সালোক বিভাজন কি

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সালোক বিভাজন কি জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সালোক বিভাজন কি

সালোক বিভাজন কি


ক. শক্তির মূল উৎস কী?

খ. সালোক বিভাজন কি বর্ণনা করো।

গ. উল্লিখিত প্রক্রিয়ায় কীভাবে ATP ও NADPH, তৈরি হয়? ব্যাখ্যা করো।

ঘ. উদ্দীপকের প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন প্রভাবক দ্বারা প্রভাবিত হয়—বিশ্লেষণ করো।

প্রশ্নের উত্তর

. শক্তির মূল উৎস হলো সূর্য।

. সালোকসংশ্লেষণের আলোক পর্যায়ে সূর্যালোক ও ক্লোরোফিলের সহায়তায় পানি বিয়োজিত হয়ে অক্সিজেন, হাইড্রোজেন ও ইলেকট্রন উৎপন্ন হয়। এ প্রক্রিয়াকেই বলা হয় ফটোলাইসিস বা সালোক বিভাজন ।

সালোকসংশ্লেষণের অচক্রীয় ফটোফসফোরাইলেশনে ফটোলাইসিস ঘটে। সালোকসংশ্লেষণে নির্গত অক্সিজেন ফটোলাইসিস এর মাধ্যমে তৈরি হয়ে থাকে।

                                                H2O-- ফটোলাইসিস--H + O2 + e

. উদ্দীপকে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়াকে দেখানো হয়েছে। সালোকসংশ্লেষণের আলোক পর্যায়ে ATP ও NADPH2 তৈরি হয়। এই ATP ও NADPH2-কে বলা হয় আত্মীকরণ শক্তি।

সালোকসংশ্লেষণের আলোক পর্যায়ে ক্লোরোফিল অণু আলোকরশ্মির ফোটন শোষণ করে এবং শোষণকৃত ফোটন হতে শক্তি সঞ্চয় করে ADP-এর সাথে অজৈব ফসফেট (Pi) মিলিত হয়ে ATP তৈরি করে। ATP তৈরির এ প্রক্রিয়াকে বলা হয় ফটোফসফোরাইলেশন।

আবার, সূর্যালোক ও ক্লোরোফিলের সহায়তায় পানি বিয়োজিত হয়ে হাইড্রোজেন (H'), ইলেকট্রন (e) এবং অক্সিজেন উৎপন্ন হয়। ইলেকট্রন NADP-কে বিজারিত করে NADPH, উৎপন্ন করে। এভাবে সালোকসংশ্লেষণের আলোক পর্যায়ে আত্মীকরণ শক্তি | ATP ও NADPH, উৎপন্ন হয়।

. উদ্দীপকের সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন প্রভাবক, যেমন- সূর্যালোক, তাপ, কার্বন ডাইঅক্সাইড, পানি, অক্সিজেন ইত্যাদি দ্বারা প্রভাবিত হয় ।

সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় আলোর গুরুত্ব অপরিসীম। পানি ও CO2 থেকে শর্করা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির উৎস সূর্যের আলো। | সূর্যালোক ক্লোরোফিল সৃষ্টিতে অংশগ্রহণ করে।

কার্বন ডাইঅক্সাইড ছাড়া সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া চলতে পারে না। কারণ এ প্রক্রিয়ায় যে খাদ্য প্রস্তুত হয় তা কার্বন ডাইঅক্সাইড বিজারণের | ফলেই হয়ে থাকে। বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ ০.০৩ ভাগ, কিন্তু এ প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ শতকরা এক ভাগ পর্যন্ত কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করতে পারে। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার তাপমাত্রা বিশেষ প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।।

সাধারণত অতি নিম্ন তাপমাত্রা (০° সে. এর কাছাকাছি) এবং উচ্চ তাপমাত্রায় (৪৫° সে. এর উপরে) এ প্রক্রিয়া চলতে পারে না। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার জন্য পরিমিত তাপমাত্রা হলো ২২° সে. থেকে ৩৫° সে. পর্যন্ত। তাপমাত্রা ২২° সে. এর কম বা ৩৫° সে. এর বেশি হলে সালোকসংশ্লেষণের হার কমে যায়। 

সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় শর্করা তৈরির উদ্দেশ্যে CO2 কে বিজারণের জন্য প্রয়োজনীয় H' (হাইড্রোজেন আয়ন) পানি থেকেই আসে।

পানির ঘাটতি হলে পত্ররন্ধ্রের রক্ষীকোষেও স্ফীতি হারিয়ে রা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বাতাস থেকে CO2 অনুপ্রবেশ বাধাগ্রস্ত হয়।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ সালোক বিভাজন কি

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সালোক বিভাজন কি যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ