রাফেজ বলতে কি বুঝায়
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো রাফেজ বলতে কি বুঝায় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের রাফেজ বলতে কি বুঝায়
খাদ্যবস্তু পাকস্থলিতে এসে জীবাণুমুক্ত হয়ে পরিপাক হয়। বর্তমানে বাণিজ্যিক রং, রাসায়নিক পদার্থ, ফরমালিন মিশ্রিত খাদ্য গ্রহণের ফলে আমাদের পরিপাকের ব্যাঘাত ঘটছে। “প্রত্যেকেই সচেতন না হলে মানব জীবন হুমকীর সম্মুখীন হবে।”
ক. ক্যালরি কী?
খ. রাফেজ বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত খাদ্যনালির অংশটিতে এনজাইমের কার্যক্রম ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের শেষ বাক্যটি মূল্যায়ন করো ।
প্রশ্নের উত্তর
ক. পুষ্টি উপাদান হতে নির্গত তাপশক্তি পরিমাপের এককই হলো ক্যালরি।
খ. রাফেজ হলো ফল, শাক-সবজি, শস্যদানা ইত্যাদিতে উপস্থিত আঁশ বা তন্তুর ন্যায় অপাচ্য অংশ। এগুলো মূলত কোষপ্রাচীরের সেলুলোজ ও লিগনিন নামক জটিল শর্করা যা মানুষ হজম করতে পারে না।
গ. উদ্দীপকে খাদ্যনালির যে অংশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো পাকস্থলি। খাদ্য পাকস্থলিতে পৌছালে পাকস্থলির ভেতরের গাত্র থেকে পাচক রস নিঃসৃত হয়।
পাচক রসে পেপসিনোজেন নামক নিষ্ক্রিয় এনজাইম থাকে। এছাড়া নিঃসৃত হয় মিউসিন ও হাইড্রোক্লোরিক এসিড, যা খাদ্যে বিদ্যমান রোগজীবাণু ধ্বংস করে, অম্লীয় পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং নিষ্ক্রিয় পেপসিনোজেনকে সক্রিয় পেপসিনে পরিণত করে।
সক্রিয় পেপসিন এনজাইম আমিষ জাতীয় খাদ্যকে ভেঙ্গে প্রোটিওজ ও পেপটোন নামক দুই বা ততোধিক অ্যামাইনো এসিড দ্বারা তৈরি যৌগ গঠন করে।
এছাড়াও রেনিন নামক এনজাইম দুধের আমিষ জাতীয় খাদ্য ক্যাসেইনকে প্যারাক্যাসেইনে পরিণত করে।
পাকস্থলিতে শর্করা এবং স্নেহ জাতীয় খাদ্য সাধারণত পরিপাক হয় না। কারণ এদের পরিপাকের জন্য পেপটিক রসে নির্দিষ্ট কোনো এনজাইম থাকে না। পাকস্থলির অনবরত সংকোচন ও প্রসারণ এবং এনজাইমের ক্রিয়ার ফলে খাদ্য পাকমণ্ডে পরিণত হয়।
ঘ. এ পৃথিবীতে ভালোভাবে বেঁচে থাকতে হলে নির্মল পরিবেশের পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ অপরিহার্য। বর্তমানে বাজারে অনৈতিকভাবে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর ও অস্বাস্থ্যকর রাসায়নিক দ্রব্য, ভেজাল ও রঞ্জক পদার্থ খাদ্যে ব্যবহার করে তা বিক্রি করা হয়।
এর ফলে জনস্বাস্থ্য এখন হুমকির সম্মুখীন। আমাদের দেশে খাদ্যে যে ভেজাল মেশানো হয় এর মধ্যে মূলত- বাণিজ্যিক রং, অ্যান্টিবায়োটিক, রাসায়নিক দ্রব্য (যেমন-সরবেট, কার্বাইড, 'কীট ও বালাইনাশক, ফরমালিন, হেভি মেটাল) উল্লেখযোগ্য।
এরা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এসব খাদ্যের বিষক্রিয়া ধীরে ধীরে যকৃত, বৃক্ক, হৃৎপিন্ড ইত্যাদির কার্যকারিতা নষ্ট করে বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে ।
এরা শিশুদের বাড়ন্ত কোষে বিরূপ প্রভাব ফেলে, তাতে একদিকে যেমন শিশুর মানসিক বিকাশ ব্যাহত হয় অপরদিকে তারা নানা অসুস্থতায় ভোগে।
ভেজাল খাদ্যের প্রভাবে বিভিন্ন অঙ্গের ক্যান্সার পর্যন্ত হয়ে থাকে। জনস্বাস্থ্যের এই ভয়ংকর পরিণতি হতে রক্ষা পেতে হলে আমাদের প্রত্যেকেরই সচেতন হতে হবে। সরকারকে ভেজাল বিরোধী আইন কঠোরভাবে প্রণয়ন করতে হবে।
শুধু ছোট ব্যবসায়ীদের শাস্তি নয়, এর পেছনে থাকা বড় ব্যবসায়ী, আমদানিকারক, পাইকার, সর্বোপরি মূল কারবারীকে আইনের আওতায় আনতে হবে। কৃষককে ভেজালমুক্ত ফসল উৎপাদনে এবং ব্যবসায়ীদের স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে খাদ্য সংরক্ষণে সাহায্য করে এর সার্বিক লাভ সম্পর্কে অবহিত করতে হবে।
এভাবে প্রত্যেকটি মানুষকে রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, রাজনৈতিকভাবে ও গণমাধ্যমের মাধ্যমে সচেতন করতে হবে। তা না হলে, ভোরে এই ভয়াল থাবা হতে মানব জীবন রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। ভাই উদ্দীপকের শেষ বাক্যটি যুক্তিযুক্ত বলে আমি মনে করি।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ রাফেজ বলতে কি বুঝায়
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম রাফেজ বলতে কি বুঝায় যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।