অসমোরেগুলেশন কি | অসমোরেগুলেশন বলতে কী বুঝ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো অসমোরেগুলেশন বলতে কী বুঝ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের অসমোরেগুলেশন বলতে কী বুঝ
রাতুল একজন ডায়াবেটিক রোগী। কিছুদিন হলো সে তার কোমরের 4 পিছনে নিচের দিকে ব্যথা অনুভব করছে। 'ডাক্তার তার বিভিন্ন পরীক্ষা- নিরীক্ষা করে বললেন যে, রাতুলের দেহের রক্ত পরিশোধনকারী দুইটি অঙ্গ অকেজো হয়ে গেছে। ডাক্তার তাকে একটি টেকসই চিকিৎসা পদ্ধতির ব্যাপারে উপদেশ দেন।
ক. পেলভিস কী?
খ. অসমোরেগুলেশন বলতে কী বোঝ?
গ. রাতুলের অকেজো অঙ্গ দুটির কার্যকরী এককের গঠন ব্যাখ্যা করো।
ঘ. রাতুলের প্রতি ডাক্তারের উপদেশ দেওয়া চিকিৎসা পদ্ধতিটি সম্পর্কে মূল্যায়ন করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক বৃক্কের ইউরেটারে অবস্থিত ফানেল আকৃতির প্রশস্ত অংশই হলো পেলভিস।
খ. মানবদেহে পানির সমতা বজায় রাখার প্রক্রিয়াকে অসমোরেগুলেশন বলে। শারীরবৃত্তীয় কাজ সম্পাদনের জন্য দেহে পরিমিত পানি থাকা অপরিহার্য।
শরীরে কোনো কারণে পানির পরিমাণ বেড়ে গেলে মূত্রের মাধ্যমে অপসারিত হয়ে যায়। আবার কোনো কারণে পানির পরিমাণ কমে গেলে নেফ্রনের মাধ্যমে পুনঃশোষণ প্রক্রিয়ায় দেহে পানির সমতা বজায় রাখে। এভাবে অসমোরেগুলেশনের মাধ্যমে দেহে পানির সমতা বজায় থাকে ।
গ. উদ্দীপকে রাতুলের অকেজো অঙ্গ দুটি হলো বৃত্ত। বৃত্তের কার্যকরী একক হলো নেফ্রন । নিচে নেফ্রনের গঠন ব্যাখ্যা করা হলো-
প্রতিটি নেফ্রন একটি রেনাল করপাসল বা মালপিজিয়ান অঙ্গ এবং রেনাল টিউব্যুল নিয়ে গঠিত। প্রতিটি রেনাল করপাসল আবার গ্লোমেরুলাস এবং বোম্যান্স ক্যাপসুল-এ দুটি অংশে বিভক্ত।
বোম্যান্স ক্যাপসুল গ্লোমেরুলাসকে বেষ্টন করে থাকে। বোম্যান্স ক্যাপসুল দ্বিস্তরবিশিষ্ট পেয়ালার মতো প্রসারিত একটি অংশ। গ্লোমেরুলাস একগুচ্ছ কৈশিক জালিকা দিয়ে, তৈরি। বোম্যান্স ক্যাপসুলের অঙ্কীয় দেশ থেকে সংগ্রাহী নালি পর্যন্ত বিস্তৃত চওড়া নালিটি হলো রেনাল টিউব্যুল।
প্রতিটি রেনাল টিউব্যুল ৩টি অংশে বিভক্ত, যথা- গোড়াদেশীয় প্যাচানো নালিকা, হেনলির লুপ এবং প্রান্তীয় প্যাচানো নালিকা।
ঘ. উদ্দীপকে রাতুলের কিডনি বা বৃক্ক অকেজো হওয়ায় ডাক্তার তাকে কিডনি প্রতিস্থাপন বা সংযোজনের উপদেশ দেন, যা একটি টেকসই চিকিৎসা পদ্ধতি।
যখন কোনো ব্যক্তির কিডনি বিকল বা অকেজো হয়ে পড়ে তখন কোনো সুস্থ ব্যক্তির কিডনি তার দেহে প্রতিস্থাপন করা যায়। তখন তাকে কিডনি সংযোজন বলে।
কিডনি সংযোজন দুভাবে করা যায়- কোনো নিকট আত্মীয়ের কিডনি একজন কিডনি অকেজো রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করে এটি করা যায়।
তবে নিকট আত্মীয় বলতে বাবা-মা, ভাইবোন, মামা-খালা বোঝায়। আবার মৃত ব্যক্তির কিডনি নিয়ে রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করা যায়।
মৃত ব্যক্তি বলতে 'ব্রেন ডেড' বোঝায়। তাছাড়া মরণোত্তর চক্ষুদানের মতো মরণোত্তর বৃক্কদানের মাধ্যমে একজন কিডনি বিকল বা অকেজো রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভবপর হতে পারে।
সমগ্র পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ কিডনি অকেজো রোগী কিডনি সংযোজনের মাধ্যমে সুস্থ জীবনযাপন করছে। আমাদের দেশেও কিডনি সংযোজন কার্যক্রম সাফল্যের সাথে করা হচ্ছে।
মানুষের সব সময় একটি কিডনি কার্যকর থাকে। তাই একটি সুস্থ কিডনি প্রতিস্থাপন করে রোগের চিকিৎসা করা যায়। তবে দেখতে হবে যে টিস্যু ম্যাচ করে কিনা।
এক্ষেত্রে, পিতামাতা, ভাইবোন ও নিকট আত্মীয়ের কিডনির টিস্যু ম্যাচ হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। সুতরাং, রাতুলের প্রতি ডাক্তারের দেওয়া কিডনি প্রতিস্থাপনের উপদেশটি যুক্তিযুক্ত।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ অসমোরেগুলেশন বলতে কী বুঝ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম অসমোরেগুলেশন বলতে কী বুঝ যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।