ফটোলাইসিস কি | ফটোলাইসিস কাকে বলে
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ফটোলাইসিস কাকে বলে জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ফটোলাইসিস কাকে বলে
ক. লসিকা কী?
খ. ফটোলাইসিস কাকে বলে? ব্যাখ্যা করো ।
গ. 'S' চিহ্নিত অংশটি কী? বর্ণনা করো।
ঘ. উদ্দীপকে 'X' ও 'Y' এর গঠন ও কার্যিক মিল-অমিল বিশ্লেষণ করো ।
প্রশ্নের উত্তর
ক. কলসিকা নালিতে বিদ্যমান ঈষৎ ক্ষারীয় স্বচ্ছ হলুদ বর্ণের তরল যোজক কলাই হলো লসিকা।
খ. সালোকসংশ্লেষণের আলোক পর্যায়ে সূর্যালোক ও ক্লোরোফিলের সহায়তায় পানি বিয়োজিত হয়ে অক্সিজেন, হাইড্রোজেন ও ইলেকট্রন উৎপন্ন হয়। এ প্রক্রিয়াকেই বলা হয় ফটোলাইসিস ।
গ. উদ্দীপকে s চিহ্নিত টিস্যুটি হলো ফ্লোয়েম টিস্যু, যা উদ্ভিদের খাদ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত। ফ্লোয়েম টিস্যু সিডকোষ, সঙ্গীকোষ, ফ্লোয়েম প্যারেনকাইমা ও ফ্লোয়েম ফাইবার এই চার ধরনের কোষ দ্বারা গঠিত। নিচে এদের বর্ণনা দেওয়া হলো—
১. সিভনল বা সিডকোষ: ফ্লোয়েম টিস্যুতে অবস্থিত চালনি সদৃশ প্রস্থপ্রাচীরযুক্ত নলাকার কোষকে সিভনল বা সিভকোষ বলে। এ কোষগুলো লম্বা এবং ভেতরটা ফাঁপা। একটি কোষের মাথায় আর একটি কোষ বসানো, তাই একসারি কোষ মিলিতভাবে একটি লম্বা নলের সৃষ্টি করে থাকে। মাথায় অবস্থিত দুটি কোষের মধ্যপ্রাচীর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্রযুক্ত। ছিদ্রযুক্ত এ প্রস্থপ্রাচীরকে সিভপ্লেট বলে। পাশাপাশি অবস্থিত দুটি সিভকোষের প্রোটোপ্লাজম সিভপ্লেটের ছিদ্র দিয়ে পরস্পর যোগাযোগ রক্ষা করে।
২. সঙ্গীকোষ: সিভকোষের সাথে বিদ্যমান বৃহৎ নিউক্লিয়াস ও ঘন সাইটোপ্লাজমযুক্ত প্যারেনকাইমা কোষকে সঙ্গীকোষ বলে। সঙ্গীকোষ লম্বা, সরু এবং এদের কোষপ্রাচীর পাতলা। ছিদ্র দিয়ে এরা সিভনলের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। এদের সাইটোপ্লাজম খুব ঘন, কোষগহ্বর ক্ষুদ্র এবং নিউক্লিয়াস বড় ।
৩. ফ্লোয়েম প্যারেনকাইমা: এরা আসলে সাধারণ প্যারেনকাইমা কোষ তবে সঙ্গীকোষ হতে কিছুটা ভিন্নতর। ফ্লোয়েমের মধ্যে অবস্থিত বলে এর নাম হয়েছে ফ্লোয়েম প্যারেনকাইমা। কোষগুলো লম্বাটে, বেলনাকার। এদের কোষপ্রাচীর পাতলা, সেলুলোজ নির্মিত এবং সমান পুরু। কোষগহ্বর বড়। সব ধরনের ফ্লোয়েম টিস্যুতে এদের দেখা যায় না।
৪. ফ্লোয়েম ফাইবার: সেকেন্ডারি ফ্লোয়েমে অবস্থিত স্ক্লেরেনকাইমা
ফাইবারকে ফ্লোয়েম ফাইবার বলে। এরা বাস্ট ফাইবার নামেও পরিচিত। পাটের আঁশ এক ধরনের বাস্ট ফাইবার। সেকেন্ডারি বৃদ্ধির সময় এ ফাইবার তৈরি হয়। সকল উদ্ভিদে ফ্লোয়েম ফাইবার নেই ।।
ঘ. উদ্দীপকের X হলো স্কেরেনকাইমা টিস্যু এবং Y হলো ট্রাকিড ও ভেসেল। এদের গঠন ও কাজে কিছু মিল ও অমিল রয়েছে। নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলো -
উভয় ধরনের টিস্যুই উদ্ভিদ টিস্যু হলেও স্কেরেনকাইমা এক ধরনের সরল টিস্যু এদের প্রতিটি কোষ আকার, আকৃতি ও গঠনের দিক থেকে অভিন্ন; অন্যদিকে ট্রাকিড ও ভেসেল জটিল ধরনের টিস্যু এরা বিভিন্ন কোষের সমন্বয়ে গঠিত।
প্রাথমিক অবস্থায় প্রোটোপ্লাজম থাকলেও পরিণত অবস্থায় উভয় ধরনের কোষই প্রোটোপ্লাজমবিহীন ও মৃত হয়ে যায়। ট্রাকিড ও ভেসেল উভয়ের প্রাচীরের পুরুত্ব কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। যেমন— বলয়াকার, সর্পিলাকার, সোপানাকার, জালিকাকার ইত্যাদি।
কিন্তু স্ক্লেরেনকাইমা টিস্যুর কোষের ক্ষেত্রে প্রাচীরের পুরুত্বে এ ধরনের বৈচিত্রতা দেখা যায় না । স্ক্লেরেনকাইমা, ট্রাকিড ও ভেসেল প্রত্যেকের কাজই উদ্ভিদদেহে দৃঢ়তা প্রদান এবং পানি ও খনিজ লবণ পরিবহন করা, তবে ট্রাকিড কখনো কখনো খাদ্য সঞ্চয়ের কাজও করে থাকে ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ফটোলাইসিস কাকে বলে
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ফটোলাইসিস কাকে বলে যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।