বিচ্যুতি আচরণের প্রকারভেদ আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বিচ্যুতি আচরণের প্রকারভেদ আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বিচ্যুতি আচরণের প্রকারভেদ আলোচনা কর ।
বিচ্যুতি আচরণের প্রকারভেদ আলোচনা কর |
বিচ্যুতি আচরণের প্রকারভেদ আলোচনা কর
অথবা, বিভিন্ন প্রকার বিচ্যুতি সম্পর্কে ধারণা দাও
অথবা, বিচ্যুতির প্রকারভেদগুলো বর্ণনা কর
উত্তর: ভূমিকা : সমাজ জীবনে মানুষকে আচার-আচরণ, মূল্যবোধ, প্রথার মত শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে চলতে হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে মানুষ এ শৃঙ্খলতার সাথে একাত্ম হলেও বিভিন্ন কারণে মানুষ সামাজিক আচার-আচরণের বিরুদ্ধ আচরণ করে ।
ফলশ্রুতিতে সামাজিক বিচ্যুতি ঘটে। এই বিচ্যুতির পশ্চাতে প্রতিকূল পরিবেশ, অর্থনীতি, সমাজ কাঠামো ও বিশেষত বিশ্বায়ন দায়ী। সামাজিক বিচ্যুতির প্রকারভেদ সমাজ বিজ্ঞানের অন্যতম আলোচ্য বিষয় ।
→ বিচ্যুতির প্রকারভেদ : সামাজিক বিচ্যুতির ধরন অনুযায়ী বিচ্যুতিকে বিভিন্ন ধরন বা প্রকারভেদে ভাগ করা হয়। নিম্নে বিচ্যুতির প্রকারভেদ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
১. চরম প্রকৃতির বিচ্যুতি : কিছু সামাজিক বিচ্যুতি আছে যা সমাজের নীতি-নৈতিকতা ও আইন-রীতি বহির্ভূত এরূপ বিচ্যুতিকে চরম প্রকৃতির বিচ্যুতি বলে। এ ধরনের বিচ্যুতিকে আইনত অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয় যা অতি দ্রুত সমাজকে অস্থিতিশীল করতে পারে। এ ধরনের বিচ্যুতি মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় আইনের শরণাপন্ন হতে হয় ।
২. মার্জনীয় বিচ্যুতি : কিছু সামাজিক বিচ্যুতি রয়েছে যেগুলো মুখ্য নয় তবে নীতি-নৈতিকতার সাথে জড়িত এরূপ বিচ্যুতিকে মার্জনীয় বিচ্যুতি বলা হয়। অবশ্য এরূপ বিচ্যুতির ক্ষেত্রে সমাজ সাধারণত সেইরূপ কোনো ধরনের দণ্ড বিধান করতে পারে না। মার্জনীয় প্রকৃতির বিচ্যুতি সাধারণত অস্থায়ী ও পরিবর্তনশীল হয়ে থাকে ।
৩. সংগোপনীয় বিচ্যুতি : কিছু বিচ্যুতি রয়েছে যা সমাজে সংগোপনে সংঘটিত হয় তাই সংগোপনীয় বিচ্যুতি। সকল সমাজেই এ ধরনের সাক্ষ্য প্রমাণ থাকে না বিধায় অপরাধমূলক হলেও ব্যক্তি সহজেই দণ্ডবিধি এড়িয়ে যেতে পারে।
৪. অভ্যাসগত বিচ্যুতি : কিছু বিচ্যুতি রয়েছে যা সমাজ স্বীকৃত নয় কিন্তু অভ্যাসগত কারণে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীভেদে এ ধরনের বিচ্যুতি দেখা দেয় সেটিই অভ্যাসগত বিচ্যুতি। যেমন- মদ খাওয়া । সমাজের অনেক লোক অভ্যাসগত কারণে সামাজিক বিচ্যুতি ঘটতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে ।
৫. মনস্তাত্ত্বিক বিচ্যুতি : মানসিকভাবে সুষ্ঠু বিকাশ লাভ করতে না পারলে' এবং প্রতিকূলতা ও আকাঙ্ক্ষার জায়গা থেকে আবেগের বশবর্তী হলে মনস্তাত্ত্বিক বিচ্যুতি ঘটে। কিশোর ও যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক বিচ্যুতির প্রভাব সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে ।
৬. পেশাগত উপসংস্কৃতির বিচ্যুতি : পেশাগত উপসংস্কৃতি বলতে কোনো কর্মক্ষেত্রের ঊর্ধ্বতন থেকে সর্বনিম্ন পর্যায়ের পদ পর্যন্ত কর্মচারীর মধ্যে কর্মচারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির রূপ পরিগ্রহ হলেও বৈষম্যতার দরুন আকাঙ্ক্ষার জায়গা হতে বিভিন্ন স্বার্থগত কারণে অনিয়মে লিপ্ত হওয়া বোঝায় ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সামাজিক বিচ্যুতি হলো সমাজের নিয়ম-নীতির বিরুদ্ধাচরণমূলক আচরণ । সামাজিক পরিবর্তনের ধারায় বিভিন্ন ধরনের সামাজিক বিচ্যুতি ঘটে তবে এক্ষেত্রে চরম প্রকৃতির বিচ্যুতি একান্তই অকাম্য। কেননা তা সমাজের অস্থিতিশীলতা ও শৃঙ্খলতা দ্রুত বিনষ্ট করে দেয় ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বিচ্যুতি আচরণের প্রকারভেদ আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বিচ্যুতি আচরণের প্রকারভেদ আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।