ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী কোনটি ব্যাখ্যা করো
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী কোনটি ব্যাখ্যা করো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী কোনটি ব্যাখ্যা করো
ক. ভিলাই কী?
খ. ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী কোনটি ব্যাখ্যা করো ।
গ. উদ্দীপকে B চিহ্নিত অংশে খাদ্য পরিপাক ক্রিয়া ব্যাখ্যা করো।।
ঘ. C একটি গুরুত্বপূর্ণ মিশ্রগ্রন্থি- বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক ক্ষুদ্রান্ত্রের অন্তঃপ্রাচীরে অবস্থিত রক্তজালক সম্পৃক্ত আঙ্গুলের মতো প্রক্ষেপিত অংশই হলো ভিলাই ।
খ. অনিয়ন্ত্রিত মাইটোসিস কোষ বিভাজনের কারণে ক্যান্সার সৃষ্টি হয়। গবেষণায় দেখা গেছে বিভিন্ন প্রকার প্যাপিলোমা ভাইরাস ক্যান্সার কোষ সৃষ্টিতে সহায়তা করে।
এ ভাইরাসের B6 এবং B7 নামের দু'টি জিন বিভাজন নিয়ন্ত্রক দু'টি প্রোটিন অণুকে স্থানচ্যুত করে। এতে কোষের বিভাজন নিয়ন্ত্রণকারী প্রোটিন অণুসমূহের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সৃষ্টি হয় ক্যান্সার কোষ কিংবা ক্যান্সার।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত চিত্রের B অংশটি হলো পাকস্থলি পাকস্থলিতে খাদ্য পরিপাক প্রক্রিয়া নিচে ব্যাখ্যা করা হলো- খাদ্য মুখগহ্বর থেকে অন্ননালির মধ্য দিয়ে পাকস্থলিতে প্রবেশ করে। পাকস্থলিতে খাদ্য আসার পর অন্তঃপ্রাচীরের গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থি থেকে গ্যাস্ট্রিক রস ক্ষরিত হয়। এই রস খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে।
গ্যাস্ট্রিক রসে প্রধানত হাইড্রোক্লোরিক এসিড ও পেপসিনোজেন নামক এনজাইম থাকে। হাইড্রোক্লোরিক এসিড খাদ্যের ক্ষতিকর অণুজীবকে ধ্বংস করে এবং নিষ্ক্রিয় পেপসিনোজেনকে সক্রিয় পেপসিনে পরিণত করে।
এই সক্রিয় পেপসিন আমিষ জাতীয় খাবারকে ভেঙ্গে দুই বা ততোধিক অ্যামাইনো এসিড দ্বারা গঠিত যৌগ-পলিপেপটাইডে (প্রোটিওজ ও পেপটোন) রূপান্তরিত করে। পাকস্থলিতে মূলত আমিষ জাতীয় খাবারই পরিপাক হয়, কিন্তু শর্করা ও স্নেহজাতীয় খাবার পরিপাক হয় না।
কারণ, শর্করা ও স্নেহজাতীয় খাবার পরিপাকের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইমগুলো পাকস্থলিতে অনুপস্থিত। উপরিউক্ত এনজাইমের ক্রিয়া ছাড়াও পাকস্থলির অনবরত সংকোচন ও প্রসারণের কারণে খাদ্য অর্ধতরল মিশ্রমণ্ডে পরিণত হয়। এটি পরবর্তীতে একটু একটু করে ডিওডেনামে প্রবেশ করে ।
ঘ. উদ্দীপকের উল্লিখিত চিত্রের C চিহ্নিত অংশটি হলো অগ্ন্যাশয়। মানব শরীরের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মিশ্রগ্রন্থি। কারণ একই সাথে এটি বহিঃক্ষরা ও অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি হিসেবে কাজ করে। বহিঃক্ষরা গ্রন্থি হিসেবে
এটি থেকে নিঃসৃত অগ্ন্যাশয় রসে ট্রিপসিন, লাইপেজ, অ্যামাইলেজ নামক উৎসেচক থাকে। এসব এনজাইম শর্করা, আমিষ ও স্নেহজাতীয় খাদ্যের পরিপাকে সহায়তা করে। তাছাড়া অম্ল ক্ষারের সাম্যতা, পানির সাম্যতা, দেহতাপ প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণ করে।
আবার, অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি হিসেবে, অগ্ন্যাশয়ের একটি অংশ অতিপ্রয়োজনীয় কিছু হরমোন নিঃসরণ করে, যেমন-গ্লুকাগন ও ইনসুলিন। রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ ও অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় কাজে এ হরমোন দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এ সকল কারণেই অগ্ন্যাশয়কে মিশ্রগ্রন্থি বলা হয়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী কোনটি ব্যাখ্যা করো
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী কোনটি ব্যাখ্যা করো যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।