কর্ডোভা মসজিদ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখ | কর্ডোভা মসজিদ সম্পর্কে আলোচনা কর
কর্ডোভা মসজিদ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখ | কর্ডোভা মসজিদ সম্পর্কে আলোচনা কর - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো কর্ডোভা মসজিদ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখ | কর্ডোভা মসজিদ সম্পর্কে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের কর্ডোভা মসজিদ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখ | কর্ডোভা মসজিদ সম্পর্কে আলোচনা কর ।
কর্ডোভা মসজিদ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখ কর্ডোভা মসজিদ সম্পর্কে আলোচনা কর |
কর্ডোভা মসজিদ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখ | কর্ডোভা মসজিদ সম্পর্কে আলোচনা কর
উত্তর : ভূমিকা : নির্মাণ স্থাপত্যে হিস্পানো আরব যুগ, অস্টম শতাব্দীতে কর্ডোভা মসজিদ প্রতিষ্ঠার সময় থেকে চতুর্দশ শতাব্দীতে আল হামরার নির্মাণ কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত সাত শতাব্দী সময়ব্যাপী ছিল।
কর্ডোভা মসজিদ স্পেনের মুসলিম শাসনের প্রাথমিক যুগের একটি সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ইমারত। স্পেনের উমাইয়া আমিরাতের প্রতিষ্ঠাতা প্রথম আব্দুর রহমান কর্ডোভা মসজিদটি নির্মাণ করেন।
→ কর্ডোভা মসজিদ : স্পেনের উমাইয়া আমিরাতের প্রতিষ্ঠাতা প্রথম আব্দুর রহমান বিশ্ব বিখ্যাত কর্ডোভা মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ।
১. প্রতিষ্ঠাকাল : তিনি ৭৮৫ খ্রিস্টাব্দে সেন্ট ভিনসেন্ট গির্জার অনেকাংশে ১,০০,০০০ দিনারে ক্রয় করেন এবং মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করেন এবং ৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে প্রথম হিশাম উহা সমাপ্ত করেন।
তাদের উত্তরাধিকারী বিশেষ করে প্রথম হিশাম, দ্বিতীয় আব্দুর রহমান, তৃতীয় আব্দুর রহমান ও দ্বিতীয় হাকাম এটির সম্প্রসারণ ও সৌন্দর্যমণ্ডিত করেন।
মসজিদের পুরো এলাকাটি একটি উচ্চ আল যুক্ত প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত ছিল। | মসজিদটি মূল অংশগুলো একজন প্রকৌশলী আবু জাফর আল সাকালাবীর তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয় ।
২. গঠন : এ মসজিদটি ৬২০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৪৪০ ফুট প্রস্থ এলাকার উপর অবস্থিত। মূল মসজিদের প্রশস্ততা ছিল ১২১ ফুট × ২৪১ ফুট পরিমাপের কর্ডোভা মসজিদের লিওয়ান দশটি খিলানরাজি দ্বারা এগারোটি আইলে বিভক্ত ছিল।
স্তম্ভগুলো মার্বেলের এবং এগুলোতে করিস্থিয় ক্যাপিটাল দেখা যাবে। একুশটি অশ্বখুরাকৃতি খিলান কাঠের ঢালু ছাদকে রক্ষা করেছে। তিনটি পথ ছিল প্রাচীর বেষ্টিত ছাদবিহীন চত্বরমুখী এবং নয়টি পশ্চিম ও নয়ট পূর্বমুখী। একুশটি খিলান পথের তিনটি ছিল মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত।
এই মসজিদে একটি সাহন ছিল। কিন্তু কোনো রিওয়াক ছিল না। কিবলার দিক ব্যতীত অন্য তিন দিকে প্রবেশ তোরণ ছিল।
খিলান সারির ভারবাহী স্তম্ভগুলো ছিল মার্বেল পাথরের নির্মিত। এতে মোট ১২৯৩টি স্তম্ভ ছিল। প্রতিটি স্তম্ভ অশ্বনলাকৃতির খিলান এবং প্রতিটি পিলপা অপর এক সারি অর্ধ বৃত্তাকার খিলানের ভার বহন করে।
অঙ্গনে প্রবেশের জন্য এর তিন দিকে তিনটি তোরণ ছিল। উত্তরের তোরণটিকে বর্তমানে ক্ষমা তোরণ এবং পশ্চিম দিকের তোরণটিকে অধিকর্তা তোরণ বলে । পূর্ব দিকে সম্প্রসারণের পরনির্মিত তোরণটিকে সেন্ট ক্যাথরিন তোরণ বলা হয় ।
৩. নকশা : মসজিদটির বহির্ভাগ জাঁকজমকহীন ছিল কিন্তু অভ্যন্তরভাগ লতাপাতা ইত্যাদির সমন্বয়ে গঠিত আরবীয় নকশা, রেখাবলি সমন্বয়ে ও শিল্প নৈপুণ্যের একটি অতি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
স্তম্ভগুলো দীর্ঘ ও উত্তমরূপে রঞ্জিত। ছাদসমূহ লাল, নীল ও হলুদ বর্ণে রঞ্জিত বাঁকা কাঠ দ্বারা নির্মিত । মিহরাবটি মাগরিবী রীতির প্রতীক লতাপাতা ইত্যাদির সমন্বয়ে গঠিত বিস্ময়কর নকশা দ্বারা আবৃত ।
৪. সম্পসারণ : প্রথম হিশাম, দ্বিতীয় আব্দুর রহমান, তৃতীয় আব্দুর রহমান ও দ্বিতীয় হাকাম এটির সম্প্রসারণ সৌন্দর্যমণ্ডিত করেন। পরবর্তীকালে এই মসজিদটি সম্প্রসারিত ও অলংকৃত হয়।
আব্দুর রহমান কর্ডোভা নগরীকে তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত করেন। এই নগরীর পুরাতন প্রাচীর পুনর্নির্মিত হয় এবং সাতটি ফটকের সংস্কার করা হয় ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, কর্ডোভা মসজিদের এমন নিখুঁত ও চমৎকার নির্মাণ কৌশল বিস্ময়ের উদ্রেক করে। কারণ, এতে উন্নত ধরনের স্থাপত্য প্রকৌশল তখনও উদ্ভাবিত হয়নি। এরূপ নির্মাণ কৌশলের উৎস সন্ধানের বহু প্রচেষ্টা চালান হয়েছে। পাশ্চাত্যের এই স্থাপত্য মুর স্থাপত্য বলে খ্যাত ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ কর্ডোভা মসজিদ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখ কর্ডোভা মসজিদ সম্পর্কে আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম কর্ডোভা মসজিদ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখ কর্ডোভা মসজিদ সম্পর্কে আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।