লিঙ্গভিত্তিক অসমতার কারণগুলো উল্লেখ কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো লিঙ্গভিত্তিক অসমতার কারণগুলো উল্লেখ কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের লিঙ্গভিত্তিক অসমতার কারণগুলো উল্লেখ কর
লিঙ্গভিত্তিক অসমতার কারণগুলো উল্লেখ কর |
লিঙ্গভিত্তিক অসমতার কারণগুলো উল্লেখ কর
অথবা, বাংলাদেশে লিঙ্গভিত্তিক অসমতার কারণগুলো চিহ্নিত কর।
উত্তর : ভূমিকা : বাংলাদেশের সমাজে লিঙ্গভিত্তিক অসমতা একটি সংকটজনক বিষয়। সকল ক্ষেত্রে লিঙ্গভিত্তিক অসমতা এখানে প্রকট আকার ধারণ করেছে। তবে এদেশে অসমতার উৎপত্তি এমনি এমনি হয়নি, বরং এর পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে।
→ বাংলাদেশে লিঙ্গভিত্তিক অসমতার কারণসমূহ : বাংলাদেশে লিঙ্গভিত্তিক অসমতার পেছনে নিম্নলিখিত কারণগুলো বিদ্যমান ।
১. সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি : প্রচলিত সমাজব্যবস্থা সর্বদা ছেলেদের নারীদের চেয়ে উচ্চে স্থান দেয়। ফলে একটি ছেলে সমাজে যেভাবে সমাদৃত হয় একজন নারী সেভাবে সমাদৃত হয় না । ফলে লিঙ্গ অসমতার সৃষ্টি হয়।
২. শারীরিক গঠন : শারীরিক গঠনগত দিক দিয়ে পুরুষরা মেয়েদের চেয়ে শক্তিশালী। ফলে পুরুষরা যেসব শক্ত কাজ করতে পারে মেয়েরা তা পারে না। ফলে নারী-পুরুষ অসমতার সৃষ্টি হয় ।
৩. কাজের ধরন : সমাজে নারী-পুরুষ উভয়ের কাজের ধরন ভিন্ন। নারীরা সাধারণত গৃহে কাজ করে। পক্ষান্তরে, পুরুষরা হাট বাজার অফিস-আদালত সবস্থানে উপার্জনমূলক কাজে যুক্ত । এজন্য পুরুষদের কাজকে নারীদের কাজের তুলনায় প্রাধান্য দেওয়া হয় বলে নারী-পুরুষ বৈষম্য দেখা দেয় ।
৪. প্রচলিত বিশ্বাস : আমাদের মাঝে প্রচলিত বিশ্বাস হচ্ছে যে একজন ছেলে সন্তান তার সামর্থ্য দিয়ে পারিবারিক উন্নয়নে অবদান রাখবে।
পক্ষান্তরে, একটি মেয়ে সন্তান বোঝা স্বরূপ । কোনোরকমে তাকে বিয়ে দিতে পারলেই যেন বোঝা অপসারণ করা গেল । এরকম ধ্যান-ধারণার ফলে লিঙ্গ বৈষম্যের জন্ম হয়।
৫. পিতৃতান্ত্রিক সমাজ কাঠামো : পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই পিতৃতান্ত্রিক সমাজ কাঠামো লক্ষ করা যায়। বাংলাদেশ এর ব্যতিক্রম নয়।
ফলে পুত্র সন্তানকেই পরবর্তীতে পরিবার বা সমাজের নেতা হিসেবে গণ্য করা হয় এবং মেয়ে সন্তানকে এক্ষেত্রে গণনায় আনা হয় না। ফলে সমাজে লিঙ্গ বৈষম্য সৃষ্টি হয়।
৬. অন্ন, বস্ত্র ও অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা : আমাদের সমাজে লক্ষ করা যায় যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নারীরা অন্ন, বস্ত্র ও টাকা পয়সার জন্য তাদের স্বামী, ভাই বা পিতা অর্থাৎ পুরুষদের উপর নির্ভরশীল। এর ফলে লিঙ্গ বৈষম্য ঘটে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, লিঙ্গ বৈষম্য বিভিন্ন কারণে সৃষ্ট একটি সামাজিক অসঙ্গতি। এর ফলে এক লিঙ্গের অধিকারী তার বিপরীত লিঙ্গের উপর আধিপত্য চালানোর প্রয়াস পায়। সামাজিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে হলে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করাটা অপরিহার্য।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ লিঙ্গভিত্তিক অসমতার কারণগুলো উল্লেখ কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম লিঙ্গভিত্তিক অসমতার কারণগুলো উল্লেখ কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।