ভূণের বৃদ্ধির জন্য অমরা প্রয়োজন কেন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ভূণের বৃদ্ধির জন্য অমরা প্রয়োজন কেন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ভূণের বৃদ্ধির জন্য অমরা প্রয়োজন কেন
ক. এপিক্যাল কোষ কী?
খ. ভূণের বৃদ্ধির জন্য অমরা প্রয়োজন কেন?
গ. চিত্র A থেকে D সৃষ্টির প্রক্রিয়ার বিবরণ দাও ।।
ঘ. উদ্দীপকে D সৃষ্টি উদ্ভিদের অস্তিত্বের জন্য অবশ্যই প্রয়োজন— বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. স্পোরোফাইট গঠনের পর যে কোষটি ধীরে ধীরে ভূণে পরিণত হয়, সেই কোষটি হলো এপিক্যাল কোষ।
খ. অমরার সাহায্যে ভ্রূণ জরায়ুর গাত্রে সংস্থাপিত হয়। ভ্রূণের বৃদ্ধির জন্য যে খাদ্য প্রয়োজন তা ভ্রূণ অমরার মাধ্যমে মায়ের রক্ত থেকে গ্রহণ করে।
তাছাড়া অমরা অনেকটা ফুসফুসের মতো কাজ করে। অমরার সাহায্যে ভূণের অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের বিনিময় ঘটে। তাই ভূণের বৃদ্ধির জন্য অমরা প্রয়োজন ।
গ. উদ্দীপকে A হলো স্ত্রীরেণু মাতৃকোষ এবং D হলো ডিম্বাণু। নিচে স্ত্রীরেণু মাতৃকোষ থেকে ডিম্বাণু সৃষ্টির প্রক্রিয়ার বিবরণ দেওয়া হলো-
গর্ভাশয়ের অভ্যন্তরে ডিম্বক থাকে যেখানে স্ত্রীজনন মাতৃকোষ সৃষ্টি হয়। এ কোষটি মিয়োসিস বিভাজন প্রক্রিয়ায় চারটি হ্যাপ্লয়েড কোষ সৃষ্টি করে।
সর্বনিম্ন কোষটি ছাড়া বাকি তিনটি কোষ বিনষ্ট হয়ে যায়। জীবিত কোষটির নিউক্লিয়াস মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে দুটি নিউক্লিয়াসে পরিণত হয় এবং ভ্রুণথলির দু'মেরুতে অবস্থান নেয়।
এরপর এ দুটি নিউক্লিয়াসের প্রতিটি পরপর দুবার বিভক্ত হয়ে চারটি করে নিউক্লিয়াসের সৃষ্টি করে। এর পর দুই মেরু হতে একটি করে নিউক্লিয়াস ভূণথলির কেন্দ্রস্থলে এসে মিলিত হয়ে গৌণ কেন্দ্রিকা সৃষ্টি করে।
দুই মেরুর নিউক্লিয়াসগুলো সামান্য সাইটোপ্লাজম সহকারে কোষের সৃষ্টি করে। ডিম্বকরন্ধ্রের দিকে কোষ তিনটিকে গর্ভযন্ত্র বলে। এর মাঝের বড় কোষটিই ডিম্বাণু ।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত D হলো ডিম্বাণু। স্ত্রীরেণু মাতৃকোষ হতে বিভিন্ন ধাপে বিভাজিত হয়ে ডিম্বাণুর সৃষ্টি। জীবজগতে নিষেক ক্রিয়া একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জৈবিক প্রক্রিয়া।
এ প্রক্রিয়ায় স্ত্রীগ্যামেটোফাইটের সাথে পুংগ্যামেটের মিলন হয়। এই মিলনের ফলে জাইগোট সৃষ্টি হয়। জাইগোট হতে ভ্রূণের সৃষ্টি হয়।
এই ভ্রূণ পরবর্তীতে ডিম্বক ও সস্যসহ বীজে পরিণত হয়। বীজ উদ্ভিদের বংশরক্ষা করে। বীজের সৃষ্টি না হলে অধিকাংশ পুষ্পক উদ্ভিদ বিলুপ্ত হয়ে যেত।
কারণ বীজের অঙ্কুরোদগম না হলে নতুন উদ্ভিদ বা পূর্ণাঙ্গ স্পোরোফাইটের সৃষ্টি হতো না। আবার স্ত্রীগ্যামেটোফাইট এই স্পোরোফাইটের উপর নির্ভরশীল। আবার উদ্ভিদের বীজের উপরেই খাদ্যের জন্য প্রাণিকুল নির্ভরশীল।
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, ডিম্বাণু সৃষ্টির উপর জীবজগতের অস্তিত্ব নির্ভর করছে। উদ্ভিদ না থাকলে সমগ্র জীবজগত ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই বলা যায় ডিম্বাণু সৃষ্টি উদ্ভিদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য অবশ্যই প্রয়োজন ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ভূণের বৃদ্ধির জন্য অমরা প্রয়োজন কেন
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ভূণের বৃদ্ধির জন্য অমরা প্রয়োজন কেন যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।