কখন বড় গাছের নিচে ঘুমাতে নিষেধ করা হয়
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো কখন বড় গাছের নিচে ঘুমাতে নিষেধ করা হয় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের কখন বড় গাছের নিচে ঘুমাতে নিষেধ করা হয়
নিচের বিক্রিয়াটি লক্ষ করো:
C6H12O6 + 602 6H2O + 6CO2 + 686kcal
ক. মৌলবিপাক কী?
খ. কখন বড় গাছের নিচে ঘুমাতে নিষেধ করা হয়? ব্যাখ্যা করো।
গ. অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে বিক্রিয়ার কী পরিবর্তন হবে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উপরের প্রক্রিয়ার গুরুত্ব বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. মৌলবিপাক হলো বিশ্রামরত অবস্থায় মানবদেহে সংঘটিত বিপাক ক্রিয়া।
খ. রাতের বেলা সালোকসংশ্লেষণ বন্ধ থাকায় অক্সিজেন উৎপন্ন হয় না। অন্যদিকে শ্বসন দিবারাত্রি ২৪ ঘণ্টাই চলতে থাকে, যাতে কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত হয়।
বড় গাছের পাতা ও লেন্টিসেলের সংখ্যা বেশি থাকে। ফলে শ্বসনে নির্গত কার্বন ডাইঅক্সাইডও বেশি নির্গত হয়, যা শ্বাসরোধের কারণ হতে পারে। এ জন্যই রাতের বেলা বড় গাছের নিচে ঘুমাতে নিষেধ করা হয় ।
গ. উদ্দীপকের সমীকরণ দ্বারা সবাত শ্বসন প্রক্রিয়াকে বোঝানো হয়েছে । প্রক্রিয়াটি অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে ঘটলে তাকে বলে অবাত শ্বসন।
নিম্নশ্রেণির জীব যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ইস্ট ইত্যাদিতে অক্সিজেনের সাহায্য ছাড়াই অবাত শ্বসনের মাধ্যমে শ্বসনিক বস্তু কোনো মধ্যস্থ এনজাইম দ্বারা আংশিকরূপে জারিত হয়ে বিভিন্ন প্রকার জৈব যৌগ
ইথাইল অ্যালকোহল, ল্যাকটিক এসিড ইত্যাদি), CO পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়। অবাত শ্বসনের বিক্রিয়াটি নিম্নপ
C6H12O6 (গ্লুকোজ বিভিন্ন এনজাইম)→ 2C2H, OH+2C0,+ শক্তি (ইথাইল অ্যালকোহল)
অবাত শ্বসন প্রক্রিয়াটি দুইটি ধাপে সম্পন্ন হয়। যথা-
ধাপ-১: গ্লুকোজের অসম্পূর্ণ জারণ: এই ধাপে এক অণু গ্লুকোজ থেকে | অণু পাইরুভিক এসিড, চার অণু ATP, দুই অণু NADH + H ধাপ-২: পাইরভিক এসিডের বিজারণ; সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত এনজাইমের | কার্যকারিতায় পাইরুভিক এসিড বিজারিত হয়ে CO এবং অ্যালকোহল অথবা শুধু ল্যাকটিক এসিড উৎপন্ন করে।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রক্রিয়াটি হলো সবাত শ্বসন। নিচে এর বিশ্লেষণ করা হলো-
সবাত শ্বসনই হলো উদ্ভিদ ও প্রাণীর স্বাভাবিক শ্বসন প্রক্রিয়া। এ উৎপন্ন শক্তি দিয়ে জীবের সব ধরনের ক্রিয়া-বিক্রিয়া ও কাজকর্ম পরিচালিত | সালোকসংশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়।
এ প্রক্রিয়া উদ্ভিদে খনিজ লবণ পরিশোষণ সাহায্য করে। যা পরোক্ষভাবে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও অন্যান্য জৈবিক প্রক্রিয়া চালু রাখে। উদ্ভিদের কোষ বিভাজনের প্রয়োজনীয় শক্তি ও কিছু আনুষঙ্গিক পদার্থ এ প্রক্রিয়া থেকেই আসে। তাই এ প্রক্রিয়া জীবের। দৈহিক বৃদ্ধিও নিয়ন্ত্রণ করে।
এ প্রক্রিয়া উদ্ভিদে বিভিন্ন উপক্ষার ও জৈব এসিড সৃষ্টিতে সহায়তা করার মাধ্যমে উদ্ভিদ জীবনের অন্যান্য জৈবিক কাজেও সহায়তা করে। উপরের আলোচনা হতে দেখা যায়, সবাত শ্বসন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হলে উদ্ভিদের জীবন ধারণ
অর্থাৎ চলন, ক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধি, জনন প্রভৃতি কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে না ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ কখন বড় গাছের নিচে ঘুমাতে নিষেধ করা হয়
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম কখন বড় গাছের নিচে ঘুমাতে নিষেধ করা হয় যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।