রক্তশূন্যতা কেন হয়
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো রক্তশূন্যতা কেন হয় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের রক্তশূন্যতা কেন হয়
ক. হিমোগ্লোবিন কী?
খ. রক্তশূন্যতা কেন হয়?
গ. উদ্দীপকের A অংশের কার্যকারিতা ব্যাখ্যা করো ।
ঘ. B ও C মানবদেহে বিপাকীয় কাজে ভূমিকা রাখে— বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. হিমোগ্লোবিন হলো লোহিত রক্তকণিকায় অবস্থিত এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ ।
খ. বয়স ও লিঙ্গভেদে রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘনত্ব স্বাভাবিকের তুলনায় কমে গেলে, খাদ্যের মুখ্য উৎপাদন ভিটামিন বি-১২ এর অভাব দেখা দিলে রক্তশূন্যতা হয়। বাংলাদেশে সাধারণত লৌহঘটিত আমিষের অভাবে এ রোগ হয় ।
গ. উদ্দীপকের চিত্রে A চিহ্নিত অংশটি হলো যকৃত। যকৃত যকৃতরস ও পিত্তরস তৈরি করে। এই পিত্তরস পিত্তথলিতে জমা থাকে এবং প্রয়োজনে ডিওডেনামে এসে পরোক্ষভাবে পরিপাকে অংশ নেয়।
পিত্তরস খাদ্যের অম্লভাব প্রশমিত করে এবং ক্ষারীয় পরিবেশ সৃষ্টি করে। এই পরিবেশ খাদ্য পরিপাকের অনুকূল। পিত্তরস চর্বিজাতীয় খাদ্যকে ক্ষুদ্র দানায় পরিণত করে
যা লাইপেজ সহযোগে পরিপাকে সহায়তা করে। অতিরিক্ত অ্যামাইনো এসিড যকৃতে আসার পর বিভিন্ন রাসায়নিক ক্রিয়ার মাধ্যমে ইউরিয়া, ইউরিক এসিড ও অ্যামোনিয়ারূপে নাইট্রোজেনঘটিত বর্জ্য পদার্থ তৈরি করে এবং স্নেহজাতীয় পদার্থ শোষণে সাহায্য করে।
এছাড়া যকৃত রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে থাকে এবং গ্লাইকোজেন হিসেবে খাদ্যবস্তু সজ্জিত করে রাখে। যকৃতে জমা হওয়ার পর তা পেশিরসে জমা হয় এবং তা ভেঙ্গে গ্লুকোজে পরিণত হয়ে কোষে শ্বসনে অংশগ্রহণ করে থাকে ।
ঘ. উদ্দীপকের চিত্রে B ও C হলো যথাক্রমে পিত্তথলি ও অগ্ন্যাশয়। পিত্তথলি ও অগ্ন্যাশয় মানবদেহে বিপাকীয় কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে । পিত্তথলিতে পিত্তরস জমা থাকে। পিত্তরস খাদ্যকে ক্ষারীয় করে পরিপাকের উপযোগী করে তোলে।
পিত্তলবণ স্নেহ পদার্থের ক্ষুদ্র কণাগুলোকে পানির সাথে মিশতে সাহায্য করে। পিত্তলবণ পিত্তরসের অন্যতম উপাদান। লাইপেজের কাজ যথাযথ সম্পাদনের জন্য পিত্তলবণের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এ লবণের সংস্পর্শে স্নেহ পদার্থ সাবানের ফেনার মতো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দানায় পরিণত হয়।
আবার অগ্ন্যাশয় রসে অ্যামাইলেজ, লাইপেজ ও ট্রিপসিন নামক এনজাইম থাকে। অ্যামাইলেজ শ্বেতসারকে সরল শর্করায় পরিণত করে।
ট্রিপসিন পাকস্থলি থেকে আগত আংশিক পরিপাককৃত আমিষকে (প্রোটিওজ ও পেপটোন) ভেঙে পলিপেপটাইড, ডাই-পেপটাইড ও সরল পেপটাইডে (অ্যামাইনো এসিডে পরিণত করে।
অন্যদিকে সাবানের ফেনার মতো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্নেহ দানাকে ভেঙে ফ্যাটি এসিড ও গ্লিসারলে পরিণত করতে লাইপেজ বিশেষ ভূমিকা রাখে। এভাবে পিত্তথলি ও অগ্ন্যাশয় বিপাকীয় কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ রক্তশূন্যতা কেন হয়
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম রক্তশূন্যতা কেন হয় যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।