প্রথম আব্দুর রহমানের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো প্রথম আব্দুর রহমানের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের প্রথম আব্দুর রহমানের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর ।
প্রথম আব্দুর রহমানের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর |
প্রথম আব্দুর রহমানের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর
- প্রথম আব্দুর রহমানের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলো লিখ।
- প্রথম আব্দুর রহমানের চারিত্র কেমন ছিল?
উত্তর : ভূমিকা : স্পেনে উমাইয়া আমিরাতের প্রতিষ্ঠাতা প্রথম আব্দুর রহমান বিভিন্নমুখী প্রতিভা ও অপূর্ব কৃতিত্ব এবং মোহনীয় চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। আপোষহীন চরিত্রের জন্যই তার পক্ষে সম্ভব হয়েছিল এক নতুন এবং অজানা দেশের নেতৃত্বদানের ক্ষমতা। তার সদগুণের জন্য তিনি সবার প্রিয়পাত্র হয়েছিলেন ।
→ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য : প্রথম আব্দুর রহমান অপূর্ব চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিলেন। নিম্নে তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বিভিন্ন দিক আলোচনা করা হলো :
আব্দুর রহমান ত্রুটিযুক্ত দৃষ্টিশক্তির অধিকারী হলেও তিনি ছিলেন একজন দীর্ঘ, সুঠামদেহী ও সুদর্শন মানুষ। তার গায়ের রং ছিল সুন্দর। তার চুলের রং ছিল সোনালী যা পাকানো বেণির রূপে মুখের দুপাশে ঝুলে পড়তো। ভাগ্যের উপর তার দারুণ আস্থা ছিল ।
তিনি প্রয়োজন মতো কঠোর ও আপোষ প্রবণ, নির্মম ও ক্ষমাশীল হতে পারতেন। তিনি একজন বিচক্ষণ ব্যক্তি এবং এদিক থেকে উমাইয়া বংশের প্রতিষ্ঠাতা মুয়াবিয়ার সাথে তার সাদৃশ্য ছিল ।
তিনি ছিলেন মনেপ্রাণে একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ। সারা জীবন তিনি নেশাকর পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকেন।
স্ত্রীলোকের প্রতি তার কোনো আকর্ষণ ছিল না। তিনি সর্বদা সাদা পোষাক পরিধান করতেন। তিনি ছিলেন অতিথিপরায়ণ এবং কাউকে তার সাথে দুপুর ও রাতের খাবার না খেয়ে প্রাসাদ ত্যাগ করতে দিতেন না ।
আব্দুর রহমান সদয় প্রকৃতির ও সুবিবেচক ছিলেন। কর্তব্যনিরূপণে তার সততার পরিচয় পাওয়া না গেলেও; তিনি অবিচলিতভাবে অধ্যবসায়ের সাথে স্বীয় সংকল্প কাজে পরিণত করতেন।
তিনি অতি কর্মঠ ছিলেন, কখনও বিশ্রাম বা ইন্দ্রিয় সেবায় মগ্ন থাকতেন না। তিনি সাহসী সুনিপণ যোদ্ধা ছিলেন।
রণক্ষেত্রে তিনিই বরাবর সৈন্য চালনা করতেন। তিনি নিজের ইচ্ছা বা প্রতিকূলতা সহ্য করতে পারতেন না। তার মুখ ভালো দেখলে কেহই তাকে সম্মান না করে পারতো না। তিনি লোকের আমোদ প্রমোদে অংশ নিতেন ।
তার শত্রু হলেও আব্বাসীয় খলিফা আল মনসুরও তার চারিত্রিক গুণাবলির প্রশংসা করেছেন। আল মনসুর প্রকাশ্যেই বলতেন, “তাঁর জ্ঞান, সাহস ও বিজ্ঞতা বাস্তবিকই বিস্ময়কর।
ধ্বংস-পথের পথিক সেজেও সুদূর, দুর্গম, সুরক্ষিত দেশে গমন এবং তথায় প্রতিহিংসা-পরায়ণ প্রতিদ্বন্দ্বী দলসমূহকে পরস্পরের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে তাদের উপর শাসনদণ্ড পরিচালনা সামান্য শক্তির কার্য নহে। সত্য কথা বলতে গেলে, পূর্বে আর কেহই এরূপ অসম্ভব কার্য সম্পন্ন করেননি।”
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, প্রথম আবদুর রহমান ছিলেন একজন অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা, যোগ্যতা ও কর্মস্পৃহা অধিকারী ব্যক্তিত্ব। তিনি একটি রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।
মুসলিম ও খ্রিস্টান বিশ্বের ক্ষমতাধর নৃপতিগণ তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করেছিলেন। অভ্যন্তরীণ গোলযোগ, বৈদেশিক প্রশান্তি তাকে বিরামহীনভাবে যুদ্ধে ব্যস্ত রাখে । অকারণে তিনি সময় নষ্ট করতেন না ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ প্রথম আব্দুর রহমানের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম প্রথম আব্দুর রহমানের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।