পাটের আঁশকে বাস্ট ফাইবার বলা হয় কেন
পাটের আঁশকে বাস্ট ফাইবার বলা হয় কেন - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো পাটের আঁশকে বাস্ট ফাইবার বলা হয় কেনজেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের পাটের আঁশকে বাস্ট ফাইবার বলা হয় কেন
X ও Y দুটি কলা, X কলাটির গঠন তরল ও Y কলাটির গঠন ক্যালসিয়াম জাতীয় পদার্থ। Y কলাটি X কলার নানা উপাদান তৈরিতে ভূমিকা রাখে ।
ক. ফ্যাগোসাইটোসিস কী?
খ. পাটের আঁশকে বাস্ট ফাইবার বলা হয় কেন?
গ. উদ্দীপকে X ও Y একই ধরনের কলা- ব্যাখ্যা করো।
ঘ. X ও Y একই ধরনের হওয়া সত্ত্বেও তাদের মধ্যে গাঠনিক ভিন্নতা বিদ্যমান বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. যে প্রক্রিয়ায় শ্বেত রক্তকণিকা ক্ষণপদের মাধ্যমে সৃষ্ট গহ্বরে আবদ্ধ করে জীবাণু ধ্বংস করে সে প্রক্রিয়াই হলো ফ্যাগোসাইটোসিস।
খ. স্ক্লেরেনকাইমা কোষের সমন্বয়ে গঠিত ফ্লোয়েম ফাইবারই হলো বাস্ট ফাইবার। পাটের আঁশ স্ক্লেরেনকাইমা কোষের সমন্বয়ে গঠিত দীর্ঘ কোষ যাদের প্রান্তদেশ পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে। উদ্ভিদ অঙ্গের গৌণ বৃদ্ধির সময় এ ফাইবার উৎপন্ন হয়। এজন্য পাটের আঁশকে বাস্ট ফাইবার বলা হয় ।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত X কলাটির গঠন তরল ও Y কলাটির গঠন Ca জাতীয় পদার্থ দিয়ে গঠিত। অর্থাৎ X ও Y কলা দু'টি যথাক্রমে তরল যোজক কলা এবং স্কেলিটাল যোজক কলা।
এরা উভয়েই মূলত যোজক কলা। যোজক কলাতে মাতৃকার পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি এবং কোষের সংখ্যা কম থাকে। তরল যোজক কলার মাতৃকা তরল, মাতৃকায় বিভিন্ন ধরনের জৈব পদার্থ দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে। এখানে কোষের সংখ্যার তুলনায় মাতৃকার পরিমাণ বেশি।
একইভাবে স্কেলিটাল যোজক কলার মাতৃকার পরিমাণ বেশি এবং সেখানে ক্যালসিয়াম জমা হয় ও কঠিন অবস্থা ধারণ করে, তবে এখানেও কোষের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে দেখা যায় যে, X ও Y কলার বৈশিষ্ট্যগুলো যোজক কলাকে সমর্থন করে। এ কারণে এরা একই ধরনের কলা অর্থাৎ যোজক কলা ।
ঘ. উদ্দীপকের X ও Y একই ধরনের হওয়া সত্ত্বেও অর্থাৎ যোজক কলা হওয়া সত্ত্বেও এদের মধ্যে গাঠনিক ভিন্নতা রয়েছে। নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলো-
X অর্থাৎ তরল যোজক কলার কোষগুলো নরম প্রকৃতির এবং এদের মাতৃকা তরল। অন্যদিকে Y অর্থাৎ স্কেলিটাল যোজক কলার কোষগুলো তুলনামূলকভাবে শক্ত প্রকৃতির।
এদের মাতৃকায় ক্যালসিয়াম জমা হয়ে দৃঢ় প্রকৃতির মাতৃকা সৃষ্টি করে। তরল যোজক কলা দু'ধরনের। যথা- রক্ত ও লসিকা।
রক্ত রক্তরস ও রক্তকণিকা নিয়ে গঠিত। রক্তের তরল অংশ রক্তরস। এর প্রায় ৯১-৯২% পানি এবং ৮-৯% জৈব ও অজৈব পদার্থ।
এসব রক্তরসের ভেতর বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন ও বর্জ্য পদার্থ থাকে। রক্তকণিকা তিন ধরনের, যথা- লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা এবং অণুচক্রিকা।
লসিকা ঈষৎ ক্ষারীয় স্বচ্ছ হলুদ বর্ণের তরল যোজক কলা। গঠনের ভিত্তিতে স্কেলিটাল যোজক কলা দু'ধরনের। যথা- কোমলাস্থি এবং অস্থি। কোমলাস্থি, কড্রিন মাতৃকাযুক্ত এক ধরনের নমনীয় স্কেলিটাল যোজক কলা এবং অস্থি, অস্টিয়াম মাতৃকাযুক্ত
এক ধরনের দৃঢ়, ভঙ্গুর এবং অনমনীয় স্কেলিটাল যোজক কলা। সুতরাং, উপরিউক্ত আলোচনা থেকে সহজেই প্রতীয়মান হয় যে, X ও Y একই ধরনের হওয়া সত্ত্বেও এদের মধ্যে গাঠনিক ভিন্নতা বিদ্যমান ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ পাটের আঁশকে বাস্ট ফাইবার বলা হয় কেন
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম পাটের আঁশকে বাস্ট ফাইবার বলা হয় কেনযদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।