জৈব বিবর্তন কি | জৈব বিবর্তন বলতে কি বোঝায়
জৈব বিবর্তন কি | জৈব বিবর্তন বলতে কি বোঝায় - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো জৈব বিবর্তন কী জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের জৈব বিবর্তন কী
ক. নিষেক কাকে বলে?
খ. জৈব বিবর্তন কী?
গ. 'Q' প্রক্রিয়ায় ফুলের যে উপাদানটি স্থানান্তরিত হয় তার বিকাশের ধাপসমূহ বর্ণনা করো।
ঘ. প্রকৃতিতে 'P' ও 'Q' প্রক্রিয়ার ভূমিকা বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. যৌন প্রজননে ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলনকে নিষেক বলে।
খ. কয়েক হাজার বছরের ব্যাপকতায় জীব প্রজাতির পৃথিবীতে আবির্ভাব ও টিকে থাকার জন্য যে পরিবর্তন ও অভিযোজন প্রক্রিয়া তাকে জৈব বিবর্তন বলে।
এটি একটি মন্থর এবং চলমান প্রক্রিয়া। জৈব বিবর্তনের মাধ্যমে নতুন প্রজাতির উদ্ভবকালে দেখা যায় অনেক প্রজাতি কালের গর্ভে হারিয়ে যায়। যেমন- ডাইনোসর।
গ. উদ্দীপকের 'Q' প্রক্রিয়াটি হচ্ছে পরাগায়ন এবং এই প্রক্রিয়ায় ফুলের পরাগরেণু স্থানান্তরিত হয়। নিচে পরাগরেণু বিকাশের ধাপসমূহ বর্ণনা করা হলো-
পরাগরেণু সাধারণত ক্ষুদ্র গোলাকার, মসৃণ বা কণ্টকিত। এর কেন্দ্রে একটি নিউক্লিয়াস থাকে। বিকাশের প্রথম দিকে পরাগরেণুর নিউক্লিয়াসটি মাইটোসিস পদ্ধতিতে বিভাজিত হয়।
এ বিভাজনে একটি বড় কোষ ও একটি ক্ষুদ্র কোষ সৃষ্টি হয়। বড় কোষটিকে নালিকোষ এবং ক্ষুদ্র কোষটিকে জেনারেটিভ কোষ বলে।
নালিকোষ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে পরাগনালি এবং জেনারেটিভ কোষটি বিভাজিত হয়ে দুটি পুং জননকোষ উৎপন্ন হয়। এই সকল ধাপের মাধ্যমেই পরাগরেণুর বিকাশ হয়।
ঘ. উদ্দীপকের 'P' ও 'Q' প্রক্রিয়া দ্বারা যথাক্রমে স্ব-পরাগায়ন ও পর- পরাগায়নকে বোঝানো হয়েছে। এ প্রক্রিয়া দুটির যথেষ্ট গুরুত্ব বা ভূমিকা রয়েছে। প্রকৃতিতে কোনো উদ্ভিদ প্রজাতির বিশুদ্ধতা বজায় রাখতে স্ব- পরাগায়নের ভূমিকা অপরিসীম।
একই ফুলে বা একই গাছের ভিন্ন দুটি ফুলের মধ্যে স্ব-পরাগায়ন ঘটে বলেই কোনো একটি প্রজাতির চরিত্রগত বিশুদ্ধতা বজায় থাকে। অন্যদিকে, পর-পরাগায়নের ফলে সৃষ্ট বীজ অধিক জীবনীশক্তি সম্পন্ন হয় ও নতুন প্রজাতির সৃষ্টি করে।
পর- পরাগায়নের ফলে সৃষ্ট বীজের অঙ্কুরোদগমের হার অনেক বেশি। আবার, এ বীজ থেকে যে নতুন প্রজাতি তৈরি হয় তারা প্রতিকূল পরিবেশে সহজেই অভিযোজিত হতে পারে। এতে প্রজাতির বিলুপ্তির আশঙ্কা থাকে না।
সুতরাং, প্রকৃতিতে বিশুদ্ধ প্রজাতি, নতুন প্রজাতি এবং প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার উপযুক্ত প্রজাতি উদ্ভাবনে স্ব-পরাগায়ন এবং পর-পরাগায়ন প্রক্রিয়ার ভূমিকা অপরিসীম ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ জৈব বিবর্তন কী
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম জৈব বিবর্তন কী যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।