'Survival of the fittest' কথাটি বুঝিয়ে লেখো
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো 'Survival of the fittest' কথাটি বুঝিয়ে লেখো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের 'Survival of the fittest' কথাটি বুঝিয়ে লেখো
X - দ্বিসূত্রক বংশগতি বস্তু
Y = বংশগতি নিয়ন্ত্রক
ক. রাইবোজ সুগার কত কার্বন বিশিষ্ট?
খ. 'Survival of the fittest' কথাটি বুঝিয়ে লেখো।
গ. উদ্দীপকের "X" বংশগতীয় বস্তুটির চিত্রসহ বর্ণনা দাও।
ঘ. প্রকট ও প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য প্রকাশে "Y" ফ্যাক্টরের ভূমিকা মেন্ডেলের সূত্রের আলোকে ব্যাখ্যা করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. রাইবোজ সুগার পাঁচ কার্বন বিশিষ্ট।
খ. 'Survival of the fittest' বলতে জীবদেহের যোগ্যতম পরিবেশে টিকে থাকাকে বোঝায়। একটি পরিবেশে কোনো জীবকে টিকে থাকতে হলে, সে পরিবেশের সাথে তাকে অভিযোজিত হতে হবে।
তা না হলে তারা জীবন সংগ্রামে কালক্রমে ধ্বংস হয়ে যাবে। যেমন- মরুভূমিতে অনেক গাছ বেঁচে থাকার তাগিদে বা টিকে থাকার জন্য পানি সংরক্ষণ কৌশল শিখে নিয়েছে এবং এরাই আগামীতে টিকে থাকবে। কারণ তারা এ পরিবেশে টিকে থাকার জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছে।
গ. উদ্দীপকে বংশগতির বস্তু 'X' বলতে DNA-এর কথা বলা হয়েছে, যা ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক এসিড নামে পরিচিত। DNA-এর গঠনে দেখা যায় দুটি পলিনিউক্লিওটাইডের সূত্র পরস্পরের সাথে লোহার সিঁড়ির মতো ডানদিকে প্যাচানো থেকে একটি জোড়া কুণ্ডলী গঠন করে।
এ সিঁড়ির দু'দিকের হাতল নির্মিত হয় ডিঅক্সিরাইবোজ সুগার ও ফসফেটের পর্যায়ক্রমিক সংযুক্তির মাধ্যমে এবং ধাপগুলো দুটি নাইট্রোজেন বেস (A = T, G = C) দিয়ে গঠিত হয়।
একটি নিউক্লিওটাইডের সুগারের ৫ম কার্বন অণুর সাথে ফসফেট যুক্ত থাকলে অপর নিউক্লিওটাইডের সুগার ৩য় কার্বন অণুর সাথে যুক্ত থাকে। সিঁড়ির মতো প্যাচানো সূত্র দুটি একটি = কাল্পনিক মধ্য অক্ষকে ঘিরে থাকে।
সূত্র দুটি পরস্পর সমান্তরালে | বিপরীতমুখী হয়ে অবস্থান করে। বেসগুলো হাইড্রোজেন বন্ড দিয়ে যুক্ত হয়। কাজেই সিঁড়ির বাইরের দিকে থাকে ফসফেট এবং ভেতরের দিকে নাইট্রোজেন বেস । হেলিক্সের ব্যাস সর্বত্র ২০Å । দৈর্ঘ্য বিভিন্ন হতে পারে ।
একটি পূর্ণাঙ্গ প্যাচ প্রতি ৩৪Å দূরত্বে সম্পন্ন হয় । প্যাচটি হয় ডান থেকে বাঁ দিকে। দশ নিউক্লিওটাইড জোড়ের পর একেকটি প্যাচ সম্পন্ন হয়। প্রতি প্যাচে থাকে প্রায় ২৫টি হাইড্রোজেন বন্ড। বেসগুলো পরস্পর থেকে ৩.৪Å দূরত্বে অবস্থিত।
ঘ. উদ্দীপকে 'Y' দ্বারা যে বংশগতি নিয়ন্ত্রক বোঝানো হয়েছে তা হলো জিন । মেন্ডেল বংশগতির ধারক ও বাহকরূপে যে ফ্যাক্টরের কথা উল্লেখ করেছিলেন সেটি আজ ‘জিন' রূপে পরিচিত হয়েছে। জীবের সব অদৃশ্য
দৃশ্যমান লক্ষণ বা বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণকারী এককের নাম জিন। মাতাপিতা থেকে প্রথম বংশধরে জীবের যে বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায় তাকে প্রকট বৈশিষ্ট্য বলে এবং এই প্রকট বৈশিষ্ট্য প্রকাশের জন্য দায়ী জিনকে প্রকট জিন বলে ।
আর যে বৈশিষ্ট্য প্রথম বংশধরে প্রকাশ পায় না তবে দ্বিতীয় বংশধরে এক চতুর্থাংশ জীবে প্রকাশ পায় তাকে প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য বলে এবং এই বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী জিনকে প্রচ্ছন্ন জিন বলে। মেন্ডেল একটি লম্বা ও একটি খাটো মটর গাছের মধ্যে ক্রস ঘটিয়ে দেখেন পরবর্তী বংশধরে সব গাছই লম্বা।
অর্থাৎ এখানে প্রকট বৈশিষ্ট্য লম্বা এবং এটি একটি জিনের প্রভাবে ঘটে যা লম্বা হওয়ার জন্য দায়ী উৎপন্ন গাছের মধ্যে আবার ক্রস করে তিনি লক্ষ করলেন দ্বিতীয় বংশধরে উৎপন্ন গাছের মধ্যে তিন ভাগই লম্বা এবং এক ভাগ খাটো।
অর্থাৎ এখানে খাটো হলো প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য এবং প্রচ্ছন্ন জিনের প্রভাবে খাটো বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ঘটে। এ থেকে বোঝা যায় যে, প্রকট প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য প্রকাশে জিন ভূমিকা পালন করে ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ 'Survival of the fittest' কথাটি বুঝিয়ে লেখো
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম 'Survival of the fittest' কথাটি বুঝিয়ে লেখো যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।