প্রস্বেদনকে necessary evil বলা হয় কেন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো প্রস্বেদনকে necessary evil বলা হয় কেন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের প্রস্বেদনকে necessary evil বলা হয় কেন

প্রস্বেদনকে necessary evil বলা হয় কেন
প্রস্বেদনকে necessary evil বলা হয় কেন

ক. ফ্যাগোসাইটোসিস কী?

খ. প্রস্বেদনকে Necessary evil বলা হয় কেন?

গ. মানুষের ক্ষেত্রে উদ্দীপকে উল্লিখিত চিত্রটি কীরূপ হবে তা এঁকে সংক্ষেপে বর্ণনা দাও।

ঘ. উক্ত অঙ্গের মধ্য দিয়ে কীভাবে রক্ত সঞ্চালন ঘটে তা বিশ্লেষণ করো।

প্রশ্নের উত্তর

. শ্বেত রক্তকণিকার রোগজীবাণু ভক্ষণ করার প্রক্রিয়াই হলো ফ্যাগোসাইটোসিস।

. প্রস্বেদন প্রক্রিয়াটি উদ্ভিদের নানা ধরনের উপকার করলেও এর কিছু অপকারী ভূমিকা রয়েছে। 

যেমন— পানি শোষণের চেয়ে প্রস্বেদনে পানি হারানোর হার অধিক হলে উদ্ভিদের জন্য পানি ও খনিজের ঘাটতি দেখা দেবে। এর ফলে উদ্ভিদটির মৃত্যুও হতে পারে। এজন্য প্রস্বেদনকে Necessary evil বলা হয় ।

. উদ্দীপকের চিত্রটি হলো হৃৎপিণ্ড। নিচে মানুষের হৃৎপিণ্ডের সচিত্র বর্ণনা দেয়া হলো—

 


                                                           চিত্র: হূৎপিণ্ডের চিহ্নিত চিত্র

হৃৎপিণ্ড হৃৎপেশি নামক একটি বিশেষ ধরনের অনৈচ্ছিক পেশি দ্বারা গঠিত। এটি পেরিকার্ডিয়াম নামক পাতলা পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে। প্রাচীরে তিনটি স্তর রয়েছে- বহিঃস্তর বা এপিকার্ডিয়াম, মধ্যস্তর বা | মায়োকার্ডিয়াম এবং অন্তঃস্তর বা এন্ডোকার্ডিয়াম। 

হূৎপিণ্ডের ভেতরে চারটি প্রকোষ্ঠ রয়েছে দুটি অলিন্দ-ডান ও বাম অলিন্দ এবং দুটি নিলয়-ডান ও বাম নিলয়। এরা পরস্পর যথাক্রমে আন্তঃঅলিন্দ ও আন্তঃনিলয় পর্দা দ্বার

পরস্পর পৃথক থাকে। ডান অলিন্দ ও নিলয়ের ছিদ্রপথে ট্রাইকাসপিড কপাটিকা এবং বাম অলিন্দ ও নিলয়ের ছিদ্রপথ বাইকাসপিড কপাটিকা থাকে এবং মহাধমনি ও ফুসফুসীয় ধর্মনির মুখে অর্ধচন্দ্রাকার কপাটিকা থাকে। এরা রক্তের বিপরীতমুখী প্রবাহকে প্রতিরোধ করে।

. উদ্দীপকের অঙ্গটি হলো হৃৎপিণ্ড। নিচে হূৎপিণ্ডের রক্ত সঞ্চালন। প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করা হলো-

হৎপিণ্ডের ডান বা বাম অলিন্দদ্বয় প্রসারিত হলে দেহের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত হৃদপিণ্ডে প্রবেশ করে। যেমন- ঊর্ধ্ব মহাশিরার মাধ্যমে কার্বন | ডাইঅক্সাইডযুক্ত রক্ত ডান অলিন্দে প্রবেশ করে। 

ঠিক একই সময়ে ফুসফুসীয় শিরার মাধ্যমে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত বাম অলিন্দে প্রবেশ করে। অলিন্দদ্বয়ের সংকোচের ফলে ডান অলিন্দের রক্ত ডান অলিন্দ-নিলয় ছিদ্রপথে ডান নিলয়ে প্রবেশ করে। 

ঠিক একইভাবে বাম অলিন্দ-নিলয় ছিদ্রপথে ৰাম অলিন্দের রক্ত বাম নিলয়ে প্রবেশ করে। এরপর ছিদ্র দুটি কপাটিকা দ্বারা বন্ধ হয়ে যায়। 

পরবর্তীতে নিলয়দ্বয় সংকুচিত হলে ডান নিলয় থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইডযুক্ত রক্ত ফুসফুসীয় ধমনির মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করে পরিশোধিত হয়। ঠিক একই সময় বাম নিলয় থেকে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত মহাধমনির মাধ্যমে সারাদেহে পরিবাহিত হয় । 

এভাবে হৃৎপিণ্ডের পর্যায়ক্রমিক সংকোচন ও প্রসারণের ফলে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ঘটে থাকে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ প্রস্বেদনকে necessary evil বলা হয় কেন

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম প্রস্বেদনকে necessary evil বলা হয় কেন যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ