ভারতে বর্ণ প্রথা সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ভারতে বর্ণ প্রথা সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ভারতে বর্ণ প্রথা সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর ।
ভারতে বর্ণ প্রথা সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর |
ভারতে বর্ণ প্রথার বর্ণনা দাও | ভারতে বর্ণ প্রথা সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর
উত্তর : ভূমিকা : বিশ্বব্যাপি সামাজিক স্তরবিন্যাসের কথা চিন্তা করলে দেখা যাবে যে, ভারতীয় বর্ণ প্রথাই হচ্ছে অদ্বিতীয় এবং স্তরবিন্যাসের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তবে এর অর্থ এই নয় যে, এই ধরনের বর্ণ প্রথার সাথে পৃথিবীর কোনো সমাজের স্ত রবিন্যাসের সামান্যতম সাদৃশ্যও নেই ।
→ ভারতে বর্ণ প্রথা : কালভাকুল এলাকায় একটি ছোট গ্রামে যখন একজন তরুণ ভারতীয়কে ২০০১ সালে হত্যা করা হয় তখন এই ঘটনা বিশ্বব্যাপী হৈ চৈ ফেলে দেয়। এই যুবক ছিল আসলে একজন অবছুদ অথবা দলিদ। তাকে টেনে হিঁচড়ে খোলা মাঠে দিয়ে আসা হয়।
তার উপর চাড়ানো হয় এবং এক সময় উচ্চ বর্ণের গ্রামবাসীরা তাকে হত্যা করে। তার অপরাধ এটাই ছিল যে এমন গ্রামে সে উচ্চ স্বরে কথা বলেছিল সেখানে অবছুদরা কখনো তাদের মতামত ব্যক্ত করতে পারে না। হত্যার অভিযোগে তারা গ্রেফতার হয়। তারা মোটেও অনুতপ্ত ছিল না।
তাদের একজন বলে What do you expectus to do hand over the whole village to those people. অর্থাৎ, কি মনে করেন এই সব ছোট লোকদের হাতে কি আমরা তাদের গ্রামটা তুলে দিব। এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমেই ভারতে হিন্দু বর্ণ প্রথার দুর্বলমুখী গতির প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই।
১৯৫০ সালে বিশেষ আইনের মাধ্যমে অবছুদদের বিরুদ্ধে সকল বৈষম্য সরকার প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তুলে নেয়। এই দলিদরা কখনো মন্দির স্কুল এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে যেতে পারতো না এবং তারা কোন কাজকর্ম পেত না।
আজও কিন্তু এই ধরনের বর্ণপ্রথা রয়ে গেছে। কারণ এই প্রথার স্বরটা আইন নয়; বরং হিন্দু ধর্ম নিজেই। এই প্রথার প্রবল আস্তিত্ব দেখা যায়। গ্রামে গঞ্জে যেখানে নব্বই শতাংশ দলিদদের বসবাস। বর্ণপ্রথার প্রভাব উন্নত শহরগুলোতে খুব একটা দেখা যায় না।
কারণ দলিদরা স্কুলে হাসপাতাল যোগাযোগের মাধ্যমের ভিড়ে লোকজনের অজান্তেই তাদের মধ্যে মিশে যায়। ইতিহাসে অধ্যায়ন করলে দেখা যায় যে, আই ধরনের বর্ণ প্রথা চির অপরিবর্তনীয় কিছু নয়।
মোঘল সাম্রাজ্যের সময় অদ্ভুদরা ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে দলিদ হিসেবে নিজেদের ফলঙ্ক মুছতে সক্ষম হয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, রাজনীতি এবং সরকারের প্রচেষ্ঠার চেয়ে বর্ণ প্রথা উচ্ছেদের অধিকতর কার্যকারী ভূমিকা পালন করছে নগরায়ণ এবং প্রযুক্তি ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ভারতে বর্ণ প্রথা সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ভারতে বর্ণ প্রথা সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।