নগরায়ণের ইতিবাচক প্রভাব সংক্ষেপে আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো নগরায়ণের ইতিবাচক প্রভাব সংক্ষেপে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের নগরায়ণের ইতিবাচক প্রভাব সংক্ষেপে আলোচনা কর ।
নগরায়ণের ইতিবাচক প্রভাব সংক্ষেপে আলোচনা কর |
নগরায়ণের ইতিবাচক প্রভাব সংক্ষেপে আলোচনা কর
অথবা, নগরায়ণের সদর্থক প্রভাবগুলো বর্ণনা কর ।
উত্তর : ভূমিকা : নগরায়ণের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। মানুষের জীবনে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের অনেক উপকরণ দিয়ে থাকে শহরায়ন। অবশ্য সবক্ষেত্রে যে শহরায়ন মানব জীবনকে ধন্য করেছে তা নয় ।
১. গণতন্ত্রের বিকাশ : নগর সমাজে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদের বিকাশ ঘটে। ব্যক্তি নানামুখী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে পড়ে। তাছাড়া এখানে ব্যক্তি স্বাধীন মনোভাব প্রকাশের সুযোগ লাভ করে।
২. স্বাস্থ্যের উন্নয়ন : নগর সমাজে চিকিৎসার সবধরনের সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান। কারণ নগরকে কেন্দ্র করেই মূলত হাসপাতাল, ক্লিনিক, মাতৃসদন কেন্দ্র, নার্সিং হোম, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ডিসপেনসারি গড়ে উঠে। মানুষ চিকিৎসা সামগ্রী, ডাক্তার ও নার্সিং সেবা মূলত নগর থেকেই পায়। তাছাড়া রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রপাতি, ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম এগুলোও মূলত শহরেই লক্ষ করা যায়। ফলে নগর মানুষকে স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করতে পারে।
৩. উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা : পৃথিবীর সকল দেশে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ নগরেই সৃষ্টি করা হয়। কারণ বেশিরভাগ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ল. কলেজ, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় । এগুলো মূলত নগর বা শহরকেন্দ্রিকভাবে গড়ে ওঠে এবং গড়ে ওঠার সমান সম্ভাবনা থাকে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠানের ।
৪. যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন : শহরে যাতায়াত, ব্যবসায়- বাণিজ্য ও শিল্পদ্রব্য স্থানান্তরের প্রয়োজনসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষ যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন করে। যাতায়াতের জন্য বাস, কোচ, মোটরগাড়ি, টেম্পু ও অন্যান্য উন্নত যানবাহনগুলো মূলত শহরকেন্দ্রিক চলাচল করে। নগরকে কেন্দ্র করেই রেলস্টেশন গড়ে উঠে । নদী বন্দর, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরগুলো ও *নগর বা শহরকেন্দ্রিক গড়ে উঠে। ফলে নগরের মানুষ উন্নত যাতায়াত সুবিধা ভোগ করে ।
৫. শিল্পায়ন : শহরকে কেন্দ্র করেই শিল্প কারখানা গড়ে উঠে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া প্রভৃতি শহরের আশেপাশে প্রচুর শিল্প কারখানা স্থাপিত হয়েছে। অর্থাৎ এসব শহরকে কেন্দ্র করে শিল্পায়নের বিকাশ ঘটছে। এর ফলে মানুষ কারখানায় উৎপাদিত প্রয়োজনীয় দ্রব্যসমাগ্রী দিয়ে তার চাহিদা মিটাচ্ছে।
৬. ব্যবসায়-বাণিজ্যের প্রসার : শহরকে কেন্দ্র করেই মূলত গড়ে উঠে শিল্পপ্রতিষ্ঠান। আর এ ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটে। বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বিমা শহরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে। ব্যবসায়-বাণিজ্যের প্রসার সহজেই সমাজকে উন্নয়নের পথে পরিচালিত করে। ইউরোপ, আমেরিকার উন্নয়নের মূলে রয়েছে ব্যবসায়-বাণিজ্যের প্রসার।
৭. প্রাকৃতিক সম্পদের সদ্ব্যবহার : প্রাকৃতিক সম্পদের সদ্ব্যবহার এর জন্য প্রয়োজন শিল্প প্রতিষ্ঠান। শহরকেন্দ্রিক শিল্প কারখানা-গড়ে উঠায় সেখানে প্রাকৃতিক সম্পদের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত সম্ভব নয় ।
৮. জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন : শহরায়ন বা নগরায়ণের আধুনিক সরঞ্জাম, বাড়িঘর, যানবাহন, যোগাযোগ মাধ্যম, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা, বৈদ্যুতিক সুবিধা, প্রয়োজনীয় দ্রব্যের প্রাপ্তি, শিক্ষা সুবিধা, চিত্তবিনোদন প্রভৃতি মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাতে সহায়তা করে ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, শহরায়ন মানুষের জীবনে অনেক স্বাচ্ছন্দ্য ও ঐশ্বর্য এনে দেয় এবং মানুষকে বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা প্রদান করে । শহরের কর্মচঞ্চল মানুষ তাদের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হয় তাদের পরিশ্রম দ্বারা ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ নগরায়ণের ইতিবাচক প্রভাব সংক্ষেপে আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম নগরায়ণের ইতিবাচক প্রভাব সংক্ষেপে আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।