শ্বেত রক্তকণিকাকে দেহের প্রহরী বলা হয় কেন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো শ্বেত রক্তকণিকাকে দেহের প্রহরী বলা হয় কেন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের শ্বেত রক্তকণিকাকে দেহের প্রহরী বলা হয় কেন
উদ্ভিদ একটি বিশেষ প্রক্রিয়ায় মূলের মাধ্যমে মাটি থেকে পানি সংগ্রহ করে যা অতিরিক্ত হলে অন্য একটি প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরির প্রধান অঙ্গের মাধ্যমে বের হয়ে যায়।
ক. অভিস্রবণ কী?
খ. শ্বেত রক্তকণিকাকে দেহের প্রহরী বলা হয় কেন?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রথম প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত দ্বিতীয় প্রক্রিয়াটির গুরুত্ব বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. দুটি ভিন্ন ঘনত্বের দ্রবণ একটি বৈষম্যভেদ্য ঝিল্লি দ্বারা পাশাপাশি পৃথক থাকলে দ্রাবক পদার্থ যে প্রক্রিয়ায় তার নিম্ন ঘনত্বের দ্রবণ থেকে উচ্চ ঘনত্বের দ্রবণের দিকে ব্যাপিত হয় সেই প্রক্রিয়াই হলো অভিস্রবণ।
খ. রক্তের শ্বেত কণিকাকে দেহের প্রহরী বলা হয়। কারণ, এ রক্তকণিকা প্রহরীর মতো দেহকে বিভিন্ন রোগজীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে ।
ক্ষণপদ সৃষ্টির মাধ্যমে শ্বেতকণিকা রোগজীবাণুকে ভক্ষণ করে এবং রোগের হাত থেকে দেহকে রক্ষা করে। শুধু তাই নয় অ্যান্টিবডি তৈরির মাধ্যমেও শ্বেতকণিকা দেহকে বিভিন্ন ধরনের রোগের হাত থেকে রক্ষা করে থাকে।
গ. উদ্দীপকের প্রথম প্রক্রিয়াটি হলো উদ্ভিদের পানি পরিবহন প্রক্রিয়া। নিচে প্রক্রিয়াটির ব্যাখ্যা দেয়া হলো-
আমরা জানি, জাইলেম ভেসেলের মাধ্যমে পানি উদ্ভিদের পাতায় পৌঁছায়। মূলত মূলরোম দিয়ে পানি শোষিত হয়ে অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় কর্টেক্সের মধ্য দিয়ে জাইলেমের ভেসেলে পৌঁছায় এবং সেখান থেকে ধীরে ধীরে পাতায় গিয়ে পৌঁছে। মূলরোম হতে পাতায় পানির এই পরিবহনকে দুভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১. মাটিস্থ পানি মূলরোম থেকে মূলের পরিবহন কলায় পৌঁছানো ও
২. মূলের পরিবহন কলা থেকে পাতায় পরিবহন।
প্রথম ধাপে অভিস্রবণ, ব্যাপন ও প্রস্বেদন টান ইত্যাদি পানি পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মূলরোম দ্বারা শোষিত পানি অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় মূলরোম থেকে পাশের কোষে গমন করে। ঐ কোষ থেকে তা পুনরায় পাশের কোষে যায় ।
এভাবে কোষ থেকে কোষে পানি চলতে চলতে একসময় মূলের পরিবহন টিস্যু হয়ে এবং কাণ্ডের পরিবহন কলা বেয়ে পাতার মেসোফিল কলায় পৌছায়। এভাবে উদ্ভিদে পানি পরিবহন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়।
ঘ. উদ্দীপকের দ্বিতীয় প্রক্রিয়াটি হলো প্রস্বেদন। এ প্রক্রিয়ার উপরে সজীব উদ্ভিদ কোষের বিপাকীয় কার্যক্রম অনেকাংশে নির্ভরশীল। নিচে প্রক্রিয়াটির গুরুত্ব বিশ্লেষণ করা হলো—
প্রস্বেদন প্রক্রিয়ার কারণে উদ্ভিদের জাইলেম বাহিকায় টান পরে। ফলে উদ্ভিদের মূলরোম মাটি থেকে পানি ও খনিজ লবণ শোষণ করে উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশে পৌঁছায়। এই পানি উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও কোষের বিভিন্ন ক্রিয়া-বিক্রিয়ার জন্যও এই পানি সক্রিয় ভূমিকা রাখে। প্রস্বেদন পাতাকে অত্যধিক গরম হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং উপযুক্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
এছাড়াও এই প্রক্রিয়া উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশে পরোক্ষভাবে খাদ্য পরিবহন করে। এসব উপকারি ভূমিকার পাশাপাশি প্রস্বেদন প্রক্রিয়া কিছু অপকারী ভূমিকাও পালন করে।
মূল হতে পানি শোষণের চেয়ে প্রস্বেদনের হার বেশি হলে উদ্ভিদদেহে পানি ও খনিজ লবণের ঘাটতি দেখা দেয়।
এর ফলে উদ্ভিদ ঢলে পড়ে এবং অনেক সময় মারাও যায়। শীতকালে মাটিতে পানির পরিমাণ কমে গেলে প্রস্বেদেনের হার একই থাকলে প্রকৃতি তখন গাছের পাতাকে ঝরিয়ে দেয়। এছাড়াও প্রস্বেদন প্রক্রিয়ার কারণে উদ্ভিদকে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত পানি শোষণ করতে হয়।
প্রস্বেদন প্রক্রিয়া যেহেতু উপকারের পাশাপাশি উদ্ভিদের ক্ষতি করে, তাই এই প্রক্রিয়াকে উদ্ভিদের অতি প্রয়োজনীয় ক্ষতি নামেও অভিহিত করা হয়। তাই বলা যায় উদ্ভিদ জীবনে উদ্দীপকের এই প্রক্রিয়াটির গুরুত্ব অনেক।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ শ্বেত রক্তকণিকাকে দেহের প্রহরী বলা হয় কেন
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম শ্বেত রক্তকণিকাকে দেহের প্রহরী বলা হয় কেন যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।