রেচন পদার্থ বলতে কি বুঝায়
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো রেচন পদার্থ বলতে কি বুঝায় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের রেচন পদার্থ বলতে কি বুঝায়
আমাদের দেহে শিম বীজ আকৃতির দুটি অঙ্গ রয়েছে। এর প্রতিটিতে ১০ থেকে ১২ লক্ষ গঠন ও কার্যকরী একক বিদ্যমান। অঙ্গ দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ক. মেডুলা কী?
খ. রেচন পদার্থ বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত অঙ্গের গঠন ও কার্যকরী এককের চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন করো ।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত অঙ্গের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. বৃক্কের ভেতরের গাঢ় কালচে রঙের অংশই হলো মেডুলা ।
খ. রেচন পদার্থ বলতে মূলত নাইট্রোজেনঘটিত বর্জ্য পদার্থকে বোঝায়। শরীরের অতিরিক্ত পানি, লবণ, CO2, নাইট্রোজেনঘটিত বর্জ্য পদার্থ (ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, অ্যামোনিয়া, ক্রিয়েটিনিন) প্রভৃতি হলো রেচন পদার্থ। রেচন পদার্থ বিপাক প্রক্রিয়ার ফলে তৈরি হয় এবং রেচনতন্ত্রের মাধ্যমে দেহ থেকে বাইরে নিষ্ক্রান্ত হয়।
গ. উদ্দীপকের উল্লিখিত অঙ্গটি হলো বৃদ্ধ। বৃক্কের গঠন ও কার্যকরী একক হলো নেফ্রন । মানবদেহের প্রতিটি বৃক্কে প্রায় ১০-১২ লক্ষ নেফ্রন থাকে। প্রতিটি নেফ্রনের দুটি অংশ। যথা— রেনাল করপাসল বা মালপিজিয়ান অঙ্গ এবং রেনাল টিউব্যুল। নিচে নেফ্রনের চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন করা হলো—
ঘ. উদ্দীপকের অঙ্গটি হলো মানুষের রেচন অঙ্গ । মানবদেহের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্য সম্পাদন করে। মানুষের ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, অ্যামোনিয়া, সিরাম, ক্রিয়েটিনিন ইত্যাদি নাইট্রোজেনঘটিত বর্জ্য পদার্থ থাকে। এগুলো মানবদেহের জন্য অত্য
ক্ষতিকর। এসব অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ মুত্রের মাধ্যমে অপসারণে বৃক্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বৃকস্থিত নেয়ন একটি জটিল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্রমাগতভাবে মূত্র উৎপন্ন করে। উৎপন্ন মূত্র সংগ্রাহী নালিকার মাধ্যমে বৃক্কের পেলভিসে পৌঁছায়।
পেলভিস থেকে ইউরেটার হয়ে মূত্রথলিতে আসে এবং সাময়িকভাবে জমা থাকে। নিচের দিকে অবস্থিত ছিদ্রপথে দেহের বাইরে বেরিয়ে আসে।
এভাবে মূত্রথলি মূত্র দ্বারা পরিপূর্ণ হলে মূত্র ত্যাগের ইচ্ছা জাগে এবং মূত্রথলির বৃক্ক মানবদেহ থেকে ক্ষতিকর নাইট্রোজেনজাতীয় বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করে। ।
এছাড়াও বৃক্ক মানবদেহে সোডিয়াম, পটাশিয়াম এবং ক্লোরাইড ইত্যাদি আয়নের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং মানবদেহের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, অম্ল ও ক্ষারের ভারসাম্য রক্ষা করে । উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বোঝা যায়, বৃক্ক মানবদেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ রেচন পদার্থ বলতে কি বুঝায়
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম রেচন পদার্থ বলতে কি বুঝায় যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।