স্থায়ী টিস্যু কাকে বলে
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো স্থায়ী টিস্যু কাকে বলে জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের স্থায়ী টিস্যু কাকে বলে
জীববিজ্ঞানের ব্যবহারিক ক্লাসে শিক্ষক শিরিনকে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে পেঁয়াজের কোষ ও মহিমাকে একটি অ্যামিবা পর্যবেক্ষণ করতে বললেন।
ক. নিঃস্রাবী টিস্যু কী?
খ. স্থায়ী টিস্যু কাকে বলে?
গ. শিরিন কীভাবে কোষটি পর্যবেক্ষণ করলো?
ঘ. ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে উক্ত কোষদ্বয়ের মধ্যে কী ধরনের বৈসাদৃশ্য তুমি খুঁজে পাবে তা ব্যাখ্যা করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. যে সকল টিস্যু থেকে নানা প্রকার তরল পদার্থ নিঃসৃত হয় তাই হলো নিঃস্রাবী টিস্যু।
খ. যে টিস্যু বিভাজনে অক্ষম তাই হলো স্থায়ী টিস্যু। স্থায়ী টিস্যু তিন প্রকার যথা— সরল টিস্যু, জটিল টিস্যু ও নিঃস্রাবী অথবা ক্ষরণকারী টিস্যু।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত শিরিন অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে পেঁয়াজের কোষ পর্যবেক্ষণ করল। প্রথমে সে পেঁয়াজ থেকে শুকনো খোসাগুলো ছাড়িয়ে নিল।
এবার যেকোনো একটি স্ফীত, রসালো শল্কপত্র নিল। ব্লেড দিয়ে শল্কপত্রের উপরিভাগ থেকে সামান্য ত্বস্তর তুলে নিয়ে ওয়াচ গ্লাসে রক্ষিত পানিতে রাখল।
তুলির সাহায্যে ওয়াচ গ্লাসের পানি থেকে ত্বস্তর তুলে নিয়ে একটি পরিষ্কার স্লাইডের উপর রাখল। এবার ত্বকস্তরের উপর এক ফোঁটা গ্লিসারিন দিয়ে তার উপর ধীরে ধীরে কভার স্লিপ রাখলো। এরপর যৌগিক অণুবীক্ষণ যন্ত্রের অভিলক্ষ দিয়ে দেখল।
ঘ. অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখলে আমি পেঁয়াজের কোষ ও অ্যামিবা কোষের মধ্যে যে বৈসাদৃশ্য দেখতে পাবো তা হলো—
পেঁয়াজের কোষগুলো আয়তাকার। অন্যদিকে অ্যামিবা বহুক্ষণপদযুক্ত অনিয়তাকার। পেঁয়াজের কোষগুলো কোষপ্রাচীরযুক্ত। কিন্তু অ্যামিবা কোষপ্রাচীরবিহীন।
তবে অ্যামিবার কোষকে বেষ্টন করে প্লাজমালেমা নামক একটি পর্দা আছে। পেঁয়াজের কোষে প্লাস্টিড আছে। অপরদিকে অ্যামিবাতে এ ধরনের কোন অঙ্গাণু নেই। পেঁয়াজের কোষে বৃহৎ কোষ গহ্বর বিদ্যমান । অপরপক্ষে অ্যামিবাতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গহ্বর আছে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ স্থায়ী টিস্যু কাকে বলে
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম স্থায়ী টিস্যু কাকে বলে যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।