রঞ্জকে জীবকোষের নদী বলা হয় কেন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো রঞ্জকে জীবকোষের নদী বলা হয় কেন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের রঞ্জকে জীবকোষের নদী বলা হয় কেন
নিচের উদ্দীপকটি লক্ষ করো-
A → উদ্ভিদের খাদ্য তৈরির প্রক্রিয়া
B → উদ্ভিদের শক্তি তৈরির প্রক্রিয়া
ক. ডিফসফোরাইলেশন কী?
খ. রঞ্জকে জীবকোষের নদী বলা হয় কেন?
গ. উল্লিখিত 'B' প্রক্রিয়ার যে ধাপগুলো শক্তিঘরে সংঘটিত হয় তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. 'A' প্রক্রিয়ার গুরুত্ব বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. যে প্রক্রিয়ায় ফসফেট যুক্ত যৌগ (AMP, ADP, ATP ) থেকে ফসফেট মুক্ত হয়, তাই ডিফসফোরাইলেশন ।
খ. নদী পানিতে বা তরলে পূর্ণ, যা বিভিন্ন সামগ্রী পরিবহনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। ঠিক তেমনিভাবে রক্ত তরল, যার প্রায় ৯২% পানি।
রক্ত জীবদেহের সকল স্থানে তথা সকল কোষে পুষ্টি উপাদান ও অক্সিজেন পরিবহন করে। আবার কোষ থেকে CO2 ও অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ রক্তের মাধ্যমেই বাহিত হয়ে দেহের বাইরে নির্গত হয়।
যেহেতু রক্ত নদীর মতো জীবকোষে বা কোষ থেকে বিভিন্ন উপাদান পরিবহনে ভূমিকা রাখে, সে কারণে রক্তকে জীবকোষের নদী বলা হয়।
গ. উল্লিখিত 'B' প্রক্রিয়াটি হলো শ্বসন, যার মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন হয়। শক্তিঘর তথা মাইটোকন্ড্রিয়ায় শ্বসনের ক্রেবস চক্র এবং ইলেকট্রন প্রবাহতন্ত্ৰ সংঘটিত হয়। নিচে এর ব্যাখ্যা দেওয়া হলো—
ক্রেবস চক্র: ক্রেবস চক্রে ২ কার্বন বিশিষ্ট অ্যাসিটাইল কো-এ জারিত হয়ে দুই অণু CO, উৎপন্ন হয়। কার্বন ডাইঅক্সাইড ছাড়াও এ চক্রে এক অণু অ্যাসিটাইল কো-এ থেকে তিন অণু NADH + H', এক অণু FADH, এবং এক অণু GTP উৎপন্ন হয়। ক্রেবস চক্রে মোট দুই অণু অ্যাসিটাইল কো-এ থেকে মোট চার অণু CO2, ৬ অণু NADH+H', দুই অণু FADH, এবং দুই অণু GTP উৎপন্ন হয়।
ইলেকট্রন প্রবাহতন্ত্র: এ ধাপে পূর্ব ধাপসমূহে উৎপন্ন NADH+H', FADH, জারিত হয়ে ATP, পানি, ইলেকট্রন ও প্রোটন উৎপন্ন হয়। উচ্চ শক্তি সম্পন্ন ইলেকট্রন ইলেকট্রন প্রবাহতন্ত্রের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় শক্তি নির্গত হয়। সেই শক্তি ATP তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
ঘ. উদ্দীপকের 'A' অর্থাৎ উদ্ভিদের খাদ্য তৈরির প্রক্রিয়াটি হলো সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া। জীবজগতের জন্য এ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়াটির গুরুত্ব অপরিসীম। নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলো-
প্রকৃতিতে একমাত্র সবুজ উদ্ভিদই সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরি করতে পারে। কোনো প্রাণীই তার নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে না। খাদ্যের জন্য তাই সমগ্র প্রাণিকূলকে সম্পূর্ণভাবেই সবুজ উদ্ভিদের ওপর নির্ভর করতে হয়।
কাজেই বলা যায়, পৃথিবীর সকল উদ্ভিদ ও প্রাণীর খাদ্য সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে তৈরি হয়। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়, বিশেষ করে O, ও CO2 এর সঠিক অনুপাত রক্ষায় সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হলে তা হবে জীবজগতের জন্য হুমকিস্বরূপ। সকল জীব শ্বসন প্রক্রিয়ায় O2 গ্রহণ করে এবং CO2 ত্যাগ করে। কেবলমাত্র শ্বসন প্রক্রিয়া চলতে থাকলে বায়ুমণ্ডলে O2 গ্যাসের স্বল্পতা এবং CO2 গ্যাসের আধিক্য দেখা দিত।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ রঞ্জকে জীবকোষের নদী বলা হয় কেন
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম রঞ্জকে জীবকোষের নদী বলা হয় কেনযদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।