শ্বেত রক্তকণিকাকে দেহের প্রহরী বলা হয় কেন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো শ্বেত রক্তকণিকাকে দেহের প্রহরী বলা হয় কেন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের শ্বেত রক্তকণিকাকে দেহের প্রহরী বলা হয় কেন
পানি ও খনিজ লবণ নিয়ন্ত্রণকারী অঙ্গ- X
ক. অসমোরেগুলেশন কী?
খ. “শ্বেত রক্তকণিকাকে দেহের প্রহরী বলা হয় কেন”- ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে 'X' অঙ্গের ক্ষুদ্রতম এককের মালপিজিয়ান অঙ্গের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের 'X' অঙ্গে পাথর হয় কেন? এ থেকে পরিত্রাণের উপায় বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. দেহাভ্যন্তরে রক্ত থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করার মাধ্যমে দেহের পানির সমতা রক্ষা করার বিশেষ পদ্ধতি হলো অসমোরেগুলেশন ।
খ. শ্বেত রক্তকণিকাকে দেহের প্রহরী বলা হয়। কারণ, শ্বেত রক্তকণিকা ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় রোগজীবাণু ধ্বংস করে এবং অ্যান্টিবডি তৈরি করে। এটি দেহকে রোগজীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে বলে শ্বেত রক্তকণিকাকে দেহের প্রহরী বলা হয়।
গ. উদ্দীপকের 'X' অঙ্গ হলো মানব কিডনি বা বৃদ্ধ। বৃক্কের ক্ষুদ্রতম একক হলো "নেফ্রন। প্রতিটি নেফ্রন একটি রেনাল করপাসল বা কে মালপিজয়ান অঙ্গ এবং রেনাল টিউব্যুল নিয়ে গঠিত। নিচে মালপিজিয়ান অঙ্গের ভূমিকা ব্যাখ্যা করা হলো-
চেন প্রতিটি রেনাল করপাসল বা মালপিজিয়ান অঙ্গ গ্লোমেরুলাস এবং বোম্যান্স ক্যাপসুল এ দুটি অংশে বিভক্ত। বোম্যান্স ক্যাপসুল গ্লোমেরুলাসকে বেষ্টন করে থাকে। বোম্যান্স ক্যাপসুল দুই স্তরবিশিষ্ট পেয়ালার মতো প্রসারিত একটি অংশ।
গ্লোমেরুলাস একগুচ্ছ কৈশিক জালিকা দিয়ে তৈরি। গ্লোমেরুলাস ছাঁকনির মতো কাজ করে রক্ত থেকে পরিষত তরল উৎপন্ন করে। এই তরলকে আল্ট্রাফিলট্রেট বলে। সেই আলট্রাফিলট্রেট রেনাল টিউব্যুলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় আরো কয়েক দফা শোষণ এবং নিঃসরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সবশেষে মূত্র তৈরি করে।
মূত্র সংগ্রাহী নালিকার মধ্য দিয়ে ইউরেটার হয়ে মূত্রথলিতে জমা হতে থাকে। এভাবেই মালপিজিয়ান অঙ্গ মূত্র তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ঘ. উদ্দীপকের 'X' অঙ্গটি হলো বৃক্ক বা কিডনি ।
মানুষের কিডনিতে ছোট আকারের পাথর জাতীয় পদার্থের সৃষ্টিই বৃদ্ধ বা কিডনি পাথর হিসেবে পরিচিত। কিডনিতে পাথর সবারই হতে পারে, তবে মেয়েদের থেকে পুরুষের পাথর হওয়ার আশঙ্কা বেশি। বিভিন্ন কারণে কিডনিতে পাথর হতে পারে।
যেমন- অতিরিক্ত শারীরিক ওজন, কিডনি সংক্রমণ, কম পানি পান করা ইত্যাদি। বৃক্কে পাথর থেকে পরিত্রাণের উপায় হলো— অধিক পানি পান করা, সুষম খাবার গ্রহণ, সৃঠিক নিয়ম মেনে জীবনযাপন করা ইত্যাদি।
এছাড়া ঔষধ সেবন করে বৃক্কের পাথর অপসারণ করা যায়। আধুনিক পদ্ধতিতে ইউরেটারোস্কোপিক কিংবা আলট্রাসনিক লিথট্রিপসি অথবা অস্ত্রোপচার করে পাথর অপসারণ করা যায়।
সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে, মানুষের খাদ্যাভ্যাস বা বিভিন্ন কারণে সৃষ্ট পাথর সঠিক সময়ে চিকিৎসার মাধ্যমে অপসারণ করা যায়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ শ্বেত রক্তকণিকাকে দেহের প্রহরী বলা হয় কেন
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম শ্বেত রক্তকণিকাকে দেহের প্রহরী বলা হয় কেন যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।