১২ টি সুভা গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন | Suva Golper Onudhabon
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সুভা গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন | Suva Golper Onudhabon জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সুভা গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন | Suva Golper Onudhabon
সুভা গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন |
অনুধাবন স্তরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর-সুভা
প্রশ্ন ১। সুভাষিণী নামটি সার্থক হয়নি কেন- ব্যাখ্যা কর ।
উত্তর : সুভা কথা বলতে পারে না বলে সুভাষিণী নামটি সার্থক হয়নি। ‘সুভা' গল্পে সুভা বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী। সুভা কথা বলতে পারে না বলে মনের ভাব সবার মতো প্রকাশ করতে পারে না।
সুভার বড় দুই বোনের নাম যথাক্রমে সুকেশিনী ও সুহাসিনী। তাদের নামের সঙ্গে মিল রেখে সুভার বাবা তার নাম রেখেছিলেন সুভাষিণী বা মধুরভাষী ।
নাম রাখার সময় তিনি তো জানতেন না যে সুভাষিণী বোবা হবে। কথা বলতে না পারার জন্য সুভার মা সুভাকে নিজের ত্রুটিস্বরূপ দেখতেন এবং নিজের লজ্জার কারণ বলে মনে করেন। অন্যদিকে পিতা বাণীকণ্ঠ সুভাকে অন্য দুই মেয়ে অপেক্ষা বেশি ভালোবাসতেন।
নদীর কলধ্বনি, কোলাহল, মাঝির গান, পাখির ডাক প্রভৃতি সুভার ভাষার অভাব পূরণ করলেও সুভা তার পরিবারের অন্যদের সঙ্গে কথা বলে তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। এদিক বিবেচনায় সুভাষিণী নামটি সার্থক হয়নি।
প্রশ্ন ২। 'সে ভাষাবিশিষ্ট জীব'— কার সম্পর্কে, কোন প্রসঙ্গে বলা হয়েছে?
উত্তর : 'সে ভাষাবিশিষ্ট জীব'— কথাটি সুভার সঙ্গী প্রতাপ সম্পর্কে বলা হয়েছে। সুভার গুটিকয়েক সঙ্গীর মধ্যে প্রতাপই একমাত্র কথা বলতে পারে, সেই প্রসঙ্গে লেখক প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন ।
সুভা কথা বলতে পারে না। পরিবার ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে সে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেয়। বাড়ির দুটি গাভী, বিড়াল, গাছপালা ও নদীর সঙ্গে সে সখ্য গড়ে তোলে। এরাও সুভার মতো ভাষাহীন ।
এই ভাষাহীনদের বাইরে সুভার আরেকজন সঙ্গী আছে। লেখকের মতে সে উন্নত শ্রেণির জীব, সে ভাষাবিশিষ্ট প্রাণী। তার নাম প্রতাপ, গোসাইদের ছোট ছেলে। তার পরিচয় দিতে গিয়েই লেখক প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেছেন ।
প্রশ্ন ৩। 'কিন্তু, বেদনা কি কেহ কখনো ভোলে? - বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : 'কিন্তু, বেদনা কি কেহ কখনো ভুলে'- উক্তিটি দ্বারা বাক্প্রতিবন্ধী সুভার কষ্টের কথা বোঝানো হয়েছে।
সুভা কথা বলতে পারে না। কিন্তু সবকিছু অনুভব করতে পারে, তা কেউ মনে করে না। আর এজন্য তার সামনেই সবাই তার ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করে। এটা অনুভব করেই সুভা সর্বদা নিজেকে সবার দৃষ্টি থেকে দূরে রাখত।
কিন্তু পিতা-মাতার মনে সে সর্বদাই জাগরুক ছিল । সুভার মা সুভাকে নিজের ত্রুটিস্বরূপ দেখতেন যা সুভাকে প্রতিনিয়ত কষ্ট দিত। লেখক প্রশ্নোক্ত উক্তি দ্বারা সুভার এই বেদনার কথাই তুলে ধরেছেন।
প্রশ্ন ৪। বাণীকণ্ঠের কপোলে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল কেন?
উত্তর : বাণীকন্ঠের কপোলে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল সুভার প্রতি ভালোবাসার জন্য ।
ছোট মেয়ে সুভা বড় হয়েছে। তার বিয়ের জন্য পাত্র খোঁজা হচ্ছে। সুভাকে বিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সে তার চিরপরিচিত পরিবেশ ছেড়ে কোথাও যেতে চায় না। বাকহীন সুভা যখন বাণীকন্ঠের দিকে তাকিয়ে কাঁদতে থাকে তখন বাণীকণ্ঠের কপোলে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল ।
প্রশ্ন ৫। ‘প্রকৃতি যেন তাহার ভাষার অভাব পূরণ করিয়ে দেয় । বাক্যটিতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : ‘প্রকৃতি যেন তাহার ভাষার অভাব পূরণ করিয়া দেয়।” বাক্যটিতে প্রকৃতি যেন সুভার হয়ে কথা বলে এমন বোঝানো হয়েছে ।
নদীর কলধ্বনি, কোলাহল, মাঝির গান, পাখির ডাক প্রভৃতি সুভার ভাষার অভাব পূরণ করলেও সুভা তার পরিবারের অন্যদের সঙ্গে কথা বলে তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। এদিক বিবেচনায় সুভাষিণী নামটি সার্থক হয়নি।
প্রশ্ন ৬। 'সে ভাষাবিশিষ্ট জীব'— কার সম্পর্কে, কোন প্রসঙ্গে বলা হয়েছে?
উত্তর : 'সে ভাষাবিশিষ্ট জীব'— কথাটি সুভার সঙ্গী প্রতাপ সম্পর্কে বলা হয়েছে। সুভার গুটিকয়েক সঙ্গীর মধ্যে প্রতাপই একমাত্র কথা বলতে পারে, সেই প্রসঙ্গে লেখক প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন ।
সুভা কথা বলতে পারে না। পরিবার ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে সে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেয়। বাড়ির দুটি গাভী, বিড়াল, গাছপালা ও নদীর সঙ্গে সে সখ্য গড়ে তোলে। এরাও সুভার মতো ভাষাহীন । এই ভাষাহীনদের বাইরে সুভার আরেকজন সঙ্গী আছে।
লেখকের মতে সে উন্নত শ্রেণির জীব, সে ভাষাবিশিষ্ট প্রাণী। তার নাম প্রতাপ, গোসাইদের ছোট ছেলে। তার পরিচয় দিতে গিয়েই লেখক প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেছেন ।
প্রশ্ন ৭। 'কিন্তু, বেদনা কি কেহ কখনো ভোলে? - বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : 'কিন্তু, বেদনা কি কেহ কখনো ভুলে'- উক্তিটি দ্বারা বাক্প্রতিবন্ধী সুভার কষ্টের কথা বোঝানো হয়েছে।
সুভা কথা বলতে পারে না। কিন্তু সবকিছু অনুভব করতে পারে, তা কেউ মনে করে না। আর এজন্য তার সামনেই সবাই তার ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করে। এটা অনুভব করেই সুভা সর্বদা নিজেকে সবার দৃষ্টি থেকে দূরে রাখত।
কিন্তু পিতা-মাতার মনে সে সর্বদাই জাগরুক ছিল । সুভার মা সুভাকে নিজের ত্রুটিস্বরূপ দেখতেন যা সুভাকে প্রতিনিয়ত কষ্ট দিত। লেখক প্রশ্নোক্ত উক্তি দ্বারা সুভার এই বেদনার কথাই তুলে ধরেছেন।
প্রশ্ন ৮। বাণীকণ্ঠের কপোলে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল কেন?
উত্তর : বাণীকন্ঠের কপোলে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল সুভার প্রতি ভালোবাসার জন্য ।
ছোট মেয়ে সুভা বড় হয়েছে। তার বিয়ের জন্য পাত্র খোঁজা হচ্ছে। সুভাকে বিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সে তার চিরপরিচিত পরিবেশ ছেড়ে কোথাও যেতে চায় না। বাকহীন সুভা যখন বাণীকন্ঠের দিকে তাকিয়ে কাঁদতে থাকে তখন বাণীকণ্ঠের কপোলে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল ।
প্রশ্ন ৯। ‘প্রকৃতি যেন তাহার ভাষার অভাব পূরণ করিয়ে দেয় । বাক্যটিতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : ‘প্রকৃতি যেন তাহার ভাষার অভাব পূরণ করিয়া দেয়।” বাক্যটিতে প্রকৃতি যেন সুভার হয়ে কথা বলে এমন বোঝানো হয়েছে ।
সুভার মুখে ভাষা নেই, সে কথা বলতে পারে না। প্রকৃতিই তার হয়ে কথা বলে। নদীর কলধ্বনি, লোকের কোলাহল, মাঝির গান, পাখির ডাক, তরুর মর্মর সবই যেন সুভার কণ্ঠে ভাষা পায়। প্রকৃতি যেন তার ভাষার অভাব পূরণ করে দেয় ।
প্রশ্ন ১০। ‘কালো চোখকে কিছু তর্জমা করতে হয় না' – কথাটি বুঝিয়ে লিখ।
উত্তর : সুভার মনের ভাব তার চোখে ফুটে ওঠে, তাই তার কালো চোখকে তর্জমা করতে হয় না।
আমরা কথার মধ্য দিয়ে যে ভাষা প্রকাশ করি তা আমাদের নিজের চেষ্টায় গড়ে নিতে হয়। ঠিক কোনোকিছু তর্জমা করার মতো, যা সব সময় ঠিক হয় না।
সুভার বড় বড় কালো চোখের যে ভাষা, যে উজ্জ্বলতা তাতে অবর্ণনীয় ভাবের প্রকাশ রয়েছে। যার দিকে তাকালে আর কোনো তর্জমা করার দরকার হয় না। তার চোখ দুটোই কথা বলে ।
সুভার মনের ভাব তার চোখের ওপরে কখনো উজ্জ্বল হয়ে জ্বলে উঠত, আবার কখনো ম্লানভাবে নিভে আসত।
কখনো চঞ্চল বিদ্যুতের মতো, আবার কখনো ডুবে যাওয়া চাঁদের মতো হয়ে তার মনের ভাব প্রকাশ করত। সুভার মুখের ভাষা না থাকলেও দৃষ্টির গভীরতা স্পর্শ করা যায় । তাই সুভার কালো চোখকে তর্জমা করতে হয় না।
প্রশ্ন ১১। অকর্মণ্য লোকেরা কীভাবে নিঃসম্পর্ক মানুষের প্রিয়পাত্র হয়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : জীবনের প্রতি উদাসীন আচরণের জন্য প্রতাপকে অকর্মণ্য লোক বলা হয়েছে।
প্রতাপকে তার বাবা-মা সংসারের দায়দায়িত্ব দিয়ে দায়িত্বশীল করার চেষ্টা করলেও প্রতাপ সংসারের প্রতি উদাসীন। সে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী চলে।
নিজের সংসারের প্রতি উদাসীন হলেও গ্রামের নিঃসম্পর্ক মানুষের সে প্রিয়পাত্র। গ্রামের লোকের কাজকর্ম করে দিতে তার আগ্রহ ও আন্তরিকতার বিন্দু পরিমাণ ঘাটতি নেই।
প্রতাপ অন্যের প্রয়োজন মেটাতে অত্যন্ত উদার ও সচেতন। সেই দিক থেকে সে গ্রামের সবার সরকারি সম্পত্তির মতো। তাই 'সুভা' গল্পে প্রতাপকে উদ্দেশ করে আলোচ্য উক্তিটি করা হয়েছে।
প্রশ্ন ১২। গাঁয়ের লোকেরা বাণীকন্ঠের নিন্দা করতে শুরু করে কেন?
উত্তর : সুভার বিয়ে না দেওয়ায় গাঁয়ের লোকেরা বাণীকন্ঠের নিন্দা করতে শুরু করে ।
সুভা বাণীকণ্ঠের তৃতীয় মেয়ে। সুভা বোবা হওয়ায় তাকে বিয়ে দিতে অসুবিধা হচ্ছিল। অন্যদিকে সুভার বয়স বাড়ছিল, তবু তার বাবা তাকে বিয়ে দিতে পারছিলেন না। এ কারণে সবাই বাণীকণ্ঠকে নিন্দা করতে শুরু করেছিল।
তার ওপরে বাণীকণ্ঠ সচ্ছল ছিলেন, তারা দুবেলা মাছ-ভাত খেতে পারতেন বলে তার শত্রুরও শেষ ছিল না। গ্রামের লোকজন তাদেরকে একঘরে করারও গুঞ্জন তোলে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সুভা গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন | Suva Golper Onudhabon
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সুভা গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন | Suva Golper Onudhabon যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।