স্কেলিটাল যোজক টিস্যু কাকে বলে
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো স্কেলিটাল যোজক টিস্যু কাকে বলে জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের স্কেলিটাল যোজক টিস্যু কাকে বলে
জীবদেহের প্রয়োজনীয় শক্তি ও বৃদ্ধি সাধনের জন্য পূর্ণ ভূমিকা রাখে। শ্বসন প্রক্রিয়ায় জটিল খাদ্যদ্রব্য ভেঙে সরল পরিণত হয় । এই খাদ্যের জন্য সকল জীব উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল।
ক. মনেরা রাজ্যের জীবদের কোন ধরনের শ্বসন হয়?
খ. স্কেলিটাল যোজক টিস্যু কাকে বলে?
গ. একটি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করো যে-শ্বসন প্রক্রিয়ায় তাপ উৎপন্ন হয়।
ঘ. উদ্দীপকের শেষোক্ত উক্তিটি মূল্যায়ন করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. মনেরা রাজ্যের জীবদের অবাত শ্বসন হয়।
খ. দেহের অভ্যন্তরীণ কাঠামো গঠনকারী টিস্যুকে কঙ্কাল যোজক কলা বা স্কেলেটাল যোজক টিস্যু বলে। এই টিস্যু অভ্যন্তরীন কাঠামো গঠন, রক্তকণিকা উৎপাদন, অঙ্গ সঞ্চালন ও চলন ইত্যাদি কাজ করে থাকে।
গ. নিম্নে একটি পরীক্ষার মাধ্যমে শ্বসন প্রক্রিয়ায় যে তাপ উৎপন্ন হয় তা
প্রমাণ করা হলো-
দুটি থার্মোফ্লাক্স 'ক' ও 'খ' চিহ্নিত নিই। 'ক' চিহ্নিত থার্মোফ্লাক্সে কিছু পানিসহ অঙ্কুরিত ছোলাবীজ নেই। একটি ছিদ্রযুক্ত রাবার কর্কের মধ্য দিয়ে থার্মোমিটার প্রবেশ করিয়ে তা দিয়ে 'ক' থার্মোফ্লাক্সটি ভালো করে বন্ধ করে দেই। অবশিষ্ট অঙ্কুরিত ছোলাগুলোকে ১০% ফুটন্ত মারকিউরিক ক্লোরাইড দ্রবণে ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখি।
তারপর 'খ' চিহ্নিত থার্মোফ্লাস্কে ছিদ্রযুক্ত কর্কে থার্মোমিটার ঢুকিয়ে ঐ ছোলাসহ থার্মোফ্লাক্সের মুখ বন্ধ করে দেই। এবার থার্মোফ্লাক্স দুটি সাধারণ তাপমাত্রায় কয়েক ঘণ্টা রেখে দেই। কিছুক্ষণ পর দেখা যাবে 'ক' চিহ্নিত ফ্লাক্সের থার্মোমিটারের তাপমাত্রা বাড়ছে আর অপর থার্মোমিটারের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত রয়েছে।
এর মূল কারণ 'ব' চিহ্নিত ফ্লাক্সের ছোলাবীজের শ্বসন প্রক্রিয়া আহত রয়েছে। তাই তাপ নির্গমন হয়েছে। কিন্তু অপর ফ্লাক্সের বীজগুলো মারকিউরিক ক্লোরাইড দ্রবণে ডোবানোর ফলে মরে গেছে। ফলে শ্বসন প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়নি এবং থার্মোমিটারের তাপমাত্রাও বাড়েনি।
ঘ. উদ্দীপকের উল্লিখিত শেষোক্ত উক্তিটি হলো 'খাদ্যের জন্য সকল জীব উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল'। নিচে বিশ্লেষণমূলক আলোচনা থেকে তা বোঝানো হলো—
প্রতিটি জীবেরই বেঁচে থাকার জন্য শক্তির প্রয়োজন। জীব খাদ্যের মাধ্যমে প্রাপ্ত রাসায়নিক শক্তিকে ব্যবহার করে বিভিন্ন জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া সচল রাখে। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ নিজের খাদ্য নিজেই প্রস্তুত করে থাকে কিন্তু প্রাণীরা তা পারে না।
ফলে তারা খাদ্যের জন্য উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল হয়। উদ্ভিদ তার প্রস্তুতকৃত খাদ্য বিভিন্ন, জৈবিক কাজের জন্য ব্যবহার করে এবং বাকি অংশ সঞ্চিত রাখে। এই খাদ্য খেয়ে প্রাণীরা জীবনধারণ করে। আমরা খাদ্য হিসেবে ভাত, রুটি, ফলমূল, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ইত্যাদি যাই গ্রহণ করি না কেন তার সবই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সবুজ উদ্ভিদ থেকে এসে থাকে।
উদ্দীপকের প্রক্রিয়ায় শর্করা উৎপন্ন না হলে উদ্ভিদ ও প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য শক্তি প্রয়োজন, যা খাদ্য থেকে শক্তি লাভ করতে পারবে। ফলে উদ্ভিদ ও প্রাণীর অস্তিত্ব টিকে থাকবে।
সুতরাং আলোচনা শেষে বলা যায়, খাদ্যের জন্য সকল জীব উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ স্কেলিটাল যোজক টিস্যু কাকে বলে
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম স্কেলিটাল যোজক টিস্যু কাকে বলে যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।