প্লাস্টিডের কাজগুলো কী কী
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো প্লাস্টিডের কাজগুলো কী কী জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের প্লাস্টিডের কাজগুলো কী কী
ক. কোষঝিল্লি কী?
খ. প্লাস্টিডের কাজগুলো কী কী?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত চিহ্নিত অঙ্গাণুদ্বয়ের কাজ লেখো।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত কোষ এবং আদিকোষের মধ্যে পার্থক্য স্থাপন করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. প্রোটোপ্লাজমের বাইরে যে দ্বিস্তর বিশিষ্ট স্থিতিস্থাপক পর্দা থাকে তাই কোষঝিল্লি ।
খ. প্লাস্টিডের প্রধান কাজগুলো হলো-
i. খাদ্য প্রস্তুত করা।
ii. খাদ্য সঞ্চয় করা।
iii. উদ্ভিদকে বর্ণময় ও আকর্ষণীয় করে পরাগায়নে সাহায্য করা।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত চিহ্নিত অঙ্গাণুদ্বয় হলো কোষঝিল্লি ও সাইটোপ্লাজম । নিচে এদের কাজ উল্লেখ করা হলো---
প্রোটোপ্লাজমের বাইরে যে দ্বিস্তরবিশিষ্ট স্থিতিস্থাপক পর্দা থাকে তাকে কোষঝিল্লি বলা হয়। কোষঝিল্লি একটি বৈষম্যভেদ্য পর্দা হওয়ায় অভিস্রবণের মাধ্যমে পানি ও খনিজ লবণ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে ও পার্শ্ববর্তী কোষগুলোকে পরস্পর থেকে আলাদা করে রাখে।
কোষের ভিতরে যে অর্ধস্বচ্ছ, থকথকে জেলির মতো বস্তু থাকে তা হলো প্রোটোপ্লাজম। প্রোটোপ্লাজমে নিউক্লিয়াস বাদে বাকি অংশই হলো সাইটোপ্লাজম। মাইট্রোকন্ড্রিয়া, প্লাস্টিড, সেন্ট্রোসোম, গলজি বস্তু, রাইবোসোম, এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম, কোষগহ্বর ও লাইসোজোম থাকে।
মাইটোকন্ড্রিয়া কোষের প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপন্ন করে। প্লাস্টিডে উপস্থিত ক্লোরোপ্লাস্ট সালোকসংশ্লেষণ ঘটায়। প্রাণিকোষে সেন্ট্রোসোম ফ্ল্যাজেলা সৃষ্টিতে অংশ নেয়। রাইবোজোম আমিষ সংশ্লেষ করে।
গলজি বস্তু হরমোন নিঃসরণ ও প্রোটিন সঞ্চয় করে। কোষগহ্বর কোষরস ধারণ করে । লাইসোজোম জীবকোষকে জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে।
ঘ. উদ্দীপকের উল্লিখিত কোষটি হলো প্রকৃত কোষ। নিচে প্রকৃত কোষ ও আদিকোষের মধ্যে পার্থক্য দেওয়া হলো—
i. প্রকৃতকোষের নিউক্লিয়াস সুগঠিত এবং আদিকোষের নিউক্লিয়াস সুগঠিত নয়, অর্থাৎ এতে ক্রোমাটিন বস্তু থাকে কিন্তু নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয়ার পর্দা নেই ।
ii. প্রকৃত কোষে সব ধরনের অঙ্গাণু (মাইটোকন্ড্রিয়া, এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম,. রাইবোজোম, লাইসোজোম) থাকে, কিন্তু আদিকোষে শুধু রাইবোজোম অঙ্গাণুটি থাকে অন্যান্য অঙ্গাণু থাকে না ।
iii. প্রকৃতকোষের DNA জটিল ধরনের সরল রৈখিক আকৃতির এবং” প্রোটিন আবরণে আবৃত থাকে, কিন্তু আদিকোষের DNA সরল ধরনের, চাক্রিক আকৃতির এবং প্রোটিন আবরণে আবৃত থাকে না।
iv. প্রকৃতকোষ মাইটোসিস ও মিয়োসিস প্রক্রিয়া বিভাজিত হয়ে বংশ বিস্তার করে, কিন্তু আদিকোষ দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে বংশ বিস্তার করে।
v. প্রকৃতকোষ মূলত আকারে বড় হয়, কিন্তু আদিকোষ আকারে ছোট হয়। vi. প্রকৃতকোষ মূলত বহুকোষী হিসেবে জীবজগতে অবস্থান করে কিন্তু আদিকোষ, এককোষী হিসেবে জীবজগতে অবস্থান করতে পারে ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ প্লাস্টিডের কাজগুলো কী কী
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম প্লাস্টিডের কাজগুলো কী কী যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।