মার্কসের ধারণা সমাজ বিবর্তনের স্তর কয়টি
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মার্কসের ধারণা সমাজ বিবর্তনের স্তর কয়টি জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মার্কসের ধারণা সমাজ বিবর্তনের স্তর কয়টি ।
মার্কসের ধারণা সমাজ বিবর্তনের স্তর কয়টি |
মার্কসের ধারণা সমাজ বিবর্তনের স্তর কয়টি
কার্ল মার্কসের মতে সমাজ বিবর্তনের পর্যায়সমূহ কি কি
অথবা, কার্ল মার্কস সমাজ বিবর্তনের ইতিহাসকে কয়টি পর্যায়ে ভাগ করেছেন?
অথবা, সমাজবিজ্ঞানী কার্ল মার্কস বর্ণিত সমাজ বিবর্তনের পর্যায়গুলো উল্লেখ কর ।
উত্তর : ভূমিকা : ব্যক্তি ও গোষ্ঠীবদ্ধ জীবনযাপনের মাধ্যমে সমাজ গঠিত হয়। মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সৃষ্টির শুরু থেকে মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে জীবনযাপন করে। তবে প্রচীনকালের সমাজ এবং বর্তমানকালের সমাজ এক ছিল না। বর্তমান সমাজের ন্যায় প্রাচীন সমাজ এমন নিয়মতান্ত্রিক ছিল না ।
→ মার্কসের মতে সমাজ বিবর্তনের পর্যায়সমূহ : জার্মান দার্শনিক সমাজবিজ্ঞানী কার্ল মার্কস মানবসমাজ বিবর্তনের ইতিহাসকে কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করেছেন। নিম্নে তা দেওয়া হলো :
১. আদিম সাম্যবাদী সমাজ : মার্কসের মতে, সমাজ বিকাশের প্রথম পর্যায় ছিল আদিম সাম্যবাদী সমাজ। এই সমাজে মানুষ পশুর মতো বসবাস করত। তারা ছিল প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। এ সমাজের মানুষ সাধারণত পশু শিকার করে জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করত ।
২. দাসভিত্তিক সমাজ : মার্কসের সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় পর্যায় হচ্ছে দাসভিত্তিক সমাজব্যবস্থা। আদিম সাম্যবাদী সমাজ ক্রমশ বিলুপ্ত হয়ে গড়ে উঠে দাসভিত্তিক সমাজ। এ সমাজে মানুষের মধ্যে সম্পত্তির ব্যক্তিমালিকানায় বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠে।
৩. সামন্ত সমাজ : দাস সমাজের পরে আসে সামন্তবাদী সমাজ। সামন্ত সমাজে ভূ-স্বামী সকলকে শাসন করত এবং সকল ক্ষমতা আয়ত্ত করে তাদের হাতে সামন্ত সমাজের উদ্ভব হয় ৯০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে। এ সমাজে জমির মালিক বা জমিদার লাভ । এ সমাজের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে :
(ক) সামন্ত আইনের দ্বারা সুনির্দিষ্ট হতো এবং প্রতিটি সামন্তের সামাজিক মর্যাদা নির্ধারিত ছিল।
(খ) সমাজের লোকেরা তিন শ্রেণিতে বিভক্ত ছিল।
(গ) এখানে যাজক সম্প্রদায় ও অভিজাত সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক অধিকার স্বীকৃতি ছিল।
(ঘ) সামন্ত ব্যবস্থায় ব্যাপক ন্যূনতম সামাজিক শ্রম বিভাগ বিদ্যমান ছিল । ব্যতিক্রম ব্যতিক্রম ব্যতিক্রম ব্যতিক্রম ব্যতিক্রম ব্যতিক্রম ব্যতিক্রম ব্যা
৪. পুঁজিবাদী সমাজ : মার্কসের সমাজ বিবর্তনের চতুর্থ পর্যায় হচ্ছে পুঁজিবাদী সমাজ। সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় পরিবর্তনের ফলে গঠিত হয় পুঁজিবাদী সমাজ। পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থায় ভূমি দাস ব্যবস্থার বিলুপ্তি হয় । নগর ও বাজার ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ঘটে ।
৫. সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা : পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থার পরে আসে সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এটি বিশেষভাবে বিকশিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় উৎপাদনের উপকরণের উপর রাষ্ট্রীয় মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়। এ সমাজব্যবস্থার ফলে শ্রেণি বৈষম্য লোপ পায়। তৈরি হয় একটি সাম্যবাদী সমাজ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, কোনো সমাজব্যবস্থাই স্থায়ী নয়। সমাজ সর্বদা পরিবর্তনশীল। সমাজের এ পরিবর্তন একটি অপরটির সাথে সম্পর্কযুক্ত।
মানবসমাজ বিবর্তনে কার্ল মার্কস যে সমাজ পর্যায়সমূহ ব্যাখ্যা করেছেন তা অত্যন্ত বাস্ত বসম্মত। তিনি তার ব্যাখ্যার মাধ্যমে একটি সমাজ থেকে কিভাবে আর একটি সমাজ তৈরি হয় সেটি দেখিয়েছেন ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ মার্কসের ধারণা সমাজ বিবর্তনের স্তর কয়টি
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মার্কসের ধারণা সমাজ বিবর্তনের স্তর কয়টি । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।