প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় লৌহ সমৃদ্ধ খাদ্য রাখার প্রয়োজন কেন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় লৌহ সমৃদ্ধ খাদ্য রাখার প্রয়োজন কেন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় লৌহ সমৃদ্ধ খাদ্য রাখার প্রয়োজন কেন
সাদ আব্দুল্লাহ প্রতিদিন সকালের নাস্তায় পনির, দুধ খেয়ে থাকে। তার ভাই। আলী আব্দুল্লাহ ডিম ও মাংস খেতে পছন্দ করে। তাদের বোন আয়েশা ভাইদের কোন খাবারই পছন্দ করে না। সে পছন্দ করে ফলমূল।
ক. মৌলবিপাক শক্তি কী?
খ. প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় লৌহ সমৃদ্ধ খাদ্য রাখার প্রয়োজন কেন?
গ. সাদ আব্দুল্লাহ এবং তার ভাইয়ের খাবারগুলোর পরিপাক প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করো।
ঘ. বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে তিনজনের পছন্দের খাবারগুলোর মধ্যে কোনগুলো বেশি কার্যকরী হবে বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. বিশ্রামাবস্থায় মানবদেহের বিভিন্ন পেশি সংকোচন প্রসারণে সার্বিক কাজ সাধিত হওয়ার ফলে যে শক্তি ব্যয় হয়, তাই মৌলবিপাক শক্তি ।
খ. রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘনত্ব স্বাভাবিকের তুলনায় কমে গেলে রক্তশূন্যতা দেখা যায়। খাদ্যে লৌহের পরিমাণ কম থাকলে লৌহ ঘটিত আমিষের অভাব দেখা গেলে রক্তশূন্যতা দেখা যায়।
যার ফলে, দুর্বল অনুভব করা, মাথাব্যথা, মনমরা ভাব, অনিদ্রা, চোখে অন্ধকার ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়। এ সমস্যা সমাধানে খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন লৌহ সমৃদ্ধ খাবার যেমন- যকৃত, ডিম, চিনাবাদাম, বরবটি ইত্যাদি থাকা প্রয়োজন ।
গ. উদ্দীপকের সাদ আবদুল্লাহ ও তার ভাইয়ের পছন্দের খাদ্যগুলো হলো পনির, দুধ, ডিম ও মাংস যাতে আমিষ বিদ্যমান। নিচে আমিষ জাতীয় খাদ্যের পরিপাক প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করা হলো-
মুখগহ্বরে আমিষ জাতীয় খাদ্যের পরিপাককারী এনজাইমের অভাবে তাতে খাদ্যের কোনরূপ পরিবর্তন না হলেও এ অংশে খাদ্যবস্তুটি চূর্ণ বিচূর্ণ হয় ও তা অন্ননালির মাধ্যমে পাকস্থলিতে পৌঁছে। পাকস্থলিতে পৌঁছালে তা গ্যাস্ট্রিক রসের হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সংস্পর্শে আসে। ।
যার ফলে তাতে অবস্থিত ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয় ও নিষ্ক্রিয় পেপসিনোজেন সক্রিয় পেপসিনে রূপান্তরিত হয়ে তা আমিষকে পলিপেপটাইডে পরিণত করে। পাকস্থলি থেকে পাকমণ্ড ক্ষুদ্রান্তে প্রবেশ করে। ক্ষুদ্রান্ত্রে অগ্ন্যাশয়রসে ট্রিপসিন পলিপেপটাইডকে ভেঙে অ্যামাইনো এসিড ও সরল পেপটাইডে রূপান্তরিত করে।
সেক্ষেত্রে পরিপাক প্রক্রিয়া হবে নিম্নরূপ— পেপসিন আমিষ- ট্রিপসিন - পলিপেপটাইড
পলিপেপটাইড → অ্যামাইনো এসিড + সরল পেপটাইড উল্লিখিত প্রক্রিয়ায় সাদ আবদুল্লাহ ও তার ভাইয়ের খাদ্যের পরিপাক ঘটে।
ঘ. উদ্দীপকের সাদ আবদুল্লাহ ও আলী আবদুল্লাহ দুধ, পনির, ডিম ও মাংস অর্থাৎ আমিষজাতীয় খাদ্য এবং তার বোন আয়েশা ফলমূল অর্থাৎ ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ খাদ্য খেতে পছন্দ করে।
বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে ফলমূল অর্থাৎ আয়েশার পছন্দের খাবারগুলোই বেশি কার্যকরী হবে। নিচে যুক্তিসহ এর কারণ বিশ্লেষণ করা হলো-
দুধ, ডিম, পনির ও মাংস হলো প্রাণিজ আমিষ সমৃদ্ধ খাদ্য। এরা মূলত দেহের বৃদ্ধি সাধন ও ক্ষয়পূরণ করে। তবে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে এদের বিশেষ কোন ভূমিকা নেই। অপরদিকে ফলমূলে বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ বিদ্যমান।
খুব সামান্য পরিমাণে দেহে উপস্থিত থেকে এরা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। দেহে ভিটামিনের অভাব দেখা দিলে বিভিন্ন ভিটামিনের অভাবজনিত সমস্যা দেখা দেয়।
এতে দেহের মারাত্মক আকারে স্থায়ীভাবে ক্ষতি হতে পারে। এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে। ভিটামিনের অভাবে রাতকানা, রিকেটস, অস্টিওমেলাশিয়াসহ বিভিন্ন রোগ হয়।
এছাড়াও খনিজ পদার্থ দেহকে বিভিন্ন রোগ হতে রক্ষা করে। খনিজের অভাবে গলগণ্ড, রক্তশূন্যতাসহ বিভিন্ন রোগ দেখা যায়, একমাত্র যথাযথ মাত্রায় ফলমূল খেলেই তা হতে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
অর্থাৎ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে তিন জনের পছন্দের খাবারগুলোর মাঝে আয়েশার খাবারগুলো অর্থাৎ ফলমূল বেশি কার্যকরী হবে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় লৌহ সমৃদ্ধ খাদ্য রাখার প্রয়োজন কেন
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় লৌহ সমৃদ্ধ খাদ্য রাখার প্রয়োজন কেন যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।