয় না। অন্যদিকে, 

পর-পরাগায়নে পরাগরেণুর অপচয় বেশি হয় এবং পরাগায়নের জন্য বাহকের উপর নির্ভর করতে হয়। স্ব-পরাগায়নে সৃষ্ট প্রজাতির গুণাগুণ অক্ষুণ্ণ থাকে, ফলে কোনো নতুন উপ-প্রজাতি বা প্রকরণ সৃষ্টি হয় না। অপরপক্ষে, পর-পরাগায়নে সৃষ্ট উদ্ভিদের প্রজাতিক গুণাবলি পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন উপ-প্রজাতির বা প্রকরণ সৃষ্টি হয়। স্ব- পরাগায়নে সৃষ্ট নতুন প্রজন্মের গাছ কম জীবনীশক্তি সম্পন্ন বীজের সৃষ্টি করে, ফলে বীজের অঙ্কুরোদগমের হার কমে যায়। 

তবে, পর-পরাগায়নে সৃষ্ট নতুন প্রজন্মের গাছের বীজ অধিক জীবনীশক্তি সম্পন্ন হয়, ফলে বীজের অঙ্কুরোদগমের হার বৃদ্ধি পায়। স্ব-পরাগায়নে সৃষ্ট নতুন গাছের অভিযোজন ক্ষমতা কমে যায় এবং এ প্রজাতির বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পর-পরাগায়নে সৃষ্ট নতুন গাছের অভিযোজন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং প্রজাতির বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না ।

সুতরাং, উপরের আলোচনা থেকে বলা যায় যে, স্ব-পরাগায়নের চেয়ে পর-পরাগায়ন বেশি সুবিধাজনক।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ সরিষাতে কোন ধরনের পরাগায়ন ঘটে

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সরিষাতে কোন ধরনের পরাগায়ন ঘটে যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ