প্রোক্যারিওটিক কোষ কাকে বলে | প্রোক্যারিওটিক সেল বলতে কী বোঝ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো প্রোক্যারিওটিক সেল বলতে কী বোঝ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের প্রোক্যারিওটিক সেল বলতে কী বোঝ
প্রোক্যারিওটিক কোষ কাকে বলে | প্রোক্যারিওটিক সেল বলতে কী বোঝ |
মাহিনের শরীর ফুলে যাওয়াতে তার বাবা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বললেন তার শরীরের নিষ্কাশন প্রক্রিয়াটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যা বিশেষ প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা দেয়া সম্ভব।
ক. শ্রেণিবিন্যাসের লক্ষ্য কী?
খ. প্রোক্যারিওটিক সেল বলতে কী বোঝ?
গ. মাহিনের শরীরের নিষ্কাশনকারী অঙ্গটির গঠন ব্যাখ্যা করো ।
ঘ. উদ্দীপকের সমস্যাটি পরিত্রাণে যে ব্যবস্থাটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করো ।
প্রশ্নের উত্তর
ক. শ্রেণিবিন্যাসের লক্ষ্য হলো বিশাল ও বৈচিত্র্যময় জীবজগৎকে সহজভাবে, অল্প পরিশ্রমে এবং অল্প সময়ে সঠিকভাবে জানা।
খ. যে সকল কোষে বা সেলে সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না তাদের প্রোক্যারিওটিক সেল বা আদিকোষ বলে।
প্রোক্যারিওটিক সেলে নিউক্লিয়াস কোনো পর্দা দ্বারা বেষ্টিত থাকে না। ফলে নিউক্লিওবস্তু সাইটোপ্লাজমে ছড়ানো থাকে।
এদের মাইটোকন্ড্রিয়ন, প্লাস্টিড, এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম ইত্যাদি অঙ্গাণু থাকে না, তবে রাইবোজোম থাকে। নীলাভ সবুজ শৈবাল, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি প্রোক্যারিওটিক সেল।
গ. মাহিনের শরীরের নিষ্কাশনকারী অঙ্গটি হলো বৃদ্ধ। নিচে বৃক্কের গঠন ব্যাখ্যা করা হলো-
বৃক্কের আকৃতি শিমবিচির মতো এবং রং লালচে হয়। বৃক্কের বাইরের দিক উত্তল ও ভেতরের দিক অবতল। অবতল অংশের ভাজকে হাইলাস বলে। হাইলাসে অবস্থিত গহ্বরকে পেলভিস বলে। পেলভিস থেকে দু'টি ইউরেটার বের হয়ে মূত্রাশয়ে প্রবেশ করে।
হাইলাসের ভেতর থেকে ইউরেটার ও রেনাল শিরা বের হয় এবং রেনাল ধমনি বৃক্কে প্রবেশ করে। বৃক্ক ক্যাপসুল নামক এক ধরনের তন্তুময় আবরণ দিয়ে বেষ্টিত থাকে। ক্যাপসুল সংলগ্ন অংশ হলো কর্টেক্স ও ভেতরের অংশ মেডুলা । সাধারণত ৮-১২টি রেনাল পিরামিড থাকে।
এদের অগ্রভাগ প্রসারিত হয়ে পিড়কা গঠন করে। এসব পিড়কা সরাসরি পেলভিসে উন্মুক্ত হয়। প্রতিটি বৃক্কে বিশেষ এক ধরনের নালিকা থাকে যাকে ইউরিনিফেরাস নালিকা বলে । প্রতিটি ইউরিনিফেরাস নালিকা নেফ্রন ও সংগ্রাহী নালিকা এ দু'টি প্রধান অংশে বিভক্ত।
ঘ. উদ্দীপকে মাহিনের শারীরিক লক্ষণ ও ডাক্তারের পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে বোঝা যায় তার বৃক্ক আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থায় তাকে ডায়ালাইসিস পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। বৃক্ক আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হলে ডায়ালাইসিস অথবা প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে চিকিৎসা পাওয়া সম্ভব।
তবে এক্ষেত্রে সমস্যাটি পরিত্রাণে ইঙ্গিত করা ব্যবস্থাটি অর্থাৎ ডায়ালাইসিস পদ্ধতিটি যুক্তিযুক্ত। কারণ ডায়ালাইসিস পদ্ধতিটি বৃক্ক প্রতিস্থাপনের চেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ। এক্ষেত্রে ডায়ালাইসিস মেশিনের মাধ্যমে দূষিত রক্তকে সহজে পরিশোধিত করা হয়।
এটিতে রোগীর খরচও কম হয় এবং একসঙ্গে অনেক অর্থের প্রয়োজন হয় না। অন্যদিকে বৃক্ক প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে বৃক্ক দাতা হিসেবে নিকট আত্মীয়ের প্রয়োজন পড়ে। বৃক্ক দানের পর রোগী ও দাতা দু'জনেই অনেকটা ঝুঁকির মধ্যে থাকে।
বৃক্ক প্রতিস্থাপন সঠিকভাবে না হলে রোগীর মৃত্যু ঘটে, সময় দাতারও মৃত্যু ঘটতে পারে। যেহেতু মাহিনের বৃদ্ধ সম্পূর্ণরূপে অকেজো হয়নি, সেহেতু প্রতিস্থাপনের ঝুঁকি না নিয়ে ডায়ালাইসিস পদ্ধতিতে সমস্যাটি পরিত্রাণের ব্যবস্থা গ্রহণ অধিক যুক্তিযুক্ত হয়েছে ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ প্রোক্যারিওটিক সেল বলতে কী বোঝ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম প্রোক্যারিওটিক সেল বলতে কী বোঝ যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।