টিস্যু ম্যাচ কি
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো টিস্যু ম্যাচ কি জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের টিস্যু ম্যাচ কি
শাহিনা বেগমের কিডনি অকেজো হওয়ায় তিনি মেশিনের সাহাে | নিয়মিত রক্ত পরিশোধন করেন। অপরদিকে মিনা খাতুনের কিডনি অকেজো হয়ে পড়ায় তিনি তার ছোট খালার একটি কিডনি গ্রহণ করেন।
ক. নেফ্রন কী?
খ. টিস্যু ম্যাচ কি?
গ. শাহিনা বেগমের চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত দুই জনের মধ্যে কে চিকিৎসা গ্রহণে অধিক সুবিধা পায়? তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও ।
প্রশ্নের উত্তর
ক. বৃক্কের গঠন ও কার্যগত একক হলো নেফ্রন।
খ. দু'জন মানুষের মধ্যে HLA নামক বিশেষ অ্যান্টিজেনের মিল থাকাকে টিস্যু ম্যাচ বলে। দু'জন মানুষের মধ্যে HLA এর মধ্যে মিল থাকলে তাদের একজনের কিডনি অন্যজনের শরীরে প্রতিস্থাপন করা যায়। অন্যথায় কিডনি সংযোজন সফল হয় না।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত শাহিনা বেগমের কিডনি অকেজো হওয়ায় ডায়ালাইসিস মেশিনের সাহায্যে রক্ত পরিশোধন করেন। নিচে ডায়ালাইসিস পদ্ধতিটি ব্যাখ্যা করা হলো—
মূলত বৃদ্ধ সম্পূর্ণ অকেজো বা বিকল হওয়ার পর বৈজ্ঞানিক উপায়ে রক্ত পরিশোধন করার নাম ডায়ালাইসিস।
এ পদ্ধতিতে মেশিনটির ডায়ালাইসিস টিউবের একপ্রান্তে রোগীর হাতের কব্জির ধমনির সাথে ও অন্যপ্রান্তে ঐ হাতের কব্জির শিরার সাথে সংযোজন করা হয়।
ধমনি থেকে টিউবের মধ্য দিয়ে রক্ত ডায়ালাইসিস টিউবের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করানো হয়। এর প্রাচীর আংশিক বৈষম্যভেদ্য হওয়ায় ইউরিয়া, ইউরিক এসিড ও অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থ বাইরে বেরিয়ে আসে। পরিশোধিত রক্ত রোগীর দেহের শিরার মধ্য দিয়ে দেহের ভিতর পুনরায় প্রবেশ করে।
এখানে উল্লেখ্য যে, ডায়ালাইসিস টিউবটি এমন একটি তরলের মধ্যে ডুবানো থাকে যার গঠন রক্তের প্লাজমার অনুরূপ হয়। এভাবেই বেগমের দেহের ডায়ালাইসিস মেশিনের সাহায্যে শাহিনা নাইট্রোজেনঘটিত বর্জ্য পদার্থ বাইরে নিষ্কাশিত হয়।
ঘ. মানুষের সবসময় একটি কিডনি কার্যকর থাকে। তাই কারও দুটি কিডনিই অকার্যকর হয়ে গেলে একজন সুস্থ ব্যক্তির একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করে রোগের চিকিৎসা করা যায়। তবে দেখতে হবে যে বৃক্কের টিস্যু ম্যাচ করে কিনা।
পিতা-মাতা, ভাই-বোন ও নিকট আত্মীয়দের কিডনির টিস্যু ম্যাচ হবার সম্ভাবনা বেশি। সেজন্যই মিনা খাতুন তার খালার কিডনি গ্রহণ করেছেন। শাহিনা বেগম কিডনি সংযোজন না করে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করার মাধ্যমে দেহকে বর্জ্য মুক্ত রাখছেন।
এটি একটি সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। এছাড়া বারবার ডায়ালাইসিস করা খুবই ব্যয়বহুল। দেশের সব জায়গায় এর সুব্যবস্থাও নেই।
অন্যদিকে নিকট আত্মীয়দের মধ্য থেকে একটি কিডনি সংযোজন করতে পারলে, একটি কিডনি নিয়েই দাতা ও গ্রহীতা উভয়েই সারা জীবন চলতে পারেন। এতে বারবার হাসপাতালে যেতে হয় না।
ফলে তুলনামূলকভাবে ব্যয় কমে যায়। কাজেই একটি স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে মিনা খাতুন শাহিনা বেগমের চেয়ে অধিক সুবিধা পায় ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ টিস্যু ম্যাচ কি
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম টিস্যু ম্যাচ কি যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।