সম্পূরক আমিষ বলতে কি বুঝায়
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সম্পূরক আমিষ বলতে কি বুঝায় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সম্পূরক আমিষ বলতে কি বুঝায়
পলাশের বয়স আট বছর। বয়স অনুসারে তার শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটেনি। ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার সাহেব তাকে দেখে বললেন যদিও খাদ্যবস্তু পাকস্থলিতে এসে জীবাণুমুক্ত হয়ে পরিপাক হয় কিন্তু রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত খাবার গ্রহণের ফলে পলাশের এমনটি হচ্ছে। সকলেই এ ব্যাপারে সচেতন না হলে ভবিষ্যত প্রজন্ম হুমকির সম্মুখীন হবে ।
ক. BMR কী?
খ. সম্পূরক আমিষ বলতে কী বোঝায়?
গ. উল্লিখিত অঙ্গটিতে এনজাইমের ক্রিয়া ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ডাক্তার সাহেবের শেষোক্ত উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. পূর্ণ বিশ্রামরত অবস্থায় মানব শরীরে ব্যবহৃত শক্তির পরিমাণ নির্দেশকই হলো BMR
খ. বিভিন্ন আমিষের সংমিশ্রনে তৈরি মিশ্র আমিষই হলো সম্পূরক আমিষ। গবেষণায় দেখা গেছে দুই বা ততোধিক উদ্ভিজ্জ আমিষ একত্রে রান্না করে যে মিশ্র বা সম্পূরক আমিষ তৈরি করা হয় তাতে খাদ্যমান বাড়ে এবং সেখানে প্রায় আট রকম অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড পাওয়া যায়। সুস্বাস্থ্যের জন্য সম্পূরক আমিষ অত্যাবশ্যক।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত অঙ্গটি হলো পাকস্থলি। পাকস্থলিতে বিভিন্ন ধরনের এনজাইম রয়েছে, যা খাদ্য পরিপাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিচে উক্ত এনজাইমের ক্রিয়া ব্যাখ্যা করা হলো-
খাদ্য গ্রহণের পর মুখগহ্বর থেকে খাদ্যদ্রব্য পাকস্থলিতে প্রবেশ করে। পাকস্থলিতে খাদ্য আসার পর এর অন্তঃপ্রাচীরের গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থি থেকে গ্যাস্ট্রিক রস ক্ষরিত হয়।
গ্যাস্ট্রিক রসে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড এবং পেপসিন নামক এনজাইম থাকে। হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড খাদ্যের অনিষ্টকারী জীবাণুকে মেরে ফেলে এবং নিষ্ক্রিয় পেপসিনোজেনকে সক্রিয় পেপসিনে পরিণত করে। পেপসিন আমিষ পরিপাকে সাহায্য করে।
এ এনজাইম আমিষকে ভেঙ্গে পেপটাইডে পরিণত করে। এছাড়া পাকস্থলিতে উপস্থিত রেনিন নামক এনজাইম দুধের ক্যাসেইনকে প্যারাক্যাসেইনে পরিণত করে।
ঘ. ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে হুমকির সম্মুখীন হতে বাঁচাতে হলে আমাদের সকলকেই নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করতে হবে এবং খাদ্য গ্রহণে সকলকে সচেতন হতে হবে। ডাক্তার সাহেবের শেষোক্ত উক্তিটিতে এমনই ইঙ্গিত রয়েছে এবং এ উক্তিটির যথার্থতাও রয়েছে।
বর্তমানে বাজারে অনৈতিকভাবে খাদ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য যেমন- ফরমালিন, বাণিজ্যিক রং, কীটনাশক ইত্যাদি মিশানো হয়।
এগুলো আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর বিশেষ করে শিশুদের জন্য। এসব খাদ্যের বিষক্রিয়া ধীরে ধীরে যকৃত, বৃক্ক, হূৎপিণ্ড ইত্যাদির কার্যকারিতা নষ্ট করে বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে।
এছাড়া ভেজাল খাবার শিশুদের বাড়ন্ত কোষে বিরূপ প্রভাব ফেলে, তাতে একদিকে যেমন শিশুর মানসিক বিকাশ ব্যাহত হয় অপরদিকে সে নানা অসুস্থতায় ভোগে। বিষাক্ত রাসায়নিকযুক্ত ভেজাল খাদ্যের প্রভাবে ক্যান্সারও হয়ে থাকে।
সুতরাং, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে হুমকির হাত থেকে বাঁচাতে হলে সকলকে সচেতন হতে হবে এবং বিষাক্ত রাসায়নিকযুক্ত ভেজাল খাবারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সম্পূরক আমিষ বলতে কি বুঝায়
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সম্পূরক আমিষ বলতে কি বুঝায় যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।