দেহে পানির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে মূত্র তৈরিকারী অঙ্গের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো দেহে পানির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে মূত্র তৈরিকারী অঙ্গের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের দেহে পানির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে মূত্র তৈরিকারী অঙ্গের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো

দেহে পানির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে মূত্র তৈরিকারী অঙ্গের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো
দেহে পানির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে মূত্র তৈরিকারী অঙ্গের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো

আব্দুল্লাহ সাহেব একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকুরী করেন। তিনি প্রায়ই দুপুরে আগের দিন রান্না করা মাংস ও ডিম দিয়ে খান। কিছুদিন পর দেখা গেল তাঁর কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে, কোমরের পিছনে ব্যথা অনুভব করেন। ডাক্তার সাহেবের শরণাপন্ন হলে তিনি তাঁকে বললেন, আপনার এক বিশেষ অঙ্গে সমস্যা দেখা দিয়েছে, এজন্য তিনি তাঁকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপত্র ও উপদেশ দিলেন।

ক. পেলভিস কী?

খ. দেহে পানির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে মূত্র তৈরিকারী অঙ্গের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।

গ. আব্দুল্লাহ সাহেবের সমস্যাজনিত অঙ্গটির গঠন এককের বর্ণনা দাও।.

ঘ. ডাক্তার সাহেবের ব্যবস্থাপত্রই কী আব্দুল্লাহ সাহেবের রোগমুক্তির একমাত্র উপায়— মতামত দাও।

 প্রশ্নের উত্তর

. বৃক্কের হাইলাসে অবস্থিত গহ্বরই হলো পেলভিস।

. মূত্র তৈরিকারী অঙ্গ হলো বৃক্ক। দেহে পানির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে বৃদ্ধ মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। মূলত মূত্রের মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি পানি দেহ থেকে বেরিয়ে যায়। এক্ষেত্রে বৃক্ক নেফ্রনের মাধ্যমে পুনঃশোষণ প্রক্রিয়ায় দেহে পানির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

.

. আব্দুল্লাহ সাহেবের সমস্যাজনিত অঙ্গটি মূলত বৃত্ত এবং বৃক্কের গঠন একক হলো নেফ্রন। নিচে এর গঠন বর্ণনা করা হলো- 

প্রতিটি নেফ্রন একটি রেনাল করপাসল বা মালপিজিয়ান অঙ্গ এবং রেনাল টিউব্যুল নিয়ে গঠিত। প্রতিটি রেনাল করপাসল আবার গ্লোমেরুলাস এবং বোম্যান্স ক্যাপসুল-এ দু'টি অংশে বিভক্ত। বোম্যান্স ক্যাপসুল গ্লোমেরুলাসকে বেষ্টন করে থাকে।

 বোম্যান্স ক্যাপসুল দ্বিস্তরবিশিষ্ট পেয়ালার মতো প্রসারিত একটি অংশ। গ্লোমেরুলাস একগুচ্ছ কৈশিক জালিকা দিয়ে তৈরি। বোম্যান্স ক্যাপসুলের অঙ্কীয় দেশ থেকে সংগ্রাহী নালি পর্যন্ত বিস্তৃত চওড়া নালিটি হলো রেনাল টিউব্যুল। 

প্রতিটি রেনাল টিউব্যুল ৩টি অংশে বিভক্ত, যথা— গোড়াদেশীয় প্যাচানো নালিকা, হেনলির লুপ এবং প্রান্তীয় প্যাচানো নালিকা ।

. উদ্দীপকে উল্লিখিত রোগের লক্ষণগুলো দেখে সহজেই বোঝা যায় আব্দুল্লাহ সাহেবের বৃক্কে পাথর তৈরি হয়েছে। ডাক্তার সাহেবের শরণাপন্ন হলে তিনি তাকে ব্যবস্থাপত্র ও উপদেশ দেন। আমার মতে ডাক্তার সাহেবের ব্যবস্থাপত্রই আব্দুল্লাহ সাহেবের রোগমুক্তির একমাত্র উপায় নয়, একই সাথে ডাক্তার সাহেবের উপদেশগুলো পালন করা অত্যাবশ্যক। ব্যবস্থাপত্রে উল্লিখিত ওষুধগুলোর পাশাপাশি রোগমুক্তির জন্য তাকে নিচের কাজগুলো করতে হবে—

- বৃক্ককে সজীব ও সতেজ রাখতে পানি গরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মূত্রের ৯০ ভাগই পানি। তাই বৃদ্ধকে সতেজ রাখতে মনির সাহেবের প্রতিদিন পরিমিত পানি পান করতে হবে।

অতিরিক্ত শারীরিক ওজন বৃক্কে পাথর বা বৃক্কের নানান রোগের জন্য দায়ী। তাই মনির সাহেবকে স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

অতিরিক্ত প্রাণিজ আমিষ, যেমন—মাংস, মাছ, ডিম প্রভৃতি বৃক্কের রোগের জন্য দায়ী । এসব খাবার খুব অল্প পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে। পান, সুপারি, জর্দা তথা তামাক জাতীয় পদার্থ বৃদ্ধের জন্য ক্ষতিকর। এসব খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।

অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে থাকলে বৃক্কের রোগ হতে পারে। তাই মনির সাহেবকে আলো বাতাসপূর্ণ স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাস করতে হবে ।


আর্টিকেলের শেষকথাঃ দেহে পানির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে মূত্র তৈরিকারী অঙ্গের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম দেহে পানির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে মূত্র তৈরিকারী অঙ্গের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ