ল্যাকটিয়াল এর কাজ কি
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ল্যাকটিয়াল এর কাজ কি জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ল্যাকটিয়াল এর কাজ কি
মানবদেহের পৌষ্টিকনালির A অংশে দু'টি পৌষ্টিকগ্রন্থি নিঃসৃত রস জটিল খাদ্যকে সরল কণায় পরিণত করে। এই সরল কণাসমূহকে দেহকোষে পৌঁছাতে রক্ত ও লসিকা ভূমিকা রাখে ।
ক. গলগণ্ড কী?
খ. ল্যাকটিয়াল এর কাজ কি?
গ. আলোচ্য নালির 'A' অংশে কীভাবে খাদ্য সরল কণায় পরিণত হয়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উক্ত সরল কণাসমূহ দেহের গঠন ও কার্যক্রমের জন্য আবশ্যক বিশ্লেষণ করো ।
প্রশ্নের উত্তর
ক. আয়োডিনের অভাবে সৃষ্ট থাইরয়েড গ্রন্থির বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি রোগই হলো গলগণ্ড
খ. পৌষ্টিকতন্ত্রের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভিলাসের মধ্যস্থলে অবস্থিত এক ধরনের লসিকা জালক হলো ল্যাকটিয়াল। এগুলো রক্তের কৈশিক নালি দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে ।
লাইপেজ এনজাইম দ্বারা পরিপাককৃত স্নেহ পদার্থের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা ভিলাসের ল্যাকটিয়াল দ্বারা শোষিত হয়। পরবর্তীতে ল্যাকটিয়ালের চারিদিকে অবস্থিত কৈশিক নালি দ্বারা এই পরিপাককৃত স্নেহ বস্তু বাহিত হয়ে মূল রক্তস্রোতে মিশে।
গ. আলোচ্য পৌষ্টিকনালির 'A' অংশ দ্বারা ক্ষুদ্রান্ত্রকে বোঝানো হয়েছে। পাকস্থলি থেকে পাকমণ্ড ক্ষুদ্রান্তে পৌঁছালে এখানে অগ্ন্যাশয়ের পাচক রস এবং যকৃত থেকে নিঃসৃত পিত্তরস খাদ্য পরিপাকে অংশ নেয়
এবং খাদ্যকে সরল কণায় পরিণত করে। অগ্ন্যাশয়ের পাচক রসে অ্যামাইলেজ, ট্রিপসিন ও লাইপেজ থাকে। অ্যামাইলেজ শ্বেতসারকে সরল শর্করা তথা গ্লুকোজে পরিণত করে। অন্যদিকে আংশিক পরিপাককৃত আমিষ ক্ষুদ্রান্তে ট্রিপসিনের সাহায্যে ভেঙ্গে অ্যামাইনো এসিড ও সরল পেপটাইডে পরিণত হয়।
আবার, পিত্তরসের পিতলবণ স্নেহপদার্থের ক্ষুদ্র কণাগুলোকে পানির সাথে মিশতে সাহায্য করে এবং লাইপেজের কাজকে ত্বরান্বিত করে। স্নেহ বিশ্লেষক লাইপেজ স্নেহ পদার্থের দানাগুলোকে ভেঙ্গে ফ্যাটি এসিড ও গ্লিসারলে পরিণত করে।
এভাবে আলোচ্য নালির ‘A’ অংশে অর্থাৎ ক্ষুদ্রান্ত্রে খাদ্য পরিপাক হয়ে সরল কণায় পরিণত হয়।
ঘ. পৌষ্টিকনালির 'A' অংশে অর্থাৎ ক্ষুদ্রান্ত্রে অধিকাংশ খাদ্যের পরিপাক ঘটে থাকে এবং সরল কণায় পরিণত হয়। এখানে শর্করা গ্লুকোজে পরিণত হয়। আমিষ অ্যামাইনো এসিড ও সরল পেপটাইডে এবং স্নেহ পদার্থ ফ্যাটি এসিড ও গ্লিসারলে পরিণত হয়।
এ সরল কণাসমূহ জীবের দেহ গঠন ও অন্যান্য কার্যক্রমের জন্য আবশ্যক। আমিষ তথা অ্যামাইনো এসিড ও সরল পেপটাইড জীবের দেহ গঠনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। এ সরল কণার অভাবে জীবের দেহ গঠন বিঘ্নিত হয়। একারণে আমিষকে তথা অ্যামাইনো এসিড ও সরল পেপটাইডকে দেহ গঠনের মুখ্য উপাদান বলা হয়।
আবার শর্করা বা গ্লুকোজ দেহে শ্বসনের মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন করে। এ শক্তি ব্যবহার করে জীব সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে। এছাড়া স্নেহ পদার্থ তথা ফ্যাটি এসিড ও গ্লিসারল দেহে তাপ ও শক্তি উৎপন্ন করে যা জীবের বিভিন্ন কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখে।
এ কারণে বলা যায় যে, উদ্দীপকের সরল কণাসমূহ জীবের দেহ গঠন ও বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য আবশ্যক।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ল্যাকটিয়াল এর কাজ কি
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ল্যাকটিয়াল এর কাজ কি যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।