কোনটিকে মিশ্রগ্রন্থি বলা হয়
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো কোনটিকে মিশ্রগ্রন্থি বলা হয় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের কোনটিকে মিশ্রগ্রন্থি বলা হয়
ফারার মা ফারাকে খাবার ভাল করে দাঁত দিয়ে চিবিয়ে খেতে বললেন এবং খাওয়ার সময় অতিরিক্ত পানি খেতে নিষেধ করে বললেন অতিরিক্ত এই পানি আমাদের পাকস্থলিতে খাদ্য হজমে ব্যাঘাত ঘটায়।
ক. পুষ্টি কাকে বলে?
খ. কোনটিকে মিশ্রগ্রন্থি বলা হয়? ব্যাখ্যা করো।
গ. ফারার মা প্রথমে যে অঙ্গটির কথা উল্লেখ করেছেন তার গঠন
ব্যাখ্যা করো।
ঘ. পরিপাকে উদ্দীপকে উল্লিখিত দুটো অঙ্গের কার্যকারিতাই গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ করো ।
প্রশ্নের উত্তর
ক. জীব তার স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় কাজ এবং প্রজননের জন্য যেসব উপাদান গ্রহণ করে তাকে পুষ্টি বলে ।
খ. যে সকল গ্রন্থি একই সাথে অন্তঃক্ষরা ও বহিঃক্ষরা গ্রন্থিরূপে কাজ করে তাকে মিশ্রগ্রন্থি বলে। মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ মিশ্রগ্রন্থি হলো অগ্ন্যাশয়।
অগ্ন্যাশয় বহিঃক্ষরা গ্রন্থি হিসেবে বিভিন্ন প্রকার খাদ্য পরিপাককারী এনজাইম যেমন— ট্রিপসিন, লাইপেজ, অ্যামাইলেজ ইতাদি এবং অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি হিসেবে প্রয়োজনীয় কিছু হরমোন, যেমন- গ্লুকাগন ও ইনসুলিন নিঃসরণ করে।
গ. ফারার মা প্রথম যে অঙ্গটির কথা উল্লেখ করেছেন তা হলো মানুষের দাঁত। প্রতিটি দাঁতের তিনটি অংশ থাকে। যথা: মাড়ির উপরের অংশ মুকুট, মাড়ির ভিতরের অংশ মূল এবং দাঁতের মধ্যবর্তী অংশ গ্রীবা । প্রতিটি দাঁত যেসব উপাদান দ্বারা গঠিত তা হলো-
ডেন্টিন: দাঁত প্রধানত ডেন্টিন নামক শক্ত উপাদান দ্বারা গঠিত।
এনামেল: দাঁতের মুকুট অংশে ডেন্টিনের উপরিভাগে এনামেল নামক কঠিন উপাদান থাকে। এনামেল ও ডেন্টিন ক্যালসিয়াম ফসফেট, ক্যালসিয়াম কার্বনেট ও ফ্লোরাইড দিয়ে তৈরি ।
দন্তমজ্জা: ডেন্টিনের ভিতরের ফাঁপা নরম অংশকে দন্তমজ্জা বলে। এর ভিতরে ধমনি, শিরা, স্নায়ু ও নরম কোষ থাকে। দন্তমজ্জার মাধ্যমে ডেন্টিন অংশে পুষ্টি ও অক্সিজেন সরবরাহ হয় ।
সিমেন্ট: সিমেন্ট নামক পাতলা আবরণ দাঁতের মূল অংশ ডেন্টিনকে আবৃত করে রাখে। এই সিমেন্টের সাহায্যে দাঁত মাড়ির সাথে আটকানোথাকে।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত অঙ্গ দুটি হলো দাঁত ও পাকস্থলি। পরিপাকে দুটো অঙ্গের কার্যকারিতাই গুরুত্বপূর্ণ। নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলো-
দাঁত মানবদেহের সবচেয়ে শক্ত অংশ। দাঁত খাদ্য বস্তুকে চিবিয়ে ছোট ছোট অংশে পরিণত করে। মানুষের চার ধরনের দাঁত রয়েছে। এরা খাবার টুকরা করা, ছেড়া, চর্বণ, পেষণ ইত্যাদি ভিন্ন ধরনের কাজ সম্পন্ন করে। দাঁতের এই কার্যাবলির ফলে পরিপাক সহজ হয়।
পরবর্তীতে এই খাদ্য অন্ননালির মাধ্যমে পাকস্থলিতে পৌঁছায়। পাকস্থলিতে অসংখ্য গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থি থাকে। পাকস্থলির পেশি সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে খাদ্যবস্তুকে পিষে মণ্ডে পরিণত করে। গ্যাস্ট্রিক হতে নিঃসৃত রস খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে, যা গ্যাস্ট্রিক রস বা পাচক রস নামে পরিচিত।
উপরোক্ত আলোচনা হতে বোঝা যায়, পরিপাকে দাঁত ও পাকস্থলি উভয় অঙ্গের কার্যকারিতাই গুৰুত্বপূৰ্ণ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ কোনটিকে মিশ্রগ্রন্থি বলা হয়
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম কোনটিকে মিশ্রগ্রন্থি বলা হয় যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।