rh ফ্যাক্টর বলতে কি বুঝায়
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো rh ফ্যাক্টর বলতে কি বুঝায় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের rh ফ্যাক্টর বলতে কি বুঝায়
মাহফুজের রক্তে শ্বেত কণিকার পরিমাণ বেড়ে গেছে। হঠাৎ হাতে আঘাত পাওয়াতে সে লক্ষ করল, তার কাটা স্থানের রক্ত খুব সহজে জমাট বাঁধছে না।
ক. রক্তরস কী?
খ. Rh ফ্যাক্টর বলতে কী বোঝ?
গ. মাহফুজের রক্তে উক্ত কণিকার বৃদ্ধি কীরূপ রোগের সৃষ্টি করবে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. তার কাটা স্থানের ঐ অবস্থার সাথে একটি রক্ত কোষ জড়িত- যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. রক্তের বর্ণহীন তরল অংশই হলো রক্তরস ।
খ. বিজ্ঞানীরা মানুষের রক্তের লোহিত কণিকার এক ধরনের বিশেষ অ্যান্টিজেন আবিষ্কার করেন যা রেসাস বানর এবং অধিকাংশ মানুষের রক্তের লোহিত কণিকায় পাওয়া যায়।
এজন্য একে রেসাস ফ্যাক্টর বা Rh ফ্যাক্টর বলে। মানুষের ক্ষেত্রে যাদের লোহিত কণিকার Rh ফ্যাক্টর বিদ্যমান, তাদেরকে Rh positive (Rh) এবং যাদের Rh ফ্যাক্টর অনুপস্থিত তাদের Rh negative (Rh) বলে।
Rh+ ও Rh- রক্তের মিশ্রণ ঘটলে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হয় এমনকি রক্ত গ্রহীতা বা গর্ভের সন্তান মারাও যেতে পারে।
গ. মাহফুজের রক্তে শ্বেত কণিকার পরিমাণ বেড়ে গেছে। রক্তকোষের ক্যান্সার বা লিউকেমিয়া হলে শ্বেত কণিকার সংখ্যা বেড়ে যায়। লিউকেমিয়া হলে দেহের অস্থিমজ্জা থেকে অস্বাভাবিক মাত্রায় শ্বেতকণিকা সৃষ্টি হয়।
ফলে নিম্নলিখিত বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়-
-হৃদযন্ত্রের সমস্যা
-শ্বাসগ্রহণে কষ্ট বা বুকে ব্যথা
-নাক থেকে রক্ত পড়া
-চামড়ায় ঘা তৈরি
-হাত ও পায়ের জোড়ায় ব্যথা ও ফুলে উঠা
-হাত বা পা কাঁপতে থাকা
অনেক সময় এ রোগ দ্রুত বৃদ্ধির ফলে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়, বিশেষ করে অল্পবয়সী ছেলে-মেয়েরা বেশি আক্রান্ত হয় ।
ঘ. মাহফুজের কাটা স্থানের রক্ত খুব সহজে জমাট বাঁধছে না। রক্ত সহজে জমাট বাঁধা না বাঁধার সাথে রক্তের একটি বিশেষ কণিকা জড়িত তা হলো অণুচক্রিকা। অণুচক্রিকার কাজই হলো কোনো রক্তবাহী নালি ক্ষতিগ্রস্থ হলে দ্রুত রক্তকে জমাট বাঁধানো।
দেহের কোনো জায়গায় কেটে গিয়ে বা অন্য কোনো কারণে রক্তপাত শুরু হলে রক্তপাত বন্ধ করা জরুরি।
এ অবস্থায় রক্তের অণুচক্রিকা দ্রুত থ্রম্বোপ্লাস্টিন নামক এক প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য নিঃসরণ করে। যার প্রভাবে দ্রবণীয় ফাইব্রিনোজেন অদ্রবণীয় ফাইব্রিনোজেনে রূপান্তরিত হয়।
এতে রক্তকণিকাসমূহ আবদ্ধ হয়ে রক্তের প্রবাহ ক্ষমতা ও তরলতা হারিয়ে জেলিতে পরিণত হয়ে ক্ষতস্থান বন্ধ করে। রক্তকণিকায় অণুচক্রিকার সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় কম হলে রক্ত সহজে জমাট বাঁধবে না অর্থাৎ” মাহফুজের কাটা স্থানে ঐ অবস্থার সৃষ্টি হবে।
তাই বলা যায়, মাহফুজের কাটা স্থানের রক্ত সহজে জমাট না বাঁধার সাথে অণুচক্রিকা নামক রক্ত কোষ জড়িত ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ rh ফ্যাক্টর বলতে কি বুঝায়
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম rh ফ্যাক্টর বলতে কি বুঝায় যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।