সালোকসংশ্লেষণ একটি জারণ বিজারণ বিক্রিয়া কাকে বলে
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো কাকে বলে জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সালোকসংশ্লেষণ একটি জারণ বিজারণ বিক্রিয়া কাকে বলে
সালোকসংশ্লেষণ একটি জারণ বিজারণ বিক্রিয়া কাকে বলে
ক. অবাত শ্বসন কাকে বলে?
খ. সালোকসংশ্লেষণ একটি জারণ বিজারণ বিক্রিয়া কাকে বলে?
গ. চিত্রের প্রক্রিয়ার প্রভাবক হিসেবে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও তাপমাত্রার ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. চিত্র-P এ সংগঠিত শারীরতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াটির হার বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদে কম-বেশি হয় কেন ব্যাখ্যা করো ।
প্রশ্নের উত্তর
ক. যে শ্বসন প্রক্রিয়া অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে হয় তাকে অবাত শ্বসন বলে।।
খ. সালোকসংশ্লেষণ যা একটি জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ায় শর্করা উৎপাদনের সময় জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া ঘটে।
পানি জারিত হয়ে অক্সিজেন উৎপন্ন করে এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড বিজারিত হয়ে গ্লুকোজ উৎপন্ন করে। এ কারণে সালোকসংশ্লেষণকে জারণ- বিজারণ বিক্রিয়া বলে।
গ. চিত্রের প্রক্রিয়াটি হলো সালোকসংশ্লেষণ। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার প্রভাবক হিসেবে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও তাপমাত্রার ভূমিকা রয়েছে। কার্বন ডাইঅক্সাইড ছাড়া সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া চলতে পারে না।
এ প্রক্রিয়ায় যে খাদ্য প্রস্তুত হয় তা কার্বন ডাইঅক্সাইড বিজারণের ফলেই হয়ে থাকে। বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ 0.03 ভাগ, কিন্তু এ প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ শতকরা এক ভাগ পর্যন্ত কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করতে পারে।
তাই বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সামঞ্জস্য রেখে সালোকসংশ্লেষণের পরিমাণও বেড়ে যায়। তবে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ খুব বেশি মাত্রায় বেড়ে গেলে পাতার মেসোফিল টিস্যুর কোষের অম্লত্বও বেড়ে যায় এবং পত্ররন্ধ্র বন্ধ হয়ে সালোকসংশ্লেষণের হার কমে যায় ।
সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় তাপমাত্রা বিশেষ প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। সাধারণত অতি নিম্ন তাপমাত্রা (0° সেলসিয়াসের উপরে ) এ প্রক্রিয়া চলতে পারে না।
সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার জন্য পরিমিত তাপমাত্রা হলো ২২° সেলসিয়াস থেকে ৩৫° সেলসিয়াস পর্যন্ত। তাপমাত্রা 22° সেলসিয়াসের কম বা 35° সেলসিয়াসের বেশি হলে সালোকসংশ্লেষণের হার কমে যায়।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত চিত্র-P সংঘটিত হওয়া শারীরতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াটি হলো সালোকসংশ্লেষণ। বিভিন্ন উদ্ভিদভেদে এই প্রক্রিয়াটির হার কম বা বেশি হয় । নিচে তা তুলে ধরা হলো—
i. পাতার বয়সের উপরে সালোকসংশ্লেষণের হার নির্ভর করে। একেবারে কচি বা বয়স্ক পাতায় সালোকসংশ্লেষণ কম হলেও মধ্যবয়সী পাতায় এর হার বেশি হয়। কেননা, মধ্যবয়সী পাতায় ক্লোরোপ্লাস্টের সংখ্যা বেশি থাকে।
ii. পাতার সংখ্যা বেশি হলে সালোকসংশ্লেষণের হারও বেশি হয়।
iii. শর্করার পরিমাণের উপর ভিত্তি করে সালোকসংশ্লেষণের হার বাড়ে বা কমে।
iv. এ প্রক্রিয়া অনুঘটক হিসেবে ব্যবহৃত পটাসিয়ামের উপস্থিতির পরিমাণের উপর নির্ভর করে।
v. সালোকসংশ্লেষণের জন্য প্রচুর সংখ্যক এনজাইমের দরকার পড়ে ।
vi. আবার, সালোকসংশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন, ম্যাগনেশিয়াম, লোহার উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি এর হার বাড়ে বা কমে।
উপরের এসব কারণেই বিভিন্ন উদ্ভিদে সালোকসংশ্লেষণের হার কম বা বেশি হয় ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সালোকসংশ্লেষণ একটি জারণ বিজারণ বিক্রিয়া
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সালোকসংশ্লেষণ একটি জারণ বিজারণ বিক্রিয়া যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।