কালার ব্লাইন্ড কি | কালার ব্লাইন্ড বলতে কি বোঝায়
কালার ব্লাইন্ড কি | কালার ব্লাইন্ড বলতে কি বোঝায় - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো কালার ব্লাইন্ড কি জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের কালার ব্লাইন্ড কি
সিরাজ সাহেব গত মৌসুমে তার লাগানো লাউ গাছ হতে কাঙ্ক্ষিত ফলন নি. প. ২০১৮ পান নাই। তাই এই মৌসুমে লাউ গাছে ফুল আসার পর একদিন সকালে কয়েকটি পরিষ্কার মুরগির পালক দিয়ে লাউগাছের ফুলগুলোর মধ্যে নড়াচাড়া করেন । প্রতিটি ফুলেই তিনি এ কাজটি করেন। ফলস্বরূপ এ মৌসুমে তিনি গতবারের তুলনায় অনেক বেশি ফলন পেলেন ।
ক. Locus কাকে বলে?
খ. কালার ব্লাইন্ড কি?
গ. সিরাজ সাহেব ফুলে ফুলে যে উপাদানটি স্থানান্তর করেছেন তার গঠন লেখো।
ঘ. উল্লিখিত শারীরবৃত্তীয় কর্মকাণ্ডটি না ঘটলে প্রাণিকুল বিলুপ্ত হয়ে যেত- বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. ক্রোমোসোমের একটি নির্দিষ্ট স্থান যেখানে জিন অবস্থান করে তাকে Locus বলে ।
খ. কালার ব্লাইন্ড এমন এক অবস্থা যখন কেউ কোনো রং সঠিকভাবে চিনতে পারে না। এটি বংশগত কারণে অথবা কোনো কোনো ঔষধ যেমন— বাত রোগের জন্য হাইড্রক্সি-ক্লোরোকুইনিন সেবনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে হয়ে থাকে ।
গ. উদ্দীপকের সিরাজ সাহেব ফুলে ফুলে যে উপাদানটি স্থানান্তর করেছেন তা হলো ফুলের পুংকেশরে অবস্থিত পরাগরেণু। নিচে এর গঠন দেওয়া হলো—
পরাগরেণু সাধারণত গোলাকার, ডিম্বাকার ও ত্রিভুজাকার হয়। প্রতিটি পরাগরেণু এককোষী, এক নিউক্লিয়াসবিশিষ্ট ও হ্যাপ্লয়েড। এর সাইটোপ্লাজম ঘন থাকে এবং প্রাথমিক অবস্থায় নিউক্লিয়াসটি মাঝখানে থাকে। পরিণত অবস্থায় কোষগহ্বর সৃষ্টির পরে নিউক্লিয়াসটি এক দিকে সরে যায়।
পরাগরেণুর দুটি স্তবক থাকে। বাইরের স্তবকটি কিউটিনযুক্ত ও পুরু। একে এক্সাইন বলে। আবার ভেতরের ত্বকটি বেশ পাতলা ও সেলুলোজ নির্মিত। একে বলে ইন্টাইন। এভাবে একটি পরাগরেণু বিভিন্ন অংশ নিয়ে গঠিত হয়।
ঘ. উদ্দীপকের কর্মকাণ্ডটি দ্বারা সিরাজ সাহেব পর-পরাগায়ন ঘটিয়েছেন। একই প্রজাতির দুটি উদ্ভিদের ফুলের মধ্যে পরাগ সংযোগ ঘটে থাকে। পর-পরাগায়নের ফলে নতুন চরিত্রের সৃষ্টি হয়, বীজের অঙ্কুরোদগমের হার বৃদ্ধি পায়, বীজ অধিক জীবনীশক্তি সম্পন্ন হয় ও নতুন প্রজাতি সৃষ্টি হয়।
দুটি ভিন্ন গুণসম্পন্ন গাছের মধ্যে পরাগায়ন ঘটে। তাই এর ফলে যে বীজ উৎপন্ন হয় তা নতুন গুণসম্পন্ন হয়। এ বীজ থেকে যে গাছ জন্মায় তাও নতুন গুণসম্পন্ন হয়। এ কারণে এসব গাছের নতুন বৈচিত্র্য সৃষ্টি হয়। পর-পরাগায়নের ফলে নতুন গুণসম্পন্ন বৈচিত্র্য সৃষ্টি হওয়ার কারণে তারা বিভিন্ন পরিবেশে স্বাভাবিকভাবে টিকে থাকতে পারে।
এটি না ঘটলে অধিক জীবনীশক্তি সম্পন্ন নতুন উদ্ভিদ বৈচিত্র্য সৃষ্টি হতো না। ফলে প্রতিকূল পরিবেশে তথা বৈচিত্র্যময় পরিবেশে উদ্ভিদকুল বেঁচে থাকতে পারে না। এতে করে উদ্ভিদকুল বিলীন হলে উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল সকল প্রাণিজগতও ধ্বংস হতো।
সুতরাং, এ আলোচনা থেকে স্পষ্টভাবে বলা যায় যে, পর-পরাগায়ন না ঘটলে পরিবেশ তার ভারসাম্য হারাবে, ধ্বংস হবে প্রাণিজগত ও উদ্ভিদজগত ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ কালার ব্লাইন্ড কি
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম কালার ব্লাইন্ড কি যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।