c3 উদ্ভিদ বলতে কি বুঝায়
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো c3 উদ্ভিদ বলতে কি বুঝায় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের c3 উদ্ভিদ বলতে কি বুঝায়
ক. ফটোলাইসিস কী?
খ. c3 উদ্ভিদ বলতে কি বুঝায়?
গ. উদ্দীপকের ( প্রক্রিয়াটি মাইটোকন্ড্রিয়ার মধ্যে কীভাবে সংঘটিত হয়? বর্ণনা করো।
ঘ. উদ্দীপকের P প্রক্রিয়াটি A ও B সহ বিভিন্ন নিয়ামকের উপর নির্ভরশীল । বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. সূর্যালোক ও ক্লোরোফিলের সহায়তায় পানি বিয়োজিত হয়ে অক্সিজেন, হাইড্রোজেন ও ইলেকট্রন উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়াই হলো ফটোলাইসিস।
খ. যে সকল উদ্ভিদে ক্যালভিন চক্র পরিচালিত হয় তাকে C3, উদ্ভিদ বলা হয়। C3 চক্রে প্রথম স্থায়ী পদার্থ তিন কার্বন বিশিষ্ট ফসফোগ্লিসারিক এসিড। সাধারণত দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ C3, উদ্ভিদ নামে পরিচিত।
গ. উদ্দীপকের Q প্রক্রিয়াটি হলো সবাত শ্বসন। সবাত শ্বসন প্রক্রিয়ার গ্লাইকোলাইসিস ও অ্যাসিটাইল কো-এ সৃষ্টি সাইটোপ্লাজমে এবং ক্রেবস চক্র ও ইলেকট্রন প্রবাহতন্ত্র মাইটোকন্ড্রিয়ায় সংঘটিত হয়। যদিও
সর্বশেষ তথ্য অনুসারে অ্যাসিটাইল কো-এ সৃষ্টি বিক্রিয়াটি মাইটোকন্ড্রিয়ার ম্যাট্রিক্সে ঘটে জানা গেছে। মাইটোকন্ড্রিয়ায় সংঘটিত সবাত শ্বসনের বিক্রিয়াগুলো নিচে বর্ণনা করা হলো-
অ্যাসিটাইল কো-এ সৃষ্টির ধাপে গ্লাইকোলাইসিস পর্যায়ে সৃষ্ট প্রতি অণু পাইরুভিক অ্যাসিড পর্যায়ক্রমিক বিক্রিয়া শেষে ২ কার্বন বিশিষ্ট এক অণু অ্যাসিটাইল কো-এ, এক অণু CO, এবং এক অণু NADH + H' উৎপন্ন করে। পরবর্তীতে অ্যাসিটাইল CO-A ক্রেবস চক্রে প্রবেশ করে।
এ চক্রের সকল বিক্রিয়াই মাইটোকন্ড্রিয়ায় সংঘটিত হয়। এ চক্রে এক অণু অ্যাসিটাইল CO-A থেকে দুই অণু কার্বন ডাইঅক্সাইড, তিন অণু NADH + H', এক অণু FADH, এবং এক অণু GTP উৎপন্ন হয়। তবে প্রায় সকল উদ্ভিদে এই চক্রে GTP এর পরিবর্তে সবসময় ATP এবং প্রাণিকোষে কখনো কখনো GTP এর পরিবর্তে ATP উৎপন্ন হতে পারে।
ইলেকট্রন প্রবাহতন্ত্রে শ্বসনের তিনটি ধাপে উৎপন্ন NADH + H', FADH, জারিত হয়ে ATP, পানি, উচ্চশক্তির ইলেকট্রন এবং প্রোটন উৎপন্ন হয়। উচ্চ শক্তিসম্পন্ন ইলেকট্রন প্রবাহতন্ত্রের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় যে শক্তি প্রদান করে তা ATP তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
ঘ. উদ্দীপকের 'P' প্রক্রিয়াটি হলো সালোকসংশ্লেষণ এবং A ও B দ্বারা আলো ও ক্লোরোফিলকে নির্দেশ করা হয়েছে। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়াটি আলো ও ক্লোরোফিলসহ বিভিন্ন বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ নিয়ামকের উপর নির্ভরশীল। নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলো-
i. বাহ্যিক নিয়ামক
আলো: এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাহ্যিক প্রভাবক। আলোর উপস্থিতিতে পানি ভাঙে। সাধারণত 400nm, 480nm ও 680 nm তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোতে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া ভালো হয়।
তাপমাত্রা: সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় তাপমাত্রা বিশেষ প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। সাধারণত 22° সে. থেকে 35° সে. তাপমাত্রায় প্রক্রিয়াটি ভালো হয় ।
কার্বন ডাইঅক্সাইড: CO, ছাড়া প্রক্রিয়াটি চলতে পারে না। অবশ্য CO2 এর পরিমাণ বেশি বেড়ে গেলে প্রক্রিয়াটির হার কমে যায়।
পানি: সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় পানি অপরিহার্য। পানির ঘাটতি হলে পত্ররন্ধ্র বন্ধ হয়ে যায়। ফলে CO, এর প্রবেশ বাধাগ্রস্ত হয় । অক্সিজেন: বাতাসে O2 এর ঘনত্ব বেড়ে গেলে সালোকসংশ্লেষণের হার কমে যায় এবং O2 এর ঘনত্ব কমে গেলে প্রক্রিয়াটির হার বেড়ে যায়।
খনিজ পদার্থ: ক্লোরোফিলের প্রধান উপকরণ হচ্ছে নাইট্রোজেন ও ম্যাগনেসিয়াম। লোহার অনুপস্থিতিতে পাতা হলুদ হয়ে যায়। মাটিতে এসব খনিজ কমে গেলে সালোকসংশ্লেষণের হার কমে যায় ।
রাসায়নিক পদার্থ: বাতাসে ক্লোরোফর্ম, হাইড্রোজেন সালফাইড, মিথেন বা কোনো বিষাক্ত গ্যাস থাকলে সালোকসংশ্লেষণে ব্যাঘাত ঘটে বা একেবারেই বন্ধ হয়ে যায় ।
ii. অভ্যন্তরীণ নিয়ামক
ক্লোরোফিল: সালোকসংশ্লেষণ কেবলমাত্র ক্লোরোফিল যুক্ত অংশে ঘটে । পাতার বয়স ও সংখ্যা: কচি ও বয়স্ক পাতায় সালোকসংশ্লেষণ কম হয়। মধ্যবয়সী পাতায় বেশি হয়। পাতার সংখ্যা বেশি হলে সালোকসংশ্লেষণ বেশি হয়।
শর্করার পরিমাণ: শর্করা বেশি উৎপন্ন হলে সালোকসংশ্লেষণের গতি মন্থর হয়ে যায়।
পটাশিয়াম: সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় পটাশিয়াম অনুঘটক হিসেবে। কাজ করে।
এনজাইম: সালোকসংশ্লেষণের জন্য বিভিন্ন ধরনের এনজাইমের প্রয়োজন হয় ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ c3 উদ্ভিদ বলতে কি বুঝায়
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম c3 উদ্ভিদ বলতে কি বুঝায়যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।