পুং ও স্ত্রী জননকোষ কীভাবে নতুন জীবের দেহ গঠনের সূচনা করে
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো পুং ও স্ত্রী জননকোষ কীভাবে নতুন জীবের দেহ গঠনের সূচনা করে জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের পুং ও স্ত্রী জননকোষ কীভাবে নতুন জীবের দেহ গঠনের সূচনা করে
মি. আনাস ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে একটি উদ্ভিদকোষ পর্যবেক্ষণ করছেন। এর কোষ অঙ্গাণুগুলোর মধ্যে দুইটি তার বিশেষ মনোযোগ আকর্ষণ করলো। এর মধ্যে প্রথম কোষ অঙ্গাণুটি ক্রোমোজোম বহনকারী। আর দ্বিতীয় অঙ্গাণুটি সবুজ রঙের।
ক. আদিকোষ কাকে বলে?
খ. পুং ও স্ত্রী জননকোষ কীভাবে নতুন জীবের দেহ গঠনের সূচনা করে?
গ. উদ্দীপকের প্রথম কোষ অঙ্গাণুটির গঠন ব্যাখ্যা করো ।
·ঘ. উদ্দীপকের দ্বিতীয় অঙ্গাণুটি পৃথিবীর সমস্ত জীবকে বাঁচিয়ে রাখতে সহায়তা করে—বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. যে কোষের নিউক্লিয়াস সুগঠিত নয় তাকে আদিকোষ বলে।
খ. যৌন জননে পুং ও স্ত্রী জনন কোষ মিলিত হয়ে জীবের দেহ গঠনের সূচনা করে। পুং ও স্ত্রী জনন কোষ মিলিত হয়ে জাইগোট সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে এ জাইগোট ক্রমশ বিভাজিত হয়ে ভ্রুণ সৃষ্টি করে। এই ভূল ধীরে ধীরে বিকশিত হয়ে দেহের বিভিন্ন অংশের গঠন শুরু করে এবং এক পর্যায়ে নতুন একটি জীবদেহ গঠিত হয়।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রথম কোষ অঙ্গাণুটি হলো নিউক্লিয়াস, যা ক্রোমোসোম বহন করে। সুগঠিত নিউক্লিয়াসে নিউক্লিয়ার ঝিল্লি, নিউক্লিওপ্লাজম, নিউক্লিওলাস ও ক্রোমাটিন জালিকা দেখা যায়। নিচে এর গঠন ব্যাখ্যা করা হলো-
নিউক্লিয়ার ঝিল্লি: এটি দ্বিস্তর বিশিষ্ট ঝিল্লি যা নিউক্লিয়াসকে ঘিরে রাখে। এ ঝিল্লিটি লিপিড ও প্রোটিন দ্বারা গঠিত। এ ঝিল্লির মাঝে মাঝে নিউক্লিয়ার রন্ধ্র থাকে ।
নিউক্লিওপ্লাজম: নিউক্লিওপ্লাজম হলো নিউক্লিয়ার ঝিল্লির অভ্যন্তরে জেলির ন্যায় বস্তু। এতে নিউক্লিক এসিড, প্রোটিন, উৎসেচক ও কতিপয় খনিজ লবণ থাকে ।
নিউক্লিওলাস: নিউক্লিওপ্লাজমের মধ্যে ক্রোমোসোমের বিশেষ অংশের সাথে লাগানো গোলাকার বস্তু হলো নিউক্লিওলাস। এরা RNA ও প্রোটিন দ্বারা গঠিত।
ক্রোমাটিন জালিকা: কোষের বিরামকালীন সময়ে অর্থাৎ যখন কোনো বিভাজন চলে না, তখন নিউক্লিয়াসে অবস্থিত ক্রোমোসোমসমূহ সংযুক্ত হয়ে কুণ্ডলি পাকানো, সূক্ষ্ম সুতার ন্যায় ক্রোমাটিন জালিকার আকারে দেখা যায়।
কোষ বিভাজনের সময় এরা বিভক্ত হয়ে মোটা ও খাটো ক্রোমোসোম হিসেবে দেখা যায়, যার মধ্যে বংশগতির গুণ বহনকারী জিন অবস্থান করে।
ঘ. উদ্দীপকের দ্বিতীয় অঙ্গাণুটি হলো ক্লোরোপ্লাস্ট, যার বর্ণ সবুজ। জীবজগতের অস্তিত্ব রক্ষায় ক্লোরোপ্লাস্টের ভূমিকা অপরিসীম। নিচে তা বিশ্লেষণ করো হলো-
সবুজ উদ্ভিদে ক্লোরোপ্লাস্ট থাকায় এরা নিজেই নিজের খাদ্য সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় প্রস্তুত করে থাকে।
প্রাণীরা খাদ্যের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সবুজ উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল। আমরা খাদ্য হিসেবে যা কিছু খাই না কেন তার সবই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সবুজ উদ্ভিদ থেকে আসে। আবার সালোকসংশ্লেষণের ফলে নির্গত O2 প্রাণিজগতের শ্বসনের জন্য অপরিহার্য।
সবুজ উদ্ভিদের তৈরি খাদ্য তার নিজের বিভিন্ন জৈবনিক কাজে শক্তি যোগায় ফলে উদ্ভিদ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়, এতে ফুল ফোটে।
পরাগায়ন ও নিষেকের ফলে ফুল থেকে ফল ও বীজ উৎপন্ন হয়ে প্রজাতির ধারা অব্যাহত থাকে। এসবই সম্ভব হচ্ছে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার কারণে, যা উদ্দীপকের অঙ্গাণুটির ভেতরেই সম্পন্ন হয়।
ক্লোরোপ্লাস্ট না থাকলে সবুজ উদ্ভিদে খাদ্য তৈরি হতো না, তার জৈবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হতো এবং এক সময় মারা যেত।
ফলে সবুজ উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল প্রাণিজগতও বিলীন হয়ে যেত। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের দ্বিতীয় অঙ্গাণুটি অর্থাৎ ক্লোরোপ্লাস্ট পৃথিবীর সমস্ত জীবকে বাঁচিয়ে রাখতে সহায়তা করে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ পুং ও স্ত্রী জননকোষ কীভাবে নতুন জীবের দেহ গঠনের সূচনা করে
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম পুং ও স্ত্রী জননকোষ কীভাবে নতুন জীবের দেহ গঠনের সূচনা করে যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।