থাইরয়েড গ্রন্থিকে অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি বলা হয় কেন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো থাইরয়েড গ্রন্থিকে অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি বলা হয় কেন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের থাইরয়েড গ্রন্থিকে অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি বলা হয় কেন
ক. কোষ কী?
খ. থাইরয়েডকে অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি বলা হয় কেন ?
গ. চিত্র B এর গঠন বর্ণনা করো ।
ঘ. শক্তি উৎপাদনে চিত্র A এবং চিত্র B এর মধ্যে কোনটির ভূমিকা অধিক? মতামত দাও ।
প্রশ্নের উত্তর
ক. জীবদেহের গঠন ও কাজের এককই হলো কোষ ।
খ. যেসব গ্রন্থি নালিবিহীন, ক্ষরণ সরাসরি রক্ত বা লসিকার মাধ্যমে বাহিত হয়ে দূরবর্তী সুনির্দিষ্ট অঙ্গে ক্রিয়াশীল হয়, সেসব গ্রন্থিকে অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি বলে। থাইরয়েড এক ধরনের নালিবিহীন গ্রন্থি।
এ গ্রন্থি নিঃসৃত হরমোন রক্তস্রোতের মাধ্যমে লক্ষ্যস্থিত কোষে পৌছায়। এ সকল কারণে থাইরয়েডকে অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি বলা হয় ।
গ. উদ্দীপকের চিত্র-B হলো ক্লোরোপ্লাস্ট। এর গঠন নিম্নে বর্ণনা করা । হলো- ক্লোরোপ্লাস্ট দুটি স্তর নিয়ে গঠিত। বাইরের দিকের স্তরটিকে বলা হয় বহিঃস্তর ও ভেতরের দিকের স্তরটিকে বলা হয় অন্তঃস্তর।
ভিতরে অসংখ্য ছোট ছোট গ্রানাম চাকতি থাকে যেখানে সূর্যের আলো আবদ্ধ হয়। একটি গ্রানামের সাথে অন্য গ্রানাম সংযুক্ত থাকে গ্রানাম ল্যামেলামের মাধ্যমে। এছাড়াও ভেতরে তরল ম্যাট্রিক্স থাকে।
ম্যাট্রিক্সে স্ট্রোমা ছড়ানো অবস্থায় থাকে। স্ট্রোমা থেকে সালোকসংশ্লেষণের প্রয়োজনীয় উৎসেচক নিঃসৃত হয়। ক্লোরোপ্লাস্টে ক্লোরোফিল থাকায় এরা সবুজ বর্ণের হয় । এছাড়াও এতে ক্যারোটিনয়েড নামক রঞ্জকও থাকে ।
ঘ. উদ্দীপকের চিত্র-A এবং চিত্র-B হলো যথাক্রমে মাইটোকন্ড্রিয়া ও ক্লোরোপ্লাস্ট। শক্তি উৎপাদনে উভয় অঙ্গাণুর মধ্যে মাইটোকন্ড্রিয়ার ভূমিকা অধিক।
ক্লোরোপ্লাস্ট প্লাস্টিডের গ্রানা অংশে সূর্যালোককে আবদ্ধ করে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে। এই আবদ্ধ সৌরশক্তি স্ট্রোমাতে অবস্থিত উৎসেচক, বায়ু থেকে গৃহীত কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং কোষের ভিতরকার পানি ব্যবহৃত করে সরল শর্করা তৈরি করে। যা শ্বসনিক বস্তুরূপে ব্যবহৃত হয়।
শ্বসন প্রক্রিয়ায় এই শ্বসনিক বস্তু সম্পূর্ণরূপে জারিত হয়ে CO2, H2O এবং বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়। শ্বসনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ: ক্রেবস চক্র ও ইলেকট্রন প্রবাহতন্ত্র মাইটোকন্ড্রিয়ায় সম্পন্ন হয়।
শ্বসনে সবচেয়ে বেশি শক্তি ক্রেবস চক্রে উৎপাদিত হয়। ক্রেবস চক্রে অংশগ্রহণকারী সব উৎসেচক এতে উপস্থিত থাকায় এ বিক্রিয়াগুলো মাইটোকন্ড্রিয়াতেই সম্পন্ন হয়। এজন্য মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের পাওয়ার হাউস বলা হয়।
উপরের আলোচনার সাপেক্ষে বলা যায়, শক্তি উৎপাদনে ক্লোরোপ্লাস্টের ভূমিকা রয়েছে তবে শক্তি উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াগুলো মাইটোকন্ড্রিয়াতে সম্পন্ন হয় বলে শক্তি উৎপাদনে ক্লোরোপ্লাস্টের চেয়ে মাইটোকন্ড্রিয়ার ভূমিকা অধিক
আর্টিকেলের শেষকথাঃ থাইরয়েড গ্রন্থিকে অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি বলা হয় কেন
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম থাইরয়েড গ্রন্থিকে অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি বলা হয় কেন যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।